পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ১০ টি টিপস
এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়মপ্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে। প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেয়েছেন। আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা পড়ালেখার মনোযোগী হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
তাই চলুন আর বেশি দেরি না করে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষার্থী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্র: পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ১০ টি টিপস
- ভূমিকা
- পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ১০ টি টিপস
- পড়ায় মন বসে না কেন
- পড়া মনে রাখার খাবার
- পড়া স্মরণ রাখার জন্য কোন সূরা পড়তে হয়
- শেষ কথা
ভূমিকা
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তাই একজন মানুষ হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই সুশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় হলো পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় বা টিপস। তাই আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এমন অনেকেই রয়েছে যাদের পড়ালেখায় মনোযোগ নেই এবং তারা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজকে পড়ালেখার মনোযোগী হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে জানাতে চলেছি।
আরও পড়ুন: অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করার নিয়ম ২০২৩ - ২০২৪ পদ্ধতি
এছাড়াও আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস পেতে পারেন যেগুলো আপনাকে একজন ভালো শিক্ষার্থী হতে সাহায্য করবে। তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আসুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার ১০ টি টিপস
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি না, আর এর জন্য আমরা অনেকেই নানা রকম উপায় অবলম্বন করে থাকে। তাই ভালোভাবে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আমরা নানা রকম প্রচেষ্টা করে থাকি, কিন্তু কোন চেষ্টাতেই আমরা বিশেষ সফল হতে পারি না। তবে এমন কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনিও পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারবেন। কঠোর পরিশ্রম এবং সৎ চিন্তা ভাবনা যদি আপনার মনে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ভালো শিক্ষার্থী হয়ে উঠতে পারবেন। আসুন তাহলে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার টিপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
লক্ষ্য স্থির করুন: সবকিছুতে একটি লক্ষ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনার যদি লক্ষ্য থাকে তাহলে আপনি যেকোনো জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। আর যদি আপনি উদ্দেশ্যহীনভাবে বল ছেড়ে দেন সে ক্ষেত্রে আপনি পড়ালেখায় মন বসাতে পারবেন না। তাই পড়ালেখার পেছনেও একটি লক্ষ্য থাকা দরকার। ধরুন আপনি এক জায়গায় যাবেন কিন্তু আপনি সেখানে কিসের জন্য যাবেন এবং সেখানে গিয়ে কি করবেন এই বিষয়টি যদি আপনি না জানেন তাহলে আপনি আর সেখানে যেতে চাইবেন না। ঠিক তেমনি আপনি কেন পড়ছেন এবং পড়াশোনা করে আপনি কি করতে চান এই বিষয়গুলোর উপর আপনাকে আগে থেকেই লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
রুটিন তৈরি করুন: আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি নিয়মিত রুটিন তৈরি করতে হবে। আর সেই রুটিন অনুযায়ী আপনি আপনার পড়াশোনা কমপ্লিট করবেন। প্রতি সপ্তাহে এবং প্রতি মাসে কোন কোন সাবজেক্ট বা কোন কোন বই শেষ করবেন তা আপনাকে আগে থেকেই খাতায় লিখে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে আপনার দৈনিক পড়ার রুটিন তৈরি করে রাখতে হবে। আপনি আপনার সুবিধামতো রুটিন তৈরি করতে পারেন। তবে পড়ার মাঝে অবশ্যই আপনাকে অল্প সময় বিরত দিতে হবে। কারণ মানুষের ব্রেন ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের বেশি মনোযোগী হতে পারে না। তাই আপনি পড়ার মাঝে অল্প সময় বিরত দিবেন, এর ফলে আপনার পড়াটা খুব ভালো হবে।
নিজের উপর আস্থা রাখুন: আপনার ব্যাপারে অনেকেই অনেক কটু কথা বলতে পারে, কিন্তু আপনি ওইসব দিকে কান না দিয়ে নিজের উপর নিজে আস্থা রাখুন। অনেকেই বলতে পারে যে জীবনে আপনি কিছুই করতে পারবেন না আর এ ধরনের কথা পড়াশোনার প্রতি আপনাকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই আপনি কখনোই অন্যের কথা শুনে চলবেন না। অন্যদের কথা এড়িয়ে চলুন এবং নিজের সামর্থের উপর অথবা নিজের উপর আস্থা রাখুন।
টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করুন: এমন অনেকেই রয়েছে যারা বিছানায় এবং মেঝেতে পার্টি পেরে পড়াশোনা করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার পড়ালেখায় মন বসবে না। আবার কেউ কেউ বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ালেখা করেন এটা করা একদমই উচিত না। এতে করে কিছুক্ষণ করার পরে ঘুম চলে আসে, নয়তো পড়ার ইচ্ছেটা চলে যায়। তাই পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে টেবিলে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চান তাহলে নিজেকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ রাখতে হবে। কারণ আমাদের মন যখন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে তখন আমরা অনেক কঠিন বিষয়ের উপরও আস্থা রাখতে পারি। তাই পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা প্রয়োজন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য অবশ্যই নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলাধুলা ও ব্যায়াম করার প্রয়োজন দরকার। কারণ খেলাধুলা ও ব্যায়াম আমাদের মন ও মস্তিষ্কে চাঙ্গা রাতে সাহায্য করে, এর ফলে পড়ালেখা করতে ভালো লাগে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম: আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। তা না হলে আপনার পড়ালেখায় মনোযোগ বসবে না। আপনি যদি সারারাত ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এ ভিডিও দেখে রাত পার করেন তাহলে আপনার পড়ালেখা মনোযোগ বসবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানোর ফলে আপনার ব্রেন শান্ত থাকে না আর এর কারণে পড়ালেখার উপর প্রভাব পড়ে। তাই একজন মানুষের প্রতিদিন অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
পড়ালেখার সময় ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: আপনি কখনোই পড়ার সময় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি এই জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন না। এগুলো ব্যবহার করলে আপনার মন অন্যদিকে চলে যেতে পারে আর এর কারণে পড়ালেখার উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই পড়ার সময় আপনি কখনোই স্মার্টফোন অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না, এর ফলে আপনার পড়ালেখায় মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পড়ার বিষয়ে কারো সহযোগিতা নেওয়া: পড়ার বিষয়ে অন্যের সহযোগিতা নেওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ অনেক সময় আমাদের পড়া বুঝতে অসুবিধা হয়, আর এর ফলে আমাদের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। এর জন্য আমরা পড়ালেখায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলি এবং পড়াতে আমাদের মন বসতে চায়না। আর তাই সেই সময় আপনি আপনার পরিচিত অথবা অন্য কাউকে সেই বিষয় নিয়ে তার কাছে সাহায্য চাইতে পারেন, এটি করা খুবই ভালো, এর ফলে আপনার পড়ালেখায় মন বসবে। তাই আপনি পড়ার বিষয়ে অন্য কারো কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান: একজন ভালো শিক্ষার্থী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিচে দেওয়া এই খাবার গুলি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। খাবার গুলি হল: বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, ফল, সামুদ্রিক মাছ, গ্রিন টি, বিভিন্ন ধরনের চা ইত্যাদি এই খাবারগুলি শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও আপনি চাইলে পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো অথবা টমেটো জুস খেতে পারেন। এটি শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
পড়ায় মন বসে না কেন
পড়ায় মন বসে না এই প্রশ্নটা অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা করে থাকে। মূলত এর মূল কারণ হচ্ছে স্মার্টফোন। আর এর কারণেই অধিকাংশ স্টুডেন্ট এর পড়ালেখায় মন বসে না। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মন বসে না এই সমস্যায় ভুগছেন। আর এর মূল কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা। আর এটা অনেক বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন। যে বর্তমান সময়ে পড়াশোনায় মন না বসার কারণ ও শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ার বেশিরভাগ কারণ সেটি হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে সময় ব্যয় করা বা সময় নষ্ট করা। এমন অনেকেই রয়েছে যারা মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে আবার কেউ কেউ মেসেঞ্জার, ফেসবুক, টিক টক ইনস্টাগ্রাম এগুলো দেখে বেশি সময় নষ্ট করে। আর এর জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের পড়ালেখার বারোটা বেজে যায়।
