দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

কানের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ১০ সমাধান - ঠান্ডায় কানে ব্যথা হলে করণীয়দাঁত ব্যথা বা দাঁতের যন্ত্রণা প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই হয়ে থাকে আর এই দাঁত ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে দাঁতে পোকা লাগা। যখন দাঁতে পোকা লাগে তখন দেখবেন রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়ে যায় আর এই ব্যথা সহ্য করা খুবই মুশকিল। সাধারণত দাঁতে পোকা লাগাটা খুবই বিরক্তিকর একটি অসুখ। যখন দাঁতে পোকা কামড়াতে শুরু করে তখন খুবই যন্ত্রনা হয় অর্থাৎ প্রচন্ড ব্যথা করে আর এটি খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো।

তাই আপনি যদি দাঁতের ব্যথায় ভোগে থাকেন অথবা আপনি যদি তাদের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়, দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর উপায়, দাঁতের ব্যথা কমানোর ওষুধ ইত্যাদিসহ আরো বিস্তারিত অনেক কিছুই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের আজকের মূল আলোচনা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্র: দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনার পরিবারের অথবা যদি আপনার দাঁতে ব্যথা বা পোকা হয় তাহলে আপনি কি করবেন এই বিষয় সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের জানাবো। দাঁতের পোকা দূর করার জন্য এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলি জানলে আপনি অবাক হবেন। মূলত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন আলু, চকলেট, চুইংগাম, রুটি ইত্যাদি এ সকল খাবারে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট আর এগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয় আর এর ফলে আমাদের দাঁতে ব্যথা বা পোকা তৈরি হয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই চকলেট, চুইংগাম মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আসুন তাহলে দাঁতের পোকা দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাঁচা পেঁয়াজ: কাঁচা পেঁয়াজ দাঁতের পোকা দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার দাঁতে পোকা হয়ে থাকে তাহলে যে দাতে পোকা হয়েছে সেই দাতে কাঁচা পেঁয়াজ লাগান বা পেঁয়াজের রস ব্যথা স্থানে লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরে ভালোভাবে কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার দাঁতের ব্যথা ও দাঁতে পোকা দূর হয়ে যেতে পারে। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসে থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার দাঁতের ব্যথা দূর করতে পারেন।

রসুন: রসুন শুধুমাত্র যে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়, রসুন আমাদের দাঁতের পোকা বা ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী। আর এটা করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক থেকে দুই কুয়া রসুন নিতে হবে এবং সে রসুনের সাথে একটু লবণ নিতে হবে। তারপরে রসুন ও লবণ পাঠায় পিষে আপনার যে দাঁতের অংশে ব্যথা করছে সেই অংশে চেপে ধরে রাখতে হবে। এবং কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার দাঁতের ব্যথা একটু হলেও দূর হয়েছে।

বরফ: বরফ দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী। তাই আপনার যদি দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে আপনি চাইলে আপনার বাড়িতে থাকা ফ্রিজের ভেতর থেকে একটু বরফের টুকরা বের করে কাপড় দিয়ে ধরে আপনার দাঁতে যেখানে ব্যথা করছে সেখানে একটু চেপে রাখুন তাহলে দেখবেন আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

ফিটকিরি: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা দাঁতের ব্যথার কারণে রাতে ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য একটি ভালো একটি ঘরোয়া ওষুধ হল ফিটকিরি। যদি আপনার দাঁতে অতিরিক্ত ব্যথা হয় তাহলে আপনি চাইলে ফিটকিরি এনে আপনার দাঁতে যে অংশে ব্যথা হচ্ছে তার বাইরের অংশে কিছুক্ষণ ফিটকিরি চেপে ধরে রাখুন এক্ষেত্রে দেখবেন আপনার দাঁতের পোকা বা ব্যথা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

লবঙ্গ: লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমাদের সকলের বাড়িতেই কিন্তু লবঙ্গ থাকে, তাই আপনার যদি দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে ২ থেকে৩ টি লবঙ্গ নিয়ে যে দাঁতে ব্যথা করছে সেই দাঁতে কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে কয়েকটি লবঙ্গ এবং কয়েকটি গোল মরিচ নিয়ে পেস্ট করে দাঁতের ব্যথা স্থানে অল্প একটু লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে করেও আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

