কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম - ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও পা ফাটা দূর করার ক্রিমপ্রিয় বন্ধুরা,, আপনারা যারা ঠোটের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আপনারা যারা কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকে আমরা কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
বিভিন্ন কারণে ঠোঁটের কালো দাগ হয়ে থাকে, আবহাওয়ার বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে কম বেশি সবারই ঠোঁটে কালো দাগ দেখা যায়, তবে এর প্রতিকারও রয়েছে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ।
সূচিপত্র: কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম - ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
- ঠোঁটে কালো দাগ কেন হয়
- ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
- কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম
- গোলাপি ঠোঁট পেতে কি খাওয়া উচিত
- ঠোঁট কালো কোন রোগের লক্ষণ
- শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন
- শেষ কথা
ঠোঁটে কালো দাগ কেন হয়
বিভিন্ন কারণে ঠোঁটে কালো দাগ দেখা যেতে পারে। তবে বিশেষ করে আবহাওয়ার বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে কিন্তু কম বেশি সবারই ঠোঁটে কালো দাগ হয়ে থাকে। তবে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করে তাদের ঠোঁটের কালো দাগ অধিকাংশ বেশি থাকে। ধূমপান যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ঠিক তেমনি এর পাশাপাশি ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। আর এই ঠোঁটের কালো দাগের কারণে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে ঠিক কি কি কারণে ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিগারেট খেলে কি কি ক্ষতি হয় - সিগারেট ছাড়ার উপায় সমূহ
ধূমপান: ঠোঁট কালো হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানের কারণে অধিকাংশ মানুষের ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। কারণ সিগারেটের তাপ ঠোঁটের ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। আর এই সমাধানে ত্বকের আরোগ্য লাভের জন্য ধূমপান থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরী।
এলার্জির প্রতিক্রিয়া: প্রসাধনীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ঠোঁটে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। মূলত এই অবস্থাকে এলার্জিক কন্টাক্ট চাইলাইটিস বলা হয়ে থাকে।
হরমনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও ঠোঁটে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা যদি হয়ে থাকে তাহলে স্বাভাবিক মাত্রার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় যেসব পদক্ষেপ রয়েছে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ: বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার কারণে ঠোঁটে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রয়েছে যেমন: ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ঔষধ, ব্যাথা নাশক ওষুধ, মাইক্রোবিয়াল বিরোধী ঔষধ ইত্যাদিসহ আরো কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো পিগ্মেন্টেইশন বাড়ায়। আর এই পিগ্মেন্টেইশন বাড়ানোর ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যায়। মূলত এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
পানি শূন্যতা: পানি শূন্যতার কারণেও ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে। আপনি যখন প্রচন্ড রোদে এবং বাতাসে বাহিরে থাকেন তখন আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করতে পারেন তাহলে এতে করে আপনার ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। এবং আপনার শুষ্ক ঠোঁটের চামড়া ছাড়াতে শুরু করবে যার কারণে আপনার ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে।
ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি: ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির কারণেও কিন্তু ত্বক এবং ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। মূলত এটি অ্যানিমিয়ার লক্ষণ, আর এই সমস্যা উপশম করতে মাল্টিভিটামিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
