প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ডাচ- বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলএ সার্চ করে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ওপেন করে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম এর পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্বন্ধে আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে পাবেন।
সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য তাদের কিছু শর্ত মানতে হয় এবং শর্তগুলি মেনে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়ে তারপরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অনলাইন এর মাধ্যমে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে এপ্লাই করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। এবং আপনার যথাযথ সঠিক তথ্য দিয়ে সেটি পূরণ করে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে। চলুন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন বা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানুন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- প্রবাসী লোন কোন কোন ব্যাংক দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের মেয়াদ ও পরিমাণ
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুদ
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অসুবিধা
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা সমূহ
- শেষ কথা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই ঋণ গুলো প্রবাসীদের পরিবার বা প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে তাদের ব্যবসা বা অন্যান্য প্রকল্পের জন্য সহায়তা প্রদান করে। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে আপনাকে প্রয়োজনে সকল তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তার সাথে সাথে সসকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
এরপরেও কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাকে লোন দেয়ার জন্য ভাববে, আপনি যদি লোন নেওয়ার যোগ্য হন তাহলেই তারা আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন দিবে। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। তারপরে ঋণের জন্য আবেদন ফরম এর নিচে পিডিএফ ডাউনলোড থাকবে সেখান থেকে আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে তারপরে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় যে সকল ডকুমেন্ট রয়েছে সেগুলো দিয়ে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় ফর্মটি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে
তারপরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা যদি আপনাকে লোন দেওয়ার যোগ্য মনে করে তাহলে তারা আপনাকে লোন দেবে। আপনি যদি মনে করেন যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গ্রহণ করতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং কোন কোন কাগজপত্র লাগবে তাহলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত ভাবে দেখে নিতে পারেন। https://pkb.gov.bd/ এটা হল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। আপনি চাইলে এখান থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে ঋণ সেবা, অপশন থেকে আপনি বিভিন্ন ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
মূলত এভাবে আপনি সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যেয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কিভাবে নিতে হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে https://pkb.gov.bd/ এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে। এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফর্ম আবেদন ডাউনলোড করতে পারবে। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে লোনের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফর্মটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় যে সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট রয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। তারপর অনলাইন থেকে লোন এপ্লিকেশন ফর্ম সংগ্রহ করে সকল তথ্য উল্লেখ করে এবং প্রয়োজনে ডকুমেন্টস সহ সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে উপরের অংশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক দিয়ে দিয়েছি। আপনি চাইলে সেখান থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সরাসরি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে এবং সকল তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তারপরে সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে একটা বিষয় হচ্ছে যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের জন্য ব্যাংকে আগে থেকেই আপনার টাকা লেনদেনের একাউন্ট থাকতে হবে। কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের টাকা আপনার একাউন্টে দেওয়া হবে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস রয়েছে সেগুলো ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে তাদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। তাহলেই তারা আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন দেবে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আবেদন পত্র: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নির্ধারিত আবেদন পত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