কালো মাজন বা কালো জিরা: কালো মাজন ও কালো জিরা দাঁতের ব্যথা দূর করতে পারে, তাই আপনি দাঁতের ব্যথা দূর করতে চাইলে দাঁতে ব্যথা স্থানে বা দাঁতের পোকা স্থানে কালো মাজন বা কালো জিরা কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন এতে করে আপনার দাঁতের ব্যথা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

লবণ মিশ্রণ পানি: লবণ মিশ্রণ পানি দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী। তাই আপনি যদি দাঁতের ব্যথা দূর করতে চান তাহলে এক গ্লাস কুসুম কুসুম হালকা গরম পানি নিন এরপর সেই পানির মধ্য এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। তারপরে অল্প অল্প করে পানি মুখে নিয়ে ফুলকুচি করতে থাকুন এতে করে আপনার দাঁতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রস ও কাঁচা হলুদ: লেবুর রস ও কাঁচা হলুদ দাঁতের পোকা ও দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই সাহায্য করে। তাই দাঁতের ব্যথা দূর করতে হলে আপনি চাইলে লেবুর রস ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়ে যে দাঁতের স্থানে ব্যথা করছে সেখানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে করে আপনার দাঁতের জীবাণু ও ক্ষয় দূর হয়ে যাবে এর ফলে আপনার দাঁতের ব্যথা ও পোকা দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা: দাঁতের ব্যথা বা দাঁতের পোকা দূর করতে এলোভেরা জেল খুবই ভালো কাজ করে। তাই আপনি যদি দাঁতের ব্যথায় ভুগে থাকেন বা আপনার পরিবারের কারো যদি দাঁতের ব্যথা থাকে তাহলে একটু অ্যালোভেরা জেল কিছুক্ষণ দাঁতের ব্যথা স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন, এতে করে অবশ্যই আপনার দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের দাঁতে গর্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দাঁতে গর্ত কি কারনে হয় এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। দাতে গর্ত বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই আজকে আমরা দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো। সাধারণত দাঁতে যখন পোকা ধরে তখন দাঁতে একটু একটু করে গর্ত  শুরু হয়। এছাড়াও আরো অন্য কারণেও কিন্তু দাঁতে গর্ত হতে পারে। তাই আপনারও যদি দাঁতে গর্ত হয়ে থাকে তাহলে আর সময় নষ্ট না করে অবশ্যই অতি শীঘ্রই চিকিৎসা নিন।

আরও পড়ুন: পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও পা ফাটা দূর করার ক্রিম

আর যদি আপনার দাঁতে গর্ত হওয়া শর্তেও আপনি সঠিক সময় চিকিৎসা না নেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁতে আরও বেশি গর্ত হয়ে যেতে পারে। তাই বড় কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং আপনার দাঁতের জন্য যেসব চিকিৎসা ভালো সেগুলো আপনাকে করাতে হবে। আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেন না যে দাঁতে গর্ত হলে এর ঘরোয়া উপায় অর্থাৎ চিকিৎসাও রয়েছে। তাই আপনি যদি দাঁতের গর্ত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনাকে কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে হবে অর্থাৎ আপনাকে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে হবে। আপনি যদি নিচে দেওয়া ঘরোয়া এই উপায় গুলি মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনার দাঁতের গর্ত দূর হয়ে যাবে।

ধূমপান ত্যাগ: আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ ধূমপানের কারণে আপনার দাঁতে গর্ত হতে পারে। এছাড়াও ধূমপান আপনার পুরো শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমনকি ধূমপানের কারণে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর তাই আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে আপনাকে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। আর যদি ধূমপান পরিত্যাগ না করেন তাহলে আপনার দাঁতের রং হলদে হয়ে যেতে পারে এবং আপনার দাঁতে গর্ত হতে পারে।

জর্দা পরিহার: আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে মেয়ে ছেলে উভয় জর্দা খায়। কিন্তু আপনার হয়তো জানেন না যে এই জর্দা খেলে কিন্তু দাঁতের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতে গর্ত হয়ে যায়। আর তাই আপনি যদি দাঁতের গর্ত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জর্দা পরিহার করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার দাঁতের গর্ত দূর করতে পারবেন।

নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার: যদি আপনি নিজের দাঁতকে ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। আর যদি আপনি নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না রাখেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁতে গর্ত এবং পোকা এছাড়া বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার দাঁতের গর্ত দূর করার জন্য নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর আপনি যদি নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার দাঁতের গর্ত দূর করতে পারবেন।

মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার: সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিমাণ খেতে হবে। আর আপনি যদি মিষ্টি অধিক খান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁতের ফাঁকে অনেক সময় সেই মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলি লেগে থাকে সেগুলো বের হয় না আর এতে করে দাঁতে অনেক সময় গর্ত হয়ে যায় এবং দাঁতে পোকা ধরে। তাই আপনি যদি দাঁতের গর্ত দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণ খেতে হবে।

নিয়মিত ব্রাশ করা: দাঁত ভালো রাখতে হলে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা খুবই জরুরী। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করার বদলে কয়লা কিংবা লবণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে এটা মোটেও ঠিক নয়। কেননা এতে করে দাঁতের ক্ষয় হয় আবার এমন অনেকেই আছেন যারা এমন ব্রাশ ব্যবহার করেন যেটাতে দাঁতের ক্ষতি হয় আবার অনেকেই এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করেন যাতে দাঁতের প্রচুর পরিমাণে ক্ষয় হয়, এক্ষেত্রে আপনাদের সবার সতর্ক থাকতে হবে। মূলত যেগুলো আমাদের দাঁতের ক্ষতি করে সেগুলো জিনিস ব্যবহার করা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। তবে নিয়মিত আপনি যদি ভালো মানের ব্রাশ এবং টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার দাঁতের গর্ত দূর করতে পারবেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ: উপরে যে বিষয়গুলি আমরা আলোচনা করেছি এসব বিষয় পরিত্যাগ করেও যদি আপনার দাঁতের গর্ত দূর না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খুবই দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং আপনার দাঁতের চেকআপ করাতে হবে, যে আপনার দাঁতে কোন সমস্যা আছে কিনা। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর আপনার দাঁতে যদি অন্য কোন সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। অথবা ডাক্তার যে কাজগুলি আপনাকে করতে বলবে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই করতে হবে, তাহলে আপনার দাঁতের গর্ত অবশ্যই দূর হয়ে যাবে।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায়

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের দাঁতের মাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে। তবে এই সমস্যাটা অনেকেরই বিশেষ করে রাতের দিকে দেখা দেয়। আপনার যদি দাঁতের মাড়িতে এরকম ব্যথার সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি কি করবেন এই বিষয় সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো।

তো আপনার যদি দাঁতের মাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয় তাহলে আপনি প্রথমেই যে কাজটি করবেন সেটি হল, এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানি নিবেন এবং সেই গরম পানিতে একটু সীমিত পরিমাণে লবণ দিয়ে গ্লাসের পানি ভালোভাবে গুলিয়ে নিবেন। এরপর পানি ভালোভাবে গুলানো হয়ে গেলে সেই পানি একটু করে মুখে নিয়ে কুলি করবেন। আর এভাবে যদি আপনি নিয়মিত এই উপায়টি অবলম্বন করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

এছাড়াও আজকের এই পোস্টে দাঁতে ব্যথা দূর করার এমন অনেক উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা চাইলে সমস্ত উপায় গুলি ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন। তবে আপনি চেষ্টা করবেন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখার তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। তবে আপনার যদি দাঁতের মাড়ির ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সর্বপ্রথম কুসুম গরম পানি এবং তার সাথে একটু লবণ মিশিয়ে একটু একটু করে কুলকুচি করবেন তাহলে দেখবেন আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

আসলেই কি দাঁতে পোকা থাকে

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন যে আসলেই কি দাঁতে পোকা থাকে? আমাদের অবশ্যই এই বিষয় সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী, কেননা দাঁত এমন একটি অঙ্গ যা একটু ব্যথা করলেই পুরো মাড়ি বা মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এছাড়াও দাঁতের ব্যথার কারণে অনেকেরই শরীরের জ্বর পর্যন্ত চলে আসে। তাই দাঁতের যত্নে কোন সময় অবহেলা করা চলবে না। আমরা মানুষরা আসলেই কোন কিছু ভালো থাকতে তার মর্যাদা দিতে জানিনা। তাই যখন সমস্যা দেখা দেয় তখনই আমরা এর জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়ায়। আমাদের দাঁত ভালো রাখতে হলে প্রথমে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে দাঁতের যেন কোন রকম গর্তের সৃষ্টি না হয়, তাই প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে।

দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সকালে নাস্তার পর এবং রাতে খাবারের পর প্রতিদিন নিয়ম করে ক্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট এবং সবথেকে নরম টুথব্রাশ দিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে দুই থেকে তিন মিনিট দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ছাড়াও যদি দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাবার বা অন্য কোন কিছু আটকে থাকে তাহলে ডেন্ডার ফ্লস বা সুতা ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

যখন একজন মানুষের দাঁতে গর্ত হয় এবং তাদের যন্ত্রণা অর্থাৎ ব্যথা করে তখন অনেকেই বলে থাকে যে তার দাঁতে পোকা হয়েছে। আর এর ফায়দা লুটে অনেক হাতুড়ি ডাক্তার এবং আরো অন্যান্য যে সমস্ত গ্রামের ডাক্তার এবং রাস্তাঘাটে যেসব হাতুড়ি ডাক্তার থাকে তারা বলে যে দাঁতের পোকা বের করে দেবো। এমন এক সময় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সেসব ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে খেল ফেলি। আর এভাবেই এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ বা হাতুড়ে ডাক্তার অনেক কৌশলে দাঁতে পোকা বের করার নাম করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।

আসলে কি দাঁতের পোকা থাকে? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অজানা এমন অনেক মানুষেরই দাঁতে ক্ষয় বা গর্ত থাকে। এমনকি শিশুদেরও দাঁতের ক্ষয় ও দাঁতের মধ্যে গর্ত থাকে। সাধারণত এই গর্তকে একশ্রেণীর অসাধু মানুষ দাঁতে পোকা বলে চালিয়ে দেয়। মূলত প্রতিদিন বা দিনের মধ্যে সঠিক নিয়মে একবারও দাঁত পরিষ্কার না করার ফলে দাঁতের গর্ত হয় এবং দাঁতের ব্যথা করতে থাকে।

আরও পড়ুন: ক্যান্সার কেন হয়- ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় 

সুতরাং যদি একজন ব্যক্তি একদিনে একবারও দাঁত পরিষ্কার না করে তাহলে তার মুখে লালার একটি উপাদান দাঁতের ভেতরে বাহিরে দাঁতের পিঠে আঠার মত লেগে থাকে এবং তখন সেই ব্যক্তির দাঁতের মধ্য ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় এবং ব্যাকটেরিয়া খুবই দ্রুত বাসা বাঁধে। এসব দাঁতের পিঠে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া যখন মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া হয় তখন বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি এসিড তৈরি করে এবং এই এসিড দাঁতের আবরণ ক্ষয় করে দাঁতের ভেতর গর্ত সৃষ্টি করে। আর এই গর্তকেই আমাদের মত অনেক লোকেরা দাঁতে পোকা হয়েছে বলে। আসলেই কিন্তু এমনটা নয়, মূলত দাঁতে কোন পোকা বলে কিছু হয় না বা দাঁতে কোন পোকা ধরে না।

দাঁতে পোকা হয়েছে বা দাঁতে পোকা ধরেছে মূলত এটি মানুষের একটি ভ্রান্ত ধারণা। সাধারণত যদি একবার দাঁতে গর্ত হয়ে যায় তাহলে এই গর্ত টুথপেস্টের মাধ্যমে দাঁত ব্রাশ করে বা ওষুধ খেয়ে এই গর্ত কমানো কখনোই সম্ভব নয়। তবে একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে ফিলিং নামক চিকিৎসার দ্বারা দাঁতের গর্ত ভরাট করা অর্থাৎ দূর করা সম্ভব বা দাঁতকে সুস্থ রাখা সম্ভব। মূলত এটি একটি খুবই অসাধারণ চিকিৎসা এতে খরচ খুব কম। তবে কারো যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সে যদি প্রথমের দিকে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ না নেয় তাহলে ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে, তখন সেই ব্যক্তির দাঁতে রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে রুট ক্যানেল এই চিকিৎসাটি মোটামুটি একটু জটিল, এতে সময় লাগে কিন্তু এটি একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। আসলেই কি দাঁতে পোকা হয়? আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই এই বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধ

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার সাথে সাথে অবশ্যই আমাদেরকে দাঁতের ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জানা দরকার। উপরোক্ত আলোচনায় দাঁতের পোকা দূর করার যে সমস্ত উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেই উপায় গুলি যদি মেনেও আপনার দাঁতের ব্যথা না কমে তাহলে আপনি নিচে দেওয়া এই ওষুধ গুলির মধ্যে যে কোন একটি ওষুধ খেতে পারেন।