আমরা সকলেই চায় ঠোঁট সুন্দর থাকুক এবং ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠুক। তবে অধিকাংশ মানুষেরই কিন্তু বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তার মধ্যে মূল কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। ধূমপানের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে যেমন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়, ঠিক তেমনি এর প্রতিকারও রয়েছে। ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি ঠোঁটের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাবেন।
চিনি ও মধু: ঠোঁটের মরা কোষ অর্থাৎ ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে চিনি ও মধু বিশেষভাবে কাজ করে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনি প্রথমে এক চামচ মধুতে হাফ চামচ চিনি মিশিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে তারপর ঠোঁটে ভালো করে মাসাজ করুন। এই পদ্ধতিটি আপনি দিনে কয়েক বার করুন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ঠোঁটের রং গোলাপি হতে শুরু করেছে।
হলুদ ও দুধ: হলুদ ও দুধ ত্বক এবং ঠোঁট গোলাপি করতে বিশেষভাবে কাজ করে। তাই আপনি যদি ঠোঁটকে গোলাপি করতে চান তাহলে প্রথমে এক চামচ হলুদ ও এক চামচ দুধ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে ভালোভাবে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।
জলপাইয়ের তেল: জলপাইয়ের তেল ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রাখতে বেশ উপকারী। ঠোঁটের কালচে ভাব অর্থাৎ ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে জলপাইয়ের তেল পরিমাণ মতো নিয়ে ভালোভাবে ঠোঁটে মাসাজ করুন। এটি কয়েকদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার ঠোঁটের আদ্রতা এবং আপনার ঠোট মসৃণ হওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবে।
নারকেল তেল: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য নারকেল তেল বিশেষভাবে কাজ করে। আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণ মতো নারকেল তেল ঠোঁটে মাসাজ করুন। এই পদ্ধতি কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার ঠোঁটের কালচে দাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
লেবু ও অ্যালোভেরা: লেবু ও অ্যালোভেরা ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী। তাই আপনি যদি ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে চান তাহলে এক চামচ এলোভেরার সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ঠোঁটে মালিশ করুন। এই পদ্ধতি কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ঠোঁট মসৃণ হবে।
বাদামের তেল: বাদামের তেল ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে বাদামের তেলের সাথে এক চামচ মধু এবং খানিকটা চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে মালিশ করুন। আর এটি যদি আপনি নিয়মিত ঠোঁটে মালিশ করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম
কালো ঠোটকে গোলাপি করার জন্য এমন অনেক ধরনের ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে। মূলত সবচেয়ে ভালো ঠোঁটের ক্রিম আপনার ঠোঁটের ধরন এবং আপনার প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। চলুন তাহলে কিছু জনপ্রিয় ঠোঁটের ক্রিম যা আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করতে সাহায্য করবে,, সেই ক্রিমের নামগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- Scru লিপ ক্রিম
- Bioaqua লিপ ক্রিম
- Sexy Pink লিপ ক্রিম
- লাকমে লিপ লাভলি ফর্সা লিপ ক্রিম
- Clovate-N লিপ ক্রিম
- বোরোলিন লিপ ক্রিম
- ম্যাক্সি লিপ ফর্সা লিপ ক্রিম
গোলাপি ঠোঁট পেতে কি খাওয়া উচিত
আমরা সকলেই ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই ঠোঁট কিভাবে গোলাপি করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে জানিনা। আমরা ইতিমধ্যে কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা উপরোক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কালো ঠোঁটকে গোলাপি কিভাবে করতে হয়। এবার আমরা আলোচনা করব গোলাপি ঠোঁট পেতে কি খাওয়া উচিত। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক যে গোলাপি ঠোঁট পেতে কি কি খাবার খাওয়া উচিত।
- দই
- তরমুজ
- মধু
- টমেটো
- অ্যালোভেরা
- নারিকেল
ঠোঁট কালো কোন রোগের লক্ষণ
মেলানোমা ক্যান্সার: কিছু কিছু সময় ঠোঁটের কালো দাগ ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আর এই ঠোঁটের ক্যান্সারের রোগের নাম হলো মেলানোমা ক্যান্সার। মূলত এই ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হলো ঠোঁটে কালচে রং ধারণ করা, ক্রমশতা বৃদ্ধি পাওয়া, এবং ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি এসব রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ডিহাইড্রেশন: অনেক সময় আমাদের শরীরের ত্বক এবং ঠোঁটের শুষ্কতা সহ ঠোঁটে কালকে ভাবের মূল কারণ হতে পারে আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা। মূলত আমাদের শরীরে যখন পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
