ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে - কোরবানি করার নিয়ম
জুম্মার দিনের ১৫ টি আমল - জুম্মার দিনের শ্রেষ্ঠ আমলঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে হবে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে অনেক মুসলমান ভাই- বোনেরা আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। সাধারণত প্রতিবছরের মত এবারও অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আযহা। তবে ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে এবং কোরবানি করার নিয়ম এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে হবে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের মুসলমানদের বছরে যে দুটি ধর্মীয় উৎসব রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঈদুল আযহা। তবে পৃথিবীর সকল দেশে কিন্তু ঈদ একই সাথে পালন করা হয় না। কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করে থাকেন এবং আপনি যদি ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্র: ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে - কোরবানি করার নিয়ম
- ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে
- কোরবানি করার নিয়ম
- সৌদি আরবে কোরবানির ঈদ কত তারিখে
- কোরবানি করার ফজিলত
- কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
- কাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব
- কোরবানি না করলে কি গুনাহ হবে
- শেষ কথা
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে হবে সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি। চলুন তাহলে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
আমাদের মুসলমানদের জন্য কোরবানির ঈদ হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঈদ।সাধারণত এই ঈদুল আযহা কোরবানি করার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। কোরবানি করা হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তাই আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোরবানির ঈদ কবে সেই বিষয়ে সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। তা না হলে আপনি সময় মতো পশু কোরবানি করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়
সাধারণত মুসলমানদের বছরে দুইটি ধর্মীয় ঈদ পালন করা হয়। আর এই দুটি ঈদ কোন তারিখে হবে এই বিষয়টা আগে থেকেই নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যদিও আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মুসলমানদের এই দুটি ধর্মীয় উৎসব নির্ণয় করা হয়ে থাকে।তবুও কিন্তু মুসলমানদের দুটি ঈদ যেমন ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপনের আগে যেটা খুবই বড় বিষয় হয়ে পড়ে সেটা হচ্ছে চাঁদ দেখা নিয়ে। মূলত মুসলমানদের এই দুটি ঈদ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। যদি নতুনভাবে চাঁদ দেখা যায় তাহলে আপনি বুঝবেন যে নতুন মাস শুরু হয়েছে। আর যদি চাঁদ না দেখা যায় তাহলে আপনি বুঝবেন যে নতুন মাস শুরু হয়নি। আমি আপনাদেরকে একটা কথা আগে থেকেই বলে দিতে চাই যে আগে থেকেই কিন্তু কেউ কখনো বলতে পারে না যে কোরবানির ঈদ অথবা রোজার ঈদ কবে পালন করা হবে।
তবে এখন বর্তমান সময়ে যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর তথ্য অনুযায়ী এখন সবকিছুই অনুমান করা সম্ভব।আর বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে মুসলমানদের এই দুটি ধর্মীয় উৎসব ঠিক কবে হবে। তবে ২০২৪ সালের কোরবানির ঈদ হবে কবে এই বিষয়ে চাঁদ দেখা কমিটিরা নির্দেশনা দিয়েছে, যে জুন মাসে ১৭ তারিখ জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এই কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে উদযাপন করা হবে।
কোরবানি করার নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে ঈদুল আযহা ২০২৪ বাংলাদেশ কত তারিখে হবে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। আমরা জেনেছি যে জুন মাসের ১৭ তারিখে কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। মূলত এই জুন মাসের ১৭ তারিখে আমাদেরকে পশু কোরবানি করতে হবে। তবে পশু কোরবানি অর্থাৎ পশু জবাই করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই আপনি যদি চান আপনার কোরবানি আল্লাহ তা'আলা কবুল করুক তাহলে আপনাকে অবশ্যই পশু কোরবানি করার নিয়ম গুলি জেনে পশু কোরবানি করতে হবে।
প্রথমত কোরবানি করার আগে অবশ্যই আপনাকে কেবলামুখী করে পশুকে শুইয়ে দিতে হবে। আর বাংলাদেশে যেহেতু কেবলা পশ্চিম দিকে তাই আপনাকে আপনার কোরবানির পশুকে পশ্চিম দিকে মুখ করে শুইয়ে দিতে হবে। আর এভাবে কোরবানির পশুকে শুয়ানো সবচেয়ে উত্তম। এবার পশুকে শুয়ানোর পর ভালোভাবে পশুর পা দড়ি দিয়ে বেঁধে নিতে হবে, যেন কোরবানি করার সময় পশু হাত পা নাড়াচাড়া না করতে পারে। মূলত কোরবানি করার আগে এই বিষয়গুলি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
আর আপনি যদি উট কোরবানি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নাহর করতে হবে। এই বিষয়টি আপনাকে এমন ভাবে করতে হবে যেন উট দাঁড়ানোর অবস্থায় বুকের দিক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চলে যাওয়ার প্রধান রক্ত বাহি রগ কেটে দিতে হবে।এবার নাহর করার পরে দেখবেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হবে। এবং তখন ধীরে ধীরে উট নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং আস্তে আস্তে মাটিতে ঢলে পড়বে, এরপরে একসময় তার মৃত্যু নিশ্চিত হবে। এছাড়াও আপনি যদি পারেন তাহলে উটকে শুইয়ে কোরবানি করতে পারেন। তবে যে কোন পশু কোরবানি করার আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে ছুরিধার করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় - যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না