Torimon 90Mg: Torimon 90Mg এই ট্যাবলেটটি দাঁতের প্রচন্ড ব্যথা কমাতে খুবই দ্রুত কাজ করে। তবে এই ট্যাবলেটটি খেলে এর সাথে সাথে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধও খাওয়া উচিত। এই ওষুধটি দিনে একটি করে দুই বেলা খেলে দাঁতের ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে আরো ভালো হয়।

Fenamic 500: Fenamic 500 এই ট্যাবলেটটি দাঁতের ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। যদি ১৮ বছরের বয়সী কোনো মানুষের দাঁতে ব্যথা হয় তাহলে দিনে দুই থেকে তিনবার এই ওষুধটি খেলে দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে এই ওষুধটি ১৮ বছরের নিচে কারো যদি দাঁতে ব্যথা করে তাহলে তাকে শুধুমাত্র ট্যাবলেটটির অর্ধেক খেতে দিতে হবে।

Etorix: Etorix এই ট্যাবলেটটি দাঁতের ব্যথা কমাতে খুব দ্রুত কাজ করে। যদি কোন ব্যক্তির দাঁতে ব্যথা হয় তাহলে এই ওষুধটি দিনে দুই বেলা একটি করে খেতে হবে, তাহলে সেই ব্যক্তির অবশ্যই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

Napa One: Napa One এই ওষুধটি হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় এবং পরিচিত একটি ওষুধ। এই ওষুধটি মূলত জ্বর ও মাথা ব্যাথার কাজ করে থাকে, তবে Napa One এই ওষুধটি দাঁতের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে। যাদের দাঁতের ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা অর্থাৎ দাঁতের ব্যথার জন্য ১৮ বছরের ওপরে হলে একটি করে দিনে দুই বেলা এই ওষুধটি খেতে হবে। এবং যদি ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যক্তির দাঁতে ব্যথা হয় তাহলে সেই ব্যক্তিকে অর্ধেক করে দুই থেকে তিন বেলা খাওয়াতে হবে, তাহলে অবশ্যই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

Moxacil 500: Moxacil 500 দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদি কারো দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে সেই ব্যক্তি দিনে দুই থেকে তিনবার একটি করে। আর১৮ এর নিচে বয়স হলে অর্ধেক করে খেতে দিতে হবে তাহলে অবশ্যই দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।

এছাড়াও দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য আরও এমন অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে যেমন: Tory, Etoricoxib 60Mg, Etocox, Etoricoxib 120Mg, Etoricoxib 90Mg ইত্যাদি। এই ওষুধগুলি মূলত দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে দাঁতের ব্যথার তীব্রতা বা ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রার পরিমাণ কমানো এবং বাড়ানো যেতে পারে।

দাঁতের ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ

আমরা দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং দাঁতে ব্যাথার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। এখন আমরা দাঁতের ব্যথার এন্টিভাইটিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। মূলত দাঁতে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে, যদি দাঁত নড়াচড়া কিংবা আরো প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে তাহলে চিকিৎসকের মাধ্যমে অবশ্যই এনটিভিটিক ওষুধ সেবন করা উচিত।

দাঁতের ভেতরে যদি ইনফেকশন হয়ে দাঁত নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেফুরক্সিম ৫০০Mg এবং সেফুরক্সিম ২৫০MG খাওয়া যেতে পারে, কারণ এই ট্যাবলেটটি দাঁতের ইনফেকশন দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক এই ট্যাবলেটটি দিনে তিন বেলা খেলে দাঁতের প্রচন্ড যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং এই ট্যাবলেটটি খেলে দাঁতের ইনফেকশন ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার জন্য আরো এমন অনেক এন্টিভাইটিক ওষুধ রয়েছে যেমন: ফেনক্সিমিথাইল পেনিসিলিন এটি হলো এন্টিবায়োটিক ওষুধ। মূলত এই ওষুধটি দাঁতের ভেতরে থাকা এসিড প্রতিরোধ করে এবং দাঁতের অন্যান্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ফ্লুব্লাস্ট ট্যাবলেট দাঁতের যন্ত্রণা এবং দাঁতের ইনফেকশন দূর করে।

