অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগেপ্রিয় ভিউয়ার্স,, আপনারা যদি জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য আপনাদের জানাবো। সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ঠিক করে নেওয়াটা খুবই জরুরী।
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকতেই পারে। কেননা মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। আর যদি ভোটার আইডি কার্ড করার সময় কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে এর সমাধানও রয়েছে। আমরা আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এমন কিছু নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব যেগুলি আপনি জানলে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এছাড়াও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
সূচিপত্র: অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
- অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
- কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব
- এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
- জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে
- ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
- ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
- জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
- শেষ কথা
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
৫. ধাপ: এরপর আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য সংশোধন করতে হবে। এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নিজের যত কিছু তথ্য আছে সব তথ্য গুলি নতুন করে পরিবর্তন করতে হবে। তবে আপনি সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন সঠিক তথ্য দেয়ার ভোটার আইডি কার্ডে। যেসব জিনিস অর্থাৎ যেসব তথ্য আপনি সংশোধন করতে পারবেন সেগুলোর সম্পর্কে নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল।
- যার ভোটার আইডি কার্ড তার নাম পরিবর্তন করা যাবে
- জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর পরিবর্তন করা যাবে
- লিঙ্গ পরিবর্তন করা যাবে
- জন্মস্থান পরিবর্তন করা যাবে
- পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করা যাবে
- পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার পরিবর্তন করা যাবে
কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব
এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আপনার যদি এনআইডি কার্ডে কোনরকম ভুল থাকে তাহলে আপনি সেই ভুল খুব সহজেই সংশোধন করতে পারবেন এবং সেটা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে মানুষ অনেক রকম সমস্যার মধ্যেও পড়ে যায়। তাইতো এনআইডি কার্ড সংশোধন অনেকেই করতে চায় তবে তারা জানে না যে ঠিক অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক যে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।
আরও পড়ুন: ডাচ- বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকা লাগতে পারে। তবে এতে আবার কিন্তু কিছু পর্যায়ক্রমে ভাগ রয়েছে আর সেই অনুযায়ী টাকা প্রয়োজন পড়ে। নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন এবং ঠিকানা পরিবর্তন সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা নিতে পারে।
- এবং উভয় তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা নিতে পারে।
- আর সব মিলিয়ে মোট খরচ পড়তে পারে ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত।
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে সেই ভুল যদি আপনি সংশোধন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড যদি সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার সঠিক তথ্য লাগবে এবং আপনার সঠিক কাগজপত্র দরকার পড়বে। এগুলো সব কিছু যদি আপনার ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারেন।
তাই আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ডে কোন রকম ভুল থাকে তাহলে আপনি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। কারণ আজকে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার সকল নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। আপনি যদি আগে থেকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম কারণ জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। আমরা নিচে যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব আপনি শুধু সেই কাগজপত্র গুলি সঠিকভাবে দেখে শুনে যাচাই করে ওখানে লিখে দেবেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড খুব দ্রুত সংশোধন হয়ে যাবে।
মূলত প্রথমে আপনাকে ৪টি ক্যাটাগরিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে। যেমন:
- যার আইডি কার্ড তার নাম সংশোধন
- রক্তের গ্রুপ সংশোধন
- জন্ম তারিখ সংশোধন
- স্থানীয় ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা সংশোধন
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- অনলাইন জন্ম সনদপত্র
- যদি সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের আইডি কার্ড
- পিতা মাতার নাম এর বানান ভুল হলে তা সংশোধন করতে পারবেন
- এবং সম্পূর্ণ নামটি ভুল হলেও সংশোধন করতে পারবেন
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পিতা মাতার আইডি কার্ড
- ভাই বোনের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
- ভাই বোনের সার্টিফিকেট
- ভাই বোনের আইডি কার্ড
- যে কোন একটি স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
- চাকরি করলে চাকরি কার্ড
- পারিবারিক পত্রের সত্যায়িত কপি
- এবং আপনার বয়স ঠিকঠাক আছে কিনা তার প্রমাণ পত্র লাগবে
- প্রত্যয়ন পত্র
- অনলাইন বা ডিজিটাল সনদপত্র
- বাসার বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ গ্যাস বিল এর কাগজ এবং পানির বিলের কাগজ এর কপি লাগবে।
- এছাড়াও বাসার ট্যাক্স ও রশিদ এর কপি লাগবে
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে
সাধারণত আমরা অনলাইনের মাধ্যমে অনেক জিনিসপত্র পরিবর্তন করে থাকি কিন্তু এই পরিবর্তন করা জিনিসপত্রগুলো পেতে একটু দেরি হয়। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে কাজ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সেই জিনিস দেয়া হয় না। তাই আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করেন তাহলে হয়তো আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টা পেতে একটু দেরি হবে। কেননা এটি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে তারপর আপনাকে দেওয়া হবে। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন না যে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার পর ঠিক কতদিন লাগে জাতীয় পরিচয় পত্র টা পেতে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র পেতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে জানাবো।
আরও পড়ুন: বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম | বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ কি
সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। তবে আপনি যদি কাগজপত্র ঠিকমতো দিয়ে ভালোভাবে আপলোড করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগতে পারে ১৫ দিন থেকে ২১ দিনের মত। তবে আবার যদি আপনি এই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের কাজটি নির্বাচন চলাকালীন করে থাকেন তাহলে এটি আবার জটিল হতে পারে। তখন আবার আপনাকে পূর্ণরাই ভেরিফিকেশন করার জন্য ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সময়টা বেড়ে ২৫ থেকে ২৬ দিন এর মত লাগতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন লাগে। আর যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও সিট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, এবং বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে দুই সন্তানের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এগুলো থেকে যেকোনো একটি দিতে পারেন অর্থাৎ আপনার নাম বা জন্ম তারিখের প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে দুইটি ডকুমেন্ট দিলে হবে। আবার এক্ষেত্রে আপনি চাইলে একটি ডকুমেন্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে আবেদন অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই যেকোন দুইটি ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করাই ভালো।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাই আজকে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ঠিক কত টাকা প্রয়োজন হয় সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা ফি লাগে।
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ফি লাগে ২৩০ টাকা। এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ফি লাগে ১১৫ টাকা। এবং উভয় তথ্য অর্থাৎ সকল তথ্য সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ফি লাগে ৩৪৫ টাকা। আবার রিইস্যু আবেদন করতে ফি লাগে ৫৭৫ টাকা।
শেষ কথা
প্রিয় ভিউয়ার্স,, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা ছিল অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে। আশা করি আপনারা যারা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তারা নিশ্চয়ই উপরের আলোচনা থেকে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনাদের মধ্যে যাদের ভোটার আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল রয়েছে তারা চাইলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি খুব দ্রুতই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। আর এটি মূলত আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার ৩টি উপায়
আশা করি আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এবং এরকম আরও বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। আবার কথা হবে অন্য কোন পোস্ট সম্পর্কে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url