ছুরি ভালোভাবে ধার না করার কারণে এমন অনেক সময় দেখা যায় যে পশুর গলা কাটার সময় পশু অনেক বেশি কষ্ট পায়।আপনি যখন পশু কোরবানি করার জন্য তার গলায় ছুরি ধরবেন তখন ওই সময় আপনাকে অবশ্যই উচ্চস্বরে ,,বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার,, বলতে হবে। তবে আপনি যদি শুধু বিসমিল্লাহ বলেন তাহলেও হবে। তবে আপনি যদি পশু কোরবানি করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে এই দোয়া না পড়েন তাহলে আপনার কোরবানির গোশত হালাল হবে না। তাই অবশ্যই কোরবানি করার সময় আপনাকে উচ্চস্বরে ,,বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার,, বলতে হবে।
সৌদি আরবে কোরবানির ঈদ কত তারিখে
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে অর্থাৎ কোরবানির ঈদ বাংলাদেশ কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এমন অনেকে বাঙালি রয়েছে যারা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কাজের জন্য গিয়ে বসবাস করে থাকেন। আর এই জন্য তারা জানে না যে তার এলাকায় ঠিক কত তারিখে ঈদ হবে। কারণ সব জায়গাতেই কিন্তু একসাথে ঈদ উদযাপন করা হয় না। ভৌগোলিক কারণে এর সময়ের অনেক পার্থক্য রয়েছে বিভিন্ন দেশে। সাধারণত সৌদি আরব এবং বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের ভিন্নতা রয়েছে। প্রতিবছরই দেখা যায় যে সৌদি আরবে যেদিন ঈদ উদযাপন করা হয় ঠিক তার পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হয়।
আমরা যদি রোজার ঈদের কথা বলি তাহলে সৌদি আরবে রোজার ঈদ অর্থাৎ ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছিল এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে। আর বাংলাদেশ ঈদ পালন করা হয়েছিল ১১ তারিখে। শুধু যে এই বছরই এরকম হয়েছে তা কিন্তু নয়, এটি মূলত সারা বছর ধরে এ ধারাবাহিকতা চলে আসছে এবং সারা জীবন এই ধারাবাহিকতা এভাবেই চলতে থাকবে।
রোজার ঈদের শেষে অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ঈদের পর সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে জানা গিয়েছে যে জুন মাসের ১৬ তারিখ এবং জিলহজ মাসের ১০ তারিখ কোরবানির ঈদ হতে পারে। যেহেতু জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। তাই সৌদি আরবে জুন মাসের ১৬ তারিখে কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা পালন করা হবে। তবে এই বিষয়টা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তবে যদিও কোন পার্থক্য দেখা যায়,, তাহলে মূলত ১ থেকে ২ দিন হতে পারে,, তার বেশি নয়। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে সৌদি আরবে কোরবানির ঈদ ঠিক কত তারিখে পালন করা হবে।
কোরবানি করার ফজিলত
আমরা যদি সবাই কোরবানি করার ফজিলত সম্পর্কে জানি তাহলে আমরা সবাই অবশ্যই কোরবানি করব। কারণ এমন অনেকেই রয়েছে যারা কোরবানি করতে চায় কিন্তু অর্থ ব্যয় হয়ে যাবে বলে কোরবানি করি না। কিন্তু এরকম করাটা একেবারে উচিত না। তাই আপনি যদি সামর্থ্যবান ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই ঈদুল আযহা ঈদের দিন কোরবানি করতে হবে। কারণ মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে কোরবানি সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করেছেন।
তাই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কোরবানি করার ফজিলত ঠিক কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।কোরবানি ঈদের দিন আমরা আল্লাহতালা কে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের পছন্দের কোন কিছু কোরবানি দিচ্ছি কিনা এই বিষয়টি জানার জন্য আল্লাহ তাআলা কোরবানির বিধান চালু করেছেন। তাই প্রতিটি সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে অবশ্যই কোরবানির বিধান মানতে হবে।কোরবানি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত।
তাই যদি আপনি সামর্থ্যবান ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণে সম্পদ থাকে তাহলে আপনি কখনোই কোরবানি ত্যাগ করবেন না। কারণ কোরবানি ত্যাগ করলে অনেক বেশি গুনাহর অংশীদারি হয়ে পড়বেন। আমরা কিন্তু কেউ চায়না গুনার অংশীদারি হতে। তাই আমাদের মধ্যে যাদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তারা অবশ্যই আল্লাহকে খুশি করতে কোরবানি করব। কারণ কোরবানি হলো অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত।
কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
কোরবানির ঈদের দিন থেকে শুরু করে কয়দিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া যায়? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আমাদের মধ্যে এমন অনেক ভুল ধারণা রয়েছে যে শুধুমাত্র কোরবানির ঈদের দিনে পশু কোরবানি দিতে হয়, আর অন্য দিন পশু কোরবানি দিলে সেটা কোরবানি হবে না। তবে এরকম কোন কথা নয়। আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে যে কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়।
অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন কারণে আমরা অনেকেই কোরবানি ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে পারি না। যদি এরকম কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে আপনি চাইলে কোরবানির ঈদের দিন পশু কোরবানি না করতে পারলে দুইদিন পরও পশু কোরবানি করতে পারবেন। আর এই বিষয়টি ইসলামিক বিধানে রয়েছে। মূলত কোরবানির ঈদ তিন দিনের হয়ে থাকে। ইসলামিক বিধানে জিলহজ মাসের ১০,-১১, এবং ১২ তারিখ কোরবানির ঈদ পালন করা যায়। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো কোরবানির ঈদের দিন পশু কোরবানি করা।
