অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগেপ্রিয় ভিউয়ার্স,, আপনারা যদি জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য আপনাদের জানাবো। সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ঠিক করে নেওয়াটা খুবই জরুরী।

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকতেই পারে। কেননা মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। আর যদি ভোটার আইডি কার্ড করার সময় কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে এর সমাধানও রয়েছে। আমরা আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এমন কিছু নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব যেগুলি আপনি জানলে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এছাড়াও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

সূচিপত্র: অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড করার সময় কোন না কোন ভুল থেকেই যায়। আর এই সমস্যাটা অধিকাংশ মানুষেরই হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে এসে আপনার আইডি কার্ডে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে সেটি  সংশোধন করতে পারবেন। যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোন ভুল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। আর এর মাধ্যমে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে। 
তবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড করতে হলে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে এবং কিছু কাগজপত্র দরকার পড়বে। আপনি যদি আপনার সঠিক কাগজপত্র এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। চলুন তাহলে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য যেসব নিয়মকানুন এবং কাগজপত্র প্রয়োজন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

১. ধাপ: আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল ক্রোমে গিয়ে https://servie.nidw.gov.bd/nid-pub/ সার্চ করতে হবে। এবং এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে, তারপরে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

২. ধাপ: একাউন্টটি খোলার পর আপনার স্কিনে আরেকটি ইন্টারফেস আসবে। মূলত সেখানে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ বসিয়ে ক্যাপচারটি পূরণ করতে হবে। এরপর সাবমিট নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৩. ধাপ: এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র এর সব রকম তথ্য এবং ঠিকানা যাচাই বাছাই করে ভালোভাবে লিখে দিতে হবে। যেমন আপনার নাম, আপনার স্থানীয় ঠিকানা, আপনার বর্তমান ঠিকানা, ইত্যাদি এ সকল তথ্য সঠিকভাবে লিখে দিতে হবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৪. ধাপ: সকল তথ্য সঠিকভাবে যদি পূরণ করে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার মোবাইল স্ক্রিনে 6 টি সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। তারপর আপনি সেই ভেরিফিকেশন কোডটি কপি করে ভেরিফিকেশন নামক জায়গাটিতে বসিয়ে দিলেই দেখবেন আপনার ভেরিফিকেশন করা কমপ্লিট হয়ে গেছে। এবং আপনি দেখবেন আপনার একাউন্টটি সেখানে দেখাবে।

৫. ধাপ: এরপর আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য সংশোধন করতে হবে। এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নিজের যত কিছু তথ্য আছে সব তথ্য গুলি নতুন করে পরিবর্তন করতে হবে। তবে আপনি সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন সঠিক তথ্য দেয়ার ভোটার আইডি কার্ডে। যেসব জিনিস অর্থাৎ যেসব তথ্য আপনি সংশোধন করতে পারবেন সেগুলোর সম্পর্কে নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল।

  • যার ভোটার আইডি কার্ড তার নাম পরিবর্তন করা যাবে
  • জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে
  • জন্ম নিবন্ধন নম্বর পরিবর্তন করা যাবে
  • লিঙ্গ পরিবর্তন করা যাবে
  • জন্মস্থান পরিবর্তন করা যাবে
  • পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করা যাবে
  • পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার পরিবর্তন করা যাবে
৬. ধাপ: এবার আপনি যদি সবকিছু সঠিকভাবে পরিবর্তন করে সংশোধন করতে চান তাহলে সংশোধন করতে ফি লাগবে ২৩০ টাকা থেকে ৩৭৫ টাকা। এটি আপনি খুব সহজেই বিকাশে, নগদে, রকেটে অথবা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

৭. ধাপ: এছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র ডকুমেন্ট রয়েছে সেগুলো আপলোড করতে হবে। যেমন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে ইত্যাদি। এছাড়াও আরো কিছু ডকুমেন্ট রয়েছে এগুলো খুব ভালোভাবে দিয়ে দিবেন। আবার সেখানে কিন্তু আপনার ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাইতে পারে আপনি এগুলো দেখে শুনে বুঝে ডকুমেন্টগুলি ভালোভাবে আপলোড করে দিবেন।

৮. ধাপ: এবার দেখবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে যাওয়ার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি আপলোড করতে পারবেন। তখন দেখবেন যে আপনি সেই ভোটার আইডি কার্ডটি ব্যবহার করতে পারছেন কোন রকম ভুল ছাড়াই। কারণ আপনি এটি সংশোধন করে তারপর ডাউনলোড করে নিয়ে ব্যবহার করছেন।

কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব

ভোটার আইডি কার্ড করার সময় প্রায় অনেক মানুষেরই অনেক রকম ভুল হয়ে যায়। তবে এই ভুলটি সংশোধন করারও উপায় রয়েছে। কেননা বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ডের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। মূলত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে Services.Nidw.Gov.Bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এবং রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে একাউন্ট লগইন করে প্রোফাইল নামক অপশনে যেতে হবে। এবার এডিট নামক লিংকে ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ লিখে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ফি দিতে হবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডকুমেন্টগুলি আপলোড করে সাবমিট নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।

প্রিয় বন্ধুরা,, আমরা ইতিমধ্যে উপরের অংশে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আপনাদের জানিয়েছি। সেখানে আমরা ধাপ অনুযায়ী অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছে। আপনারা যদি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে উপরের অংশটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আমরা সেখানে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে করতে হয় সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি।

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আপনার যদি এনআইডি কার্ডে কোনরকম ভুল থাকে তাহলে আপনি সেই ভুল খুব সহজেই সংশোধন করতে পারবেন এবং সেটা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে মানুষ অনেক রকম সমস্যার মধ্যেও পড়ে যায়। তাইতো এনআইডি কার্ড সংশোধন অনেকেই করতে চায় তবে তারা জানে না যে ঠিক অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক যে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।

আরও পড়ুন: ডাচ- বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ 

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকা লাগতে পারে। তবে এতে আবার কিন্তু কিছু পর্যায়ক্রমে ভাগ রয়েছে আর সেই অনুযায়ী টাকা প্রয়োজন পড়ে। নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন এবং ঠিকানা পরিবর্তন সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা নিতে পারে।
  • এবং উভয় তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা নিতে পারে।
  • আর সব মিলিয়ে মোট খরচ পড়তে পারে ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত।
আর এই ফী আপনি খুব সহজেই বিকাশে, নগদে, রকেটে অথবা ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে পরিশোধ করতে পারেন।

আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে সেই ভুল যদি আপনি সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড যদি সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার সঠিক তথ্য লাগবে এবং আপনার সঠিক কাগজপত্র দরকার পড়বে। এগুলো সব কিছু যদি আপনার ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারেন।

তাই আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ডে কোন রকম ভুল থাকে তাহলে আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। কারণ আজকে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার সকল নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। আপনি যদি আগে থেকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম কারণ জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। আমরা নিচে যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব আপনি শুধু সেই কাগজপত্র গুলি সঠিকভাবে দেখে শুনে যাচাই করে ওখানে লিখে দেবেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড খুব দ্রুত সংশোধন হয়ে যাবে।

মূলত প্রথমে আপনাকে ৪টি ক্যাটাগরিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে। যেমন:

  1. যার আইডি কার্ড তার নাম সংশোধন
  2. রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  3. জন্ম তারিখ সংশোধন
  4. স্থানীয় ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা সংশোধন
উপরে যে চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে সেই ক্যাটাগরিতে যখন আপনি প্রবেশ করবেন তখন কিন্তু এর মধ্যে আরও অন্য রকমের নাম থাকবে। যেমন: পিতা মাতার নাম, বিভিন্ন রকমের ঠিকানাসহ পরিবর্তন লিখতে বলবে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার পিতা ও মাতার নাম ভুল রয়েছে তাহলে আপনি চাইলে সংশোধন করতে পারেন। আর যদি ভুল না থাকে তাহলে কোন দরকার নেই। আসুন তাহলে এবার উপরে যে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

যার আইডি কার্ড তার নাম সংশোধন: যার আইডি কার্ড তার নাম যদি ভুল থাকে তাহলে সংশোধন করার জন্য সে ক্ষেত্রে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন জন্ম সনদপত্র
  • যদি সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের আইডি কার্ড
পিতা মাতার নাম সংশোধন: আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি পিতা-মাতার নাম ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন সেটির নিচে দেওয়া হল।
  • পিতা মাতার নাম এর বানান ভুল হলে তা সংশোধন করতে পারবেন
  • এবং সম্পূর্ণ নামটি ভুল হলেও সংশোধন করতে পারবেন
যদি পিতা মাতার নাম গুলো ভুল হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলোর নিচে দেওয়া হল।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পিতা মাতার আইডি কার্ড
  • ভাই বোনের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
  • ভাই বোনের সার্টিফিকেট
  • ভাই বোনের আইডি কার্ড
জন্ম তারিখ সংশোধন: জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেসব কাগজপত্র সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • যে কোন একটি স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
  • চাকরি করলে চাকরি কার্ড
  • পারিবারিক পত্রের সত্যায়িত কপি
  • এবং আপনার বয়স ঠিকঠাক আছে কিনা তার প্রমাণ পত্র লাগবে
স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা সংশোধন: আপনার ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা সংশোধন করতে হলে যেসব কাগজপত্রের দরকার হবে সেগুলো নিচে দেয়া হলো।
  • প্রত্যয়ন পত্র
  • অনলাইন বা ডিজিটাল সনদপত্র
  • বাসার বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ গ্যাস বিল এর কাগজ এবং পানির বিলের কাগজ এর কপি লাগবে।
  • এছাড়াও বাসার ট্যাক্স ও রশিদ এর কপি লাগবে