দাঁতের যন্ত্রণা হলে কি করতে হবে

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের দাঁতে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে আর এর কারণে দাঁতে প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা হয়। তখন তারা বুঝতে পারে না যে এই সময় তাদের কি করা উচিত। মূলত যাদের প্রায়সই দাঁতে যন্ত্রনা হয় তাদের এমন অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন: বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ খাওয়া, এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া। এছাড়াও এমন অনেকে রয়েছে যারা দাঁতের যন্ত্রণার কারণে ডেন্টাল ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকেন। দাঁতে ব্যথা হওয়ার কারণে দাঁতের ক্ষয়. ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন. নতুন দাঁত গজানো. দাত নড়াচড়া করা বা দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি আপনার দাঁতকে ভালো রাখতে চান তাহলে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

যেমন: রসুন, লবঙ্গ, অলিভ অয়েল, নুন ও গোলমরিচ, বরফের কুচি ইত্যাদি এই উপায় গুলি দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই উপায় গুলি ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যথা কমানো সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঔষধ বা পেইনকিলার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: প্যারাসিটামল, আইবুপ্রুফেন, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি। তবে অবশ্যই এই ওষুধগুলি একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়াও দাঁতের ব্যথা কমাতে হলে আপনাকে কিছু খাবার এবং পানিও এড়াতে হবে। যেমন: অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না, এসিড ফল বা রস, কফি, চা, চকলেট, মিষ্টি জাতীয় খাবার ইত্যাদি এই খাওয়ার গুলি সীমিত পরিমান খেতে হবে। কারণ এই খাবারগুলি দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে বা দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। তাই এই খাবারগুলি খুবই সীমিত পরিমাণ খেতে হবে। কেননা কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই আপনি যদি আপনার দাঁতকে ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই এই খাবারগুলি একটু সতর্কতার সাথে খাবেন।

দাঁত তুলে ফেললে কি পোকা দূর হবে

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের দাঁতে প্রচন্ড পরিমাণে যন্ত্রণা হয়। অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হওয়ার কারণে দাঁত তুলে ফেলি। আবার এমন অনেকেই রয়েছে যারা বলে যে দাঁতের পোকা হয়েছে আর এর কারনেও আমরা অনেকেই আমাদের দাঁত তুলে ফেলি। কিন্তু আসলেই কি দাঁত তুলে ফেলাটা ঠিক হবে এবং দাঁত তুলে ফেললে কি ব্যথা দূর হয়ে যাবে, কিংবা দাঁতের ইনফেকশন দূর হয়ে যাবে এই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

মূলত দাঁতের রোগ নিরাময়ের জন্য যত উপায় রয়েছে তার মধ্যে সর্বশেষ উপায় হচ্ছে দাঁত তুলে ফেলে দেওয়া। যদি আপনার দাঁত একেবারেই ইনফেকশন হয়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং কোনমতেই কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক খেয়েও যদি আপনার দাঁত ভালো না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দাঁত তুলে ফেলতে পারেন। যদি চিকিৎসক আপনার দাঁত পরীক্ষা করে মনে করে যে আপনার দাঁত তুলে ফেলবে সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।

আরও পড়ুন: মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় - মানসিক রোগের ঔষধের নাম 

দাঁত তোলার পর ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ দিবে সেই ওষুধগুলি খেলে আপনি চিরতরে ওই দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে ডাক্তার আপনার ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত তোলার পর আপনাকে একটি কৃত্রিম দাঁত লাগানোর পরামর্শ দিতে পারে। কারণ কৃত্রিম দাঁত লাগালে তার আশেপাশের দাঁতগুলো মজবুত থাকে। সুতরাং যদি আপনার দাঁতের পোকা বা দাঁতের ক্ষয়, দাঁতের গর্ত, দাঁত নড়াচড়া, দাঁতের ব্যথা ইত্যাদি দাঁতের যে কোন সমস্যার জন্য উপরিক্ত পন্থাগুলো বা উপায়গুলো অবলম্বন করেও যদি কোন উপকার না আসে তাহলে আপনাকে সর্বশেষ যে কাজটি করতে হবে সেটি হল একজন ভালো ডেন্টিস ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতটি তুলে ফেলা। এবং দাঁত তোলার পর ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ দিবে সে ওষুধগুলি নিয়মিত খেলে আপনি দাঁতের ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।  

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক গন,, আমাদের আজকের পোষ্টের আলোচনার মুখ্য বিষয় অর্থাৎ মূল বিষয় ছিল দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আমরা উপরে ইতিমধ্যে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন এবং আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url