প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতাআমাদের প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত, চলুন এই বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক। মূলত আমরা অনেকেই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তবে আঁশযুক্ত খাবার খেলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আঁশযুক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কারণ আঁশযুক্ত খাবার হলো সেই অংশ যা আমাদের পেটের ভিতর গিয়ে পরিপাক হয় না, মূলত এই খাবার গ্রহণের পর অবশেষ হিসেবে জমা হয়ে মল তৈরি করে। আবার আমরা প্রতিদিন যে সকল খাবার খাই সে সকল খাবার গুলোর মধ্যেও কিন্তু আঁশ রয়েছে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে প্রতিদিন ঠিক কি পরিমান আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত।
সূচিপত্র: প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
- প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
- আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে
- আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন
- আঁশযুক্ত খাবার কোনগুলো
- আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা
- আঁশযুক্ত সবজি কি কি
- আঁশযুক্ত মাছ কি কি
- সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি
- আঁশযুক্ত খাবার তালিকা
- দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে
- শেষ কথা
প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
প্রতিদিন নিয়ম করে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ আঁশযুক্ত খাবারের রয়েছে ফাইবার জাতীয় উপাদান, যা আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যে সকল খাবার আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এবং পুষ্টি দেয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এ সকল খাবারকে আঁশযুক্ত খাবার বলে।
তবে যাদের বয়স কম তাদেরকে আঁশযুক্ত খাবার কম খেতে হবে এবং যাদের বয়স সীমা বেশি তাদেরকে অবশ্যই আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। কারণ আমরা সকলেই জানি যে সুস্থ থাকার জন্য খাবার গ্রহণ করাটা কতটা প্রয়োজন। আপনার যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান এবং আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আবার যদি আপনি পরিমাণের চেয়ে আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের খুবই মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিমাপ মতো আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যের উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই নিয়মিত খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন গাজর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা - গাজর কাঁচা খাওয়া কি ভালো
বিশেষ করে ২ থেকে ৫ বছরের শিশুদের নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার ১৫ গ্রাম খেতে দিতে হবে। আর যদি এর চাইতে বেশি খাওয়ানো হয় তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে না। আবার ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার ২০গ্রাম গ্রহণ করতে হবে। আবার ১১ থেকে ১৬ বছরের কিশোর কিশোরীদের অবশ্যই নিয়মিত ২৫ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। এবং ১৭ থেকে তার উপর বয়সের সকল মানুষদের নিয়মিত ৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। এর চাইতে বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
সাধারণত যেসব খাবারের মধ্যে আঁশযুক্ত উপাদান রয়েছে সেগুলো নিয়মিত এবং পরিমাপ মতো খাওয়া উচিত। বিশেষ করে আমাদের সকলেরই আঁশযুক্ত ফলগুলো খেতে হবে। যদি দৈনন্দিন জীবনে আমরা নিয়ম করে প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার খাই তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের অল্পতেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, সাধারণত তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে আর এই সমস্যাটির সবচেয়ে বড় সমাধান হলো আঁশযুক্ত খাবার। তাই যাদের অল্পতেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের জন্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে? এই বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে কিছু ধারণা দিয়েছি। তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আঁশযুক্ত খাবার সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব। মূলত আঁশযুক্ত খাবার মানেই হচ্ছে ফাইবার জাতীয় খাবার। এখন আমাদের জানার বিষয় হল যে আসলে কোন কোন অথবা কোন ধরনের খাবার কে আঁশযুক্ত খাবার বলা হয়।
সাধারণত যে সকল খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেসব খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যে সকল খাবার আমাদের শরীরের রক্তে কোলেস্টরের মাত্রা কম করার সক্ষমতা রাখে এবং আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনার সক্ষমতা রাখে এ সকল খাবারকে আঁশযুক্ত খাবার বলে। এছাড়াও যে সকল খাবার আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ আনার সক্ষমতা রাখে মূলত সে সকল খাবারকে আঁশযুক্ত খাবার বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এই আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এর জন্য খুবই কার্যকরী।
আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন
আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে আঁশযুক্ত খাবারে রয়েছে ফাইবার জাতীয় উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। আঁশযুক্ত খাবার খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় সেই উপকারগুলি অন্য খাবার খেলে পাওয়া যায় না। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এর জন্যই আঁশযুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ
তবে বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এ সকল ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়ম করে এবং পরিমাপ মতো আঁশযুক্ত খাবার খায় তাহলে তাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।তাই এই আঁশযুক্ত খাবার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আঁশযুক্ত খাবার কোনগুলো
আঁশযুক্ত খাবার কোনগুলো? এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। কারণ আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আঁশযুক্ত খাবার কোনগুলো এই বিষয় সম্পর্কে যদি আমাদের জানা থাকলে অবশ্যই আমাদের শরীরের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত আঁশযুক্ত খাবারের মধ্য রয়েছে ফুলকপি, বেগুন, পটল, কলার মোচা, মটরশুটি, বরবটি ইত্যাদি। এছাড়া আরো এমন অনেক আঁশযুক্ত খাবার রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলো।
- আঁশযুক্ত খাবারের মধ্য ফলগুলি হলো: পেয়ারা, পাকা টমেটো, নারিকেল, আতাফল, পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, আপেল, কামরাঙ্গা, কালোজাম ইত্যাদি। এ সকল ফল গুলো হল আঁশযুক্ত ফল।
- শাকের মধ্যে আঁশযুক্ত সবজি গুলি হলো: কচু শাক, মুলা শাক, কলমি শাক, পুঁইশাক, মিষ্টি আলু শাক, লাউ কুমড়োর আগা ইত্যাদি। এ সকল সবজি হল আঁশযুক্ত সবজি।
- আঁশযুক্ত ডালের মধ্য রয়েছে: মুগ ডাল, খেসারি ডাল, ছুলা, মটর, যব, ভুট্টা, তিল, আটা, সরিষা ইত্যাদি। এই খাবার গুলোর মধ্যে মূলত বেশি বেশি আঁশ রয়েছে।
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা
আঁশযুক্ত খাবার প্রতিদিন কি পরিমাণ খাওয়া উচিত? এই বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি।এবার আমরা আলোচনা করব আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি এই বিষয় সম্পর্কে।সাধারণত আঁশযুক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকবে আর এই পুষ্টিগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং রোগ রয়েছে তাদের জন্য এই আঁশযুক্ত খাবার খুবই উপকারী। চলুন তাহলে আঁশযুক্ত খাবার খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় সেই বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রতিদিন যদি নিয়ম করে পরিমাপ মতো আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। তাই আপনার যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আঁশযুক্ত খাবারগুলি খেতে পারেন।
- এছাড়াও বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- আঁশযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আবার যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা আঁশযুক্ত ফলগুলি এবং সবুজ সবজিগুলি খেতে পারেন।
- আঁশযুক্ত খাবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। তাছাড়াও আঁশযুক্ত খাবারগুলি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আঁশযুক্ত সবজি কি কি
আঁশযুক্ত সবজি কি কি? এই বিষয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকি। এর মধ্যে অনেক শাকসবজি রয়েছে যেগুলো আঁশযুক্ত সবজি অথচ আমরা অনেকেই জানি না যে আমরা ঠিক কি ধরনের সবজি খাচ্ছি। সাধারণত প্রতিটি শাকসবজির মধ্যেই কোন না কোন উপাদান রয়েছে। তবে এর মধ্যে উপাদানের ভিন্নতা রয়েছে। যদি আপনি আঁশযুক্ত খাবার খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আঁশযুক্ত খাবার গুলির নাম সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আঁশযুক্ত সবজিগুলো কি কি সেই সম্পর্কে জানা যাক।
আরও পড়ুন: আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আপেল খাওয়ার নিয়ম
এমন অনেক ধরনের আঁশযুক্ত শাকসবজি রয়েছে যেগুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। এমন কিছু সবুজ শাকসবজি রয়েছে যেগুলো আমরা যদি নিয়মিত খাই তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। কারণ এই সবজিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত উপাদান রয়েছে। আর এই উপাদান গুলি আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে বিশেষ করে শাক জাতীয় খাবারের মধ্যে বেশ ভালো পরিমানে আঁশযুক্ত উপাদান রয়েছে। যেমন: কচু শাক, মুলা শাক, কলমি শাক, পুঁইশাক, মিষ্টি আলুর শাক ইত্যাদি। এ সকল শাকসবজি গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়। তাই এই খাবারগুলি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
এছাড়াও এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়মিত খেয়ে থাকি এগুলোর মধ্যেও কিন্তু কিছু কিছু খাবারের মধ্যেও বেশ ভালো পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়। যেমন: বেগুন, পটল, কলার মোচা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সজনে, মটরশুঁটি, ডাটা, বরবটি ইত্যাদি। সাধারণত এ সকল সবজিগুলোর মধ্য প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান থাকে তাই এগুলো খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবারের চাহিদা মেটাতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাপ মতো এ সকল আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আশা করি আজকের এই অংশটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই আঁশযুক্ত সবজি কি কি? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
আঁশযুক্ত মাছ কি কি