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে

সাধারণত আমরা অনলাইনের মাধ্যমে অনেক জিনিসপত্র পরিবর্তন করে থাকি কিন্তু এই পরিবর্তন করা জিনিসপত্রগুলো পেতে একটু দেরি হয়। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে কাজ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সেই জিনিস দেয়া হয় না। তাই আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করেন তাহলে হয়তো আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টা পেতে একটু দেরি হবে। কেননা এটি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে তারপর আপনাকে দেওয়া হবে। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন না যে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার পর ঠিক কতদিন লাগে জাতীয় পরিচয় পত্র টা পেতে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র পেতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে জানাবো।

আরও পড়ুন: বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম | বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ কি

সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তবে আপনি যদি কাগজপত্র ঠিকমতো দিয়ে ভালোভাবে আপলোড করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগতে পারে ১৫ দিন থেকে ২১ দিনের মত। তবে আবার যদি আপনি এই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের কাজটি নির্বাচন চলাকালীন করে থাকেন তাহলে এটি আবার জটিল হতে পারে। তখন আবার আপনাকে পূর্ণরাই ভেরিফিকেশন করার জন্য ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সময়টা বেড়ে ২৫ থেকে ২৬ দিন এর মত লাগতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন লাগে। আর যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও সিট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, এবং বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে দুই সন্তানের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এগুলো থেকে যেকোনো একটি দিতে পারেন অর্থাৎ আপনার নাম বা জন্ম তারিখের প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে দুইটি ডকুমেন্ট দিলে হবে। আবার এক্ষেত্রে আপনি চাইলে একটি ডকুমেন্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে আবেদন অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই যেকোন দুইটি ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করাই ভালো।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন

আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অন্য একটি শহরে থাকতো এবং তার সেই শহরের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে আইডি কার্ডে। কিন্তু এখন থাকে অন্য আরেকটি শহরে এবং সেই ব্যক্তি চান যে ওই শহরের ঠিকানা তার আইডি কার্ডে থাকুন। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই দেখতে হবে যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে প্রথমে কোন ঠিকানায় করা ছিল এবং এখন আপনি কোন ঠিকানা ভোটার আইডি কার্ডে বসাতে চাচ্ছেন।

তাই আপনি যদি অন্য শহর থেকে আরেকটি শহরে এসে বসবাস শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওই শহরের ঠিকানা বাদ দিয়ে এখন যে শহরে রয়েছেন ওই শহরের ঠিকানা অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডে করে নিতে হবে। এটা করার জন্য আপনাকে নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না। তাই আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভালোভাবে তাদেরকে বলে ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে হবে।

যখন আপনি নির্বাচন অফিসে যাবেন ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য তখন তারা আপনাকে একটি আবেদন পত্র লিখতে বলবে। তখন আপনাকে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে লিখতে হবে। তারপর তারা আপনাকে একটি ফর্ম দিবে আর এই ফর্মের নাম ১৩ নাম্বার ফর্ম। আপনার সব কাগজপত্র এবং প্রমাণপত্র যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই আজকে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ঠিক কত টাকা প্রয়োজন হয় সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা ফি লাগে।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ফি লাগে ২৩০ টাকা। এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ফি লাগে ১১৫ টাকা। এবং উভয় তথ্য অর্থাৎ সকল তথ্য সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ফি লাগে ৩৪৫ টাকা। আবার রিইস্যু আবেদন করতে ফি লাগে ৫৭৫ টাকা।

শেষ কথা

প্রিয় ভিউয়ার্স,, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা ছিল অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে। আশা করি আপনারা যারা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তারা নিশ্চয়ই উপরের আলোচনা থেকে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনাদের মধ্যে যাদের ভোটার আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল রয়েছে তারা চাইলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি খুব দ্রুতই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। আর এটি মূলত আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন: ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার ৩টি উপায়

আশা করি আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এবং এরকম আরও বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। আবার কথা হবে অন্য কোন পোস্ট সম্পর্কে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url