ইসলামিক বিধানে কোরবানি করার সবচেয়ে উত্তম দিন হচ্ছে ঈদের দিন অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পশু কোরবানি করো। তবুও যদি কোন কারণ বশত আপনি মুসাফির অবস্থায় থাকেন তাহলে বাসায় এসে ১১ তারিখ অথবা ১২ তারিখে পশু কোরবানি করতে পারবেন, এতে কোন সমস্যা নেই। মূলত ঈদের দিন এবং ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেয়া যায়। মোট তিন দিন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে, এতে কোন সমস্যা নেই। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কয়দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেওয়া যায়।
কাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব
কাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন বেশ কিছু ইবাদত রয়েছে যেগুলো ফরজ ইবাদত অর্থাৎ এই ইবাদত গুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। কারণ ফরজ ইবাদত গুলোর কোন মাফ নেই। এটা আপনাকে পালন করতেই হবে। আবার এমন বেশকিছু ইবাদত রয়েছে যেগুলো সুন্নত এবং ওয়াজিব। সাধারণত এই ইবাদতগুলি ব্যক্তি ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি সুন্নত না পড়েন সেক্ষেত্রে গুনা হবে না। কিন্তু আপনি কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করবেন না। তবে আপনি যদি সুন্নত পড়েন তাহলে অধিক সোয়াব পাবেন। আবার আপনার কাছে যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং যদি আপনার ওপরে যাকাত ফরজ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পশু কোরবানি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি - তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
আর যদি আপনি একটি পশু একাই কোরবানি না দিতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে আপনি ভাগে কোরবানি দিতে পারেন, এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। তবে ভাগে কোরবানি দেওয়ার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে আপনি মনে রাখবেন যে আপনি কোন ধরনের ব্যক্তির সাথে পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় যেসব প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে। এছাড়াও যদি কোন সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তির কাছে নেসব পরিমাণ সম্পদের থেকেও যদি অধিক পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, যা যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের পরিমাণ হয়। অর্থাৎ টাকার অংকে আনুমানিক যদি ৫৫ হাজার টাকা হয় তাহলে সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
তবে যদি কোন পাগল ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদও থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে না।
কোরবানি না করলে কি গুনাহ হবে
কোরবানির না করলে কি গুনাহ হয়? এই প্রশ্নটা অনেকেই করে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো যে কোরবানি না করলে কি গুনাহ হবে কি হবে না? মূলত আপনি যদি একজন মুসলমান ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোরবানি দিতে হবে। কারণ আল্লাহতালা সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপরেই আর্থিক ইবাদত গুলি ঘোষণা করেছেন। আর এই আর্থিক ইবাদত মূলত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে আর এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পশু কোরবানি করা।
কারণ আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অর্থাৎ আল্লাহকে খুশি করার জন্য আমরা অনেকেই পশু কোরবানি করে থাকি। তবে পশু কোরবানি করার জন্য বাজার থেকে ভালো মানের পশু কিনতে হয় আর এর কারণেই অবশ্যই আমাদেরকে অর্থ ব্যয় করতে হয়, তাই আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সাধারণত তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। তাই আপনার কাছে যদি অর্থ থাকে এবং আপনি যদি আল্লাহর দেওয়া নির্দেশ না মানেন তাহলে অবশ্যই আপনার গুনাহ হবে। আর এর ফলে আপনাকে হাশরের ময়দানে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে। তাই যদি আপনার কাছে অর্থ থাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহর নির্দেশ মেনে পশুকোরবানি করবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,, আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় ছিল ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন সচেতন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। কারণ আমরা যদি আগে থেকেই জেনে থাকি যে কোরবানির ঈদ কত তারিখে হবে, তাহলে আমরা খুব সহজেই ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারব। এবং আগে থেকেই পশু কিনে রাখতে পারব কোরবানি করার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে এবং কোরবানি করার নিয়ম সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
আরও পড়ুন: নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম - নামাজের রাকাত ও ফরজ কয়টি
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে - কোরবানি করার নিয়ম,,,, আজকের এই পোষ্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত এবং প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন। এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। এতক্ষণ সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url