আঁশযুক্ত সবজি কি কি? এই বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেও ওপরের অংশে আলোচনা করেছি। এবার আমরা আঁশযুক্ত মাছ কি কি? এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা প্রায় সকলেই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের মাছ খেয়ে থাকি। তবে আঁশযুক্ত মাছ ঠিক কোনগুলো এই বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন তাহলে আঁশযুক্ত মাছ কি কি অথবা আঁশযুক্ত মাছ কোনগুলি সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেয়ে থাকি। তবে আঁশযুক্ত মাছ কোনগুলো এ বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। মাছের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিষয় হচ্ছে যে আপনি যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত মাছ খেতে হবে।
তবে আঁশযুক্ত মাছ কিন্তু সবগুলোই নয়, কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো আঁশযুক্ত মাছ। যে সকল মাছের মধ্যে আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে সেগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চলুন তাহলে যে সকল মাছের মধ্যে আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে সেই মাছগুলোর নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।আঁশযুক্ত মাছগুলো হলো: রুই মাছ, কৈ মাছ, ইলিশ মাছ, টেংরা মাছ, বেশি মাগুর মাছ ইত্যাদি। তবে আপনি বিশেষ করে আঁশযুক্ত এই মাছগুলোর মধ্যে রুই মাছ হতে পারেন। কারণ রুই মাছে বেশ ভালো পরিমানে আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি
প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত? এই বিষয় সম্পর্কে আমরা উপরে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আঁশযুক্ত সবজি কোনগুলো এই বিষয় সম্পর্কেও আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি কোনগুলো এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা প্রতিদিন অনেক ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকি এগুলোর মধ্যে আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত যে সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি ঠিক কোনগুলি। কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই এই সবজিগুলোর নাম সম্পর্কে জানেনা। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজিগুলোর নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে: গাজর, ফুলকপি এবং ব্রকলি। সাধারণত এই তিনটি সবজির মধ্য বেশ ভালো পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে। তাই শরীরের আঁশ জাতীয় খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য এই সবজিগুলি নিয়মিত খাওয়া উচিত।
আঁশযুক্ত খাবার তালিকা
প্রতিদিন কি পরিমান আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদেরকে অবশ্যই আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই সেসব খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু আঁশযুক্ত শাকসবজি এবং ফলমূল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সাধারণত এই খাবারগুলি আমরা নিয়মিত খেয়ে থাকি।এমন অনেক শাকসবজির মধ্য প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান পাওয়া যায়।
আমরা প্রতিনিয়ত যে সকল খাবার খেয়ে থাকি এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত যে সকল ফল খেয়ে থাকি তার মধ্যে আঁশ জাতীয় ফলগুলি হল: পেয়ারা, আতাফল,নারিকেল, বেল, কালোজাম, কদবেল ইত্যাদি।
দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে
দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে? এই বিষয় সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিমাণের চেয়ে যদি আপনি বেশি আঁশজাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই পরিমাপ মতো আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। আর এই খাবার খাওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ আপনার বয়সের ওপর নির্ভর করে। কত বয়সের মানুষ অথবা কত বছরের শিশু এবং কত বছরের কিশোর-কিশোরীরা কত গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারবে এই বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে উপরের অংশে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে উপরের অংশে নির্ধারিত বিষয়গুলি পড়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা | গর্ভবতী মায়ের ফল খাওয়ার তালিকা
তবুও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা জানাচ্ছি যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। এর চেয়ে বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। আর যদি এর থেকে বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করে ফেলে তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে ভেবে চিনতে প্রতিনিয়ত ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। আশা করি আজকের এই অংশটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় ছিল প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত? এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আঁশযুক্ত খাবার সম্পর্কে আরো নানারকম বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এখন বিষয় হচ্ছে যে আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাপ মতো আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান এবং যদি নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনে হচ্ছে সহকারে পড়তে হবে। মানব শরীরের জন্য আঁশযুক্ত খাবার অত্যন্ত জরুরি এবং প্রয়োজন। তাই এটি কে অবহেলা করা চলবে না।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url