পরিচয় পত্র: আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট বা অন্যান্য সরকারি যেসকল পরিচয় পত্র রয়েছে সেগুলো লাগবে।
ছবি: ৫ ফুট সাইজের ছবি লাগবে।
লোন এর উদ্দেশ্য: আপনি কি নেওয়ার উদ্দেশ্যে লোন নিচ্ছেন অথবা আপনি লোন নিয়ে কি করবেন সেই পরিকল্পনা সম্বন্ধে বিবরণ দিতে হবে।
পেশার প্রমাণ: আপনি প্রবাসে গিয়ে কিসের কাজ করবেন যেমন: চাকরির সনদপত্র অথবা নিয়োগপত্র ইত্যাদি এগুলো প্রমাণ দিতে হবে।
প্রবাসী ব্যাংক হিসাব: আপনার যদি আগে থেকেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কোন একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে তাহলে তার বিবরণ দিতে হবে।
ব্যানক স্টেটমেন্ট: ব্যানক স্টেটমেন্ট বলতে আপনার বর্তমান ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট যেগুলি আপনার আই ও ব্যয় প্রমাণ করে।
আয়কর সনদ: আয়কর সনদ বলতে আপনি মাসে কত টাকা আয় করেন অর্থাৎ আপনার আয়ের উৎস ও পরিমাণের প্রমাণ স্বরূপ আয়কর রিটার্ন বা সনদ।
আরও পড়ুন: বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম | বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ কি
মূলত এই তালিকায় আমরা সাধারণ নির্দেশিকা দিয়েছি। তবে বিশেষ প্রয়োজনীয় বা শর্ত বলি ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী এটা অনেক সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই আপনি যে ব্যাংক শাখায় লোনের জন্য আবেদন করতে চান সেই ব্যাংক শাখার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এটাই আপনার কাছে সর্বোত্তম হবে।
প্রবাসী লোন কোন কোন ব্যাংক দেয়
অনেকেই রয়েছে যারা প্রশ্ন করে থাকেন যে প্রবাসী লোন কোন কোন ব্যাংক দেয়? সাধারণত প্রবাসী ব্যাংক লোন সকল ব্যাংক দেয় না। প্রবাসী ব্যাংকের অনেকগুলো শাখা রয়েছে সেই শাখা গুলি শুধু প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে। চলুন তাহলে যে সকল ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোন প্রদান করে থাকে সেই সকল ব্যাংক গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রনী ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক
- এন আরবি গ্লোবাল ব্যাংক
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক
উক্ত আলোচনায় যে ব্যাংক গুলো সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে শুধু সেই ব্যাংকগুলোই প্রবাসীদের জন্য লোন প্রদান করে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের মেয়াদ ও পরিমাণ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের মেয়াদ ও পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। চলুন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের মেয়াদ ও পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- পূর্ণবাসন ঋণ: পূর্ণবাসন লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর হয়ে থাকে, ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ: এই লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর হয়ে থাকে। এবং সর্বোচ্চ লোন দেয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- অভিবাসন ঋণ: এই লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ২ বছর হয়ে থাকে, ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুদ
- অভিবাসন ঋণ: সুদের হার ৯% (সরল সুদ)
- পূর্ণবাসন ঋণ: সুদের হার ৯% (সরল সুদ)
- অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ: সুদের হার পুরুষদের ঋণ গ্রহিতাদের জন্য ৯% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭% (সরল সুদ হারে)
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেল। মূলত যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ভিত্তিতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও যারা প্রবাসে অবস্থান করছেন এমনকি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন তাদেরকে ঋণ দেওয়া হয়। তবে প্রবাসীদের কয়েকটি প্রকারভেদ এর ওপর ভিত্তি করে তাদের লোন দেওয়া হয়। সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে তিন ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং ঋণ অনুযায়ী ঋণের সর্বোচ্চ টাকার পরিমাণ কত হবে সেটাও নির্ধারণ করা হয়।
মূলত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আওতায় তিন ধরনের ঋণ হয়ে থাকে যেমন: অভিবাসন ঋণ, পূর্ণবাসন ঋণ এবং অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ। মূলত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি ঋণের ক্ষেত্রে খুবই ভালো একটি অ্যামাউন্ট প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে অনেক মানুষ বিদেশে পাড়ি জমাতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে ওপরের অংশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে তিনটি আয়াতে ঋণ প্রদান করে থাকে সেই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনারা চাইলে বিষয়গুলি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। এতে আপনার অনেক উপকারে আসবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। আর যদি আপনি নিয়মিত তাদের নিয়ম অনুযায়ী কিস্তি পরিষদ না করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানা বা বিলম্ব ফি গুনতে হবে। আর এর জন্য লোন গ্রহণের পরের দিন থেকেই আপনাকে সাপ্তাহিক বা মাসিক চুক্তিতে সময়মতো লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার পর পরিশোধ করতে হলে আপনাকে দুই ভাবে পরিশোধ করতে হবে। প্রথমত ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হয়ে আপনাকে হিসেব নাম্বার অনুযায়ী লোনের কিস্তি পরিষদ করতে হবে। দ্বিতীয়ত অনলাইনে কিস্তি পরিশোধ সুবিধা রয়েছে সেখানে সঠিকভাবে আপনাকে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০টি উপায়ে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ - বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার ১২ টিপস