থাইরয়েডের: সাধারণত মানবদেহে যখন থাইরক্সিন হরমোনের বৃদ্ধি পায় তখন মানুষের শরীরে যে কোন অংশে দাগ হয়ে থাকে এবং তার সাথে সাথে ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে। আর এই সময় ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ার মানে হল থাইরয়েডের রোগের লক্ষণ।
হেমোক্রোমাইটোসিস: অনেক সময় দেখা যায় পুরুষের বংশগতভাবে হেমোক্রোমাইটোসিস নামক একটি সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সময় শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীরে আয়রন শোষণ করে। যার কারণে ত্বকের সাথে সাথে আমাদের ঠোঁটের রং কালচে রূপ ধারণ করে।
শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন
মূলত শীতকালে হিমেল হাওয়া বাতাসের আদ্রতা কমে যায় যার ফলে আমাদের ঠোঁট ফাটা এবং শরীরের শুষ্কতা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। আবার শীতকাল ছাড়াও কিন্তু আমাদের অনেকেরই বারোমাসি ঠোঁটের শুষ্কতা এবং ঠোট ফাটার মতো সমস্যার সাথে সাথে ঠোটে কালচেভাব দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে শুষ্ক ঠোটের যত্ন নিতে হবে। চলুন তাহলে শুষ্ক ঠোটের যত্ন নিতে কি কি করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নেওয়া যাক।
ঠোঁটের শুষ্কতা এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনি ভালো মানের লিপ জেল বা লিপ বাম ব্যবহার করুন। কারণ এখন বাজারে নানা রকম ঠোঁটে লাগানো ক্রিম বের হয়েছে আপনি কিন্তু যে কোন ক্রিম ঠোঁটে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভালো মানের লিপ বাম অথবা লিপ ক্রিম ব্যবহার করুন। আমরা ইতিমধ্যে উপরে কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিমের নাম নিয়ে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় | অ্যালার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ
আপনি চাইলে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার জন্য গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটের শুষ্কতা এবং কালো দাগ দূর করার জন্য গ্লিসারিনের সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব এবং শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে। তবে আপনি কখনোই শুধু মাত্র গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন না শুধু গ্লিসারিন ঠোঁটে ব্যবহার করলে উল্টে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই গ্লিসারিন এর সাথে কয়েক ফোটা গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে মালিশ করুন।
ঠোঁটের কালচে ভাব এবং ঠোঁটের শুষ্কতা এছাড়াও ঠোঁটের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে আপনি ভিটামিন সি জাতীয় শাকসবজি গ্রহণ করবেন। কারণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি এর অভাবে আমাদের শরীরের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন সি, ও ভিটামিন বি, জাতীয় শাকসবজি রাখুন।
ঠোঁটের শুষ্কতা বজায় রাখতে আপনি নিয়মিত ভালো মানের লিপ বাম অথবা লিপ জেল ব্যবহার করুন। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে আপনি কখনোই ঠোঁটে সরাসরি সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। এগুলো আপনার ঠোঁটকে ভালো রাখার বদলে ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও আমাদের ঠোঁটের সবচেয়ে বড় শুষ্কতার কারণ হচ্ছে বারবার জিব্বা দিয়ে ঠোঁটকে চাটা। বারবার জিব্বা দিয়ে ঠোঁটকে চাটার ফলে শুষ্কতা আরও বৃদ্ধি পায়। তাই বারবার জিব্বা দিয়ে ঠোঁট চাটা বন্ধ করুন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে শুষ্ক ঠোটের যত্ন নিতে ঠিক কি কি উপায় অবলম্বন করা উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় ভিউয়ার্স,, আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় ছিল কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ঠোটে কালো দাগ কেন হয়, গোলাপি ঠোঁট পেতে কি খাওয়া উচিত, ঠোট কালো কোন রোগের লক্ষণ, এবং শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি এগুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার কেন হয়- ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার ক্রিম এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এছাড়াও আজকের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। এবং এই ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url