অনলাইনের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিকাশ, নগদ, অথবা রকেটের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও যারা দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন তারা সরাসরি ব্যাংকের পটালে ঢুকে সেখানেও পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে আপনার কিস্তির ডেট কবে কারন ডেট অনুযায়ী কিস্তি না দিলে জরিমানা বা বিলম্ব ফি গুনতে হবে। তাই আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম অনুযায়ী সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
সাধারণত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের বিভিন্ন উপায়ে আর্থিক সেবা সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে। এটি মূলত প্রবাসীদের বিভিন্ন উপায়ে আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে প্রবাসীরা বিভিন্ন উপায়ে লোন গ্রহণ করতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার এমন অনেক সুবিধা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক ভালো এবং কম সুদের হার প্রস্তাব করে। যা ঋণ গ্রহণকারীদের জন্য আর্থিকভাবে সুবিধা জনক।
- এছাড়াও বিদেশে চাকরির জন্য অথবা যদি ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান পাবেন। কারণ তারা চাকরি বা কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমন করতেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে থাকে।
- প্রবাসে থাকাকালীন যদি কোন প্রবাসীর আর্থিক সমস্যা হয় তাহলে সেই সমস্যা থেকে উদ্ধারের জন্য আপনি চাইলে প্রবাসী ব্যাংক কল্যাণ লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা লোন প্রদান করে থাকে।
- কোন প্রবাসী যদি দেশে ফিরে অন্য কাজের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থা তৈরি করতে চাই সে ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে।
- এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন শর্তের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে লোন প্রদান করে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অসুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নেওয়ার যেমন ভালো সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর অসুবিধা রয়েছে। সব কিছুরই কোন না কোন সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ঠিক তেমনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অসুবিধা গুলো কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেওয়ার সময় অর্থাৎ ঋণ এর আবেদন ও প্রক্রিয়া বেশ জটিল হতে পারে। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক ধাপ এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হয় আর এর জন্য আপনার ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- আবার কিছু কিছু সময় ঋণের শর্তাবলী কখনো কখনো কঠোর হতে পারে। আর এই শর্তাবলীগুলো বুঝতে সমস্যা হতে পারে, ঋণগ্রহীতার জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
- আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে লোন পরিষদের জন্য নির্ধারিত একটি সময় রয়েছে সেই সময়ের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। এই সময়সীমা হয়তো কারো কারো কাছে কষ্টসাধ্য হতে পারে। বিশেষ করে যদি ঋণগ্রহীতার আয় এর পরিমাণ কম হয় তাহলে এটা খুবই কষ্টকর।
- ঋণের জন্য জামানত বা গ্যারান্টি প্রয়োজন হতে পারে যা একজন ঋণগ্রহীতার জন্য অতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করতে পারে।
- এছাড়াও কখনো কখনো ঋণ প্রক্রিয়ার সময়সীমা দীর্ঘ হতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা সমূহ
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশের প্রায় সব বিভাগেই রয়েছে। তবে বিশেষ করে ঢাকা বিভাগে তুলনামূলকভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার পরিমাণ বেশি। আপনি যদি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখার ঠিকানা জানতে চান তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এই https://pkb.gov.bd/ লিংকে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল টপিক ছিল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনিও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন এর আবেদন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পূরণ করে লোন পেতে পারেন। এবং আপনি আপনার অর্থনৈতিক স্বপ্ন পূরণের সহায়তা পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে - সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url