আরও পড়ুন: আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতা
এছাড়াও পড়ালেখাতে মন না বসার একটি মূল কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেশন। এমন অনেকেই রয়েছে যারা ডিপ্রেশনে ভুগে থাকে আর এর জন্য তাদের পরিবেশগত কারণেও লেখাপড়া বিঘ্ন ঘটে। আবার পড়ালেখায় মন না বসার আরেকটি কারণ হলো সময়মতো কাজ না করা। কারণ সময়ের কাজ যদি সময় মত না করা হয় তাহলে সেই কাজটি প্রতিদিন বাড়তে থাকে এতে করে মাথার ওপর বেশি চাপ পড়ে, আর সেটা আমাদের মস্তিষ্কে দুশ্চিন্তার প্রভাব ফেলে, আর এর কারণে পড়ালেখাতে মন বসে না। তাই যখনকার কাজ তখনই করে ফেলা ভালো। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানের মতে পড়াশোনায় মন না বসার আরেকটি কারণ হচ্ছে নিয়মিত ঘুম না পারা। কারণ পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য মাইন্ড রিফ্রেশমেন্ট রাখাটা খুবই প্রয়োজন।
সময় মতো এবং পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে আমাদের মাইন্ড রিফ্রেশমেন্ট থাকে না। আর এর ফলে পড়ালেখায় মন বসে না এবং ভালো লাগেনা। তাই আপনি যদি পড়ালেখায় মন বসাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। মূলত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো যথেষ্ট। এতে করে মাইন্ড রিফ্রেশমেন্ট থাকে এবং পড়াশোনায় মন বসে এবং ভালো লাগে। পড়ায় মন বসে না কেন? আশা করি আপনি নিশ্চয়ই এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
পড়া মনে রাখার খাবার
আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষার্থী হতে চান তাহলে আপনাকে এমন কিছু সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, যেগুলো মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। স্মৃতিশক্তি সুস্থ সবল রাখার জন্য অনেক আলেম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। যে খাদ্যগুলো আমাদের স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। খাদ্যগুলো হল: মধু, কিসমিস, মটরশুটি, কাজুবাদাম, ইত্যাদি। এছাড়াও আরো এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে। মূলত মধু স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী। মধু আমাদের মস্তিষ্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মধু হতে হবে একদম খাঁটি। মধু একটি এমন উপদান যেটি খাওয়ার ৭ মিনিটের ভেতর রক্তে মিশে কাজ শুরু করে দেয়। এছাড়াও আপনি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কিসমিস খেতে পারেন কিসমিস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বেশ উপকারী।
এছাড়াও আপনি যদি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ আমাদের দেহে যদি ভিটামিন ই কমে যায় তাহলে আমাদের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়ে। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে আপনি ভিটামিন ই যুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন। যেমন: কাজু বাদাম, তিলের বীজ, পেস্তা, পাউরুটি, শস্যদানা, ডালিম, চিনা বাদাম, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি। আশা করি এই অংশটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পড়া মনে রাখার খাবার ঠিক কোনগুলো।
পড়া স্মরণ রাখার জন্য কোন সূরা পড়তে হয়
স্মরণশক্তি বা স্মৃতিশক্তি এগুলো সবই হলো মহান আল্লাহর একটি বড় নেয়ামত। এমন অনেকে রয়েছে যাদের স্মৃতিশক্তি খুবই কম আবার অনেকেই রয়েছে যাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বেশি। তবে যাদের স্মৃতিশক্তি কম তারা মনে রাখার জন্য কিছু সূরা বা দোয়া পড়তে পারেন। এমন কিছু সূরা রয়েছে যেগুলো আপনি পরলে আপনার স্মৃতি শক্তি ভালো হবে। পড়া স্মরণ রাখার জন্য আপনি যে দোয়া বা সূরাটি পড়বেন সেটি হল ,,আলম নাশরাহ,,, মূলত এই সূরাটি আপনি ঘুমানোর আগে ১ থেকে ১৭ বার পড়ে বুকে ফু দিবেন। তাহলে আস্তে আস্তে আপনার স্মৃতিশক্তি অথবা স্মরণশক্তি বাড়বে। এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে এই সুরাটি পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি খেতে পারেন। ,,ইনশাল্লাহ,, আপনি দেখবেন যে আপনার স্মরণ ক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,, আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে পড়ালেখার মনোযোগী হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও এর সাথে সাথে পড়ায় মন বসে না কেন, পড়ায় মন রাখার খাবার, পড়া স্মরণ রাখার জন্য কোন সূরা পড়তে হয় ইত্যাদি এ সকল বিষয় নিয়েও আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি সকল বিষয়গুলি আপনি ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনার বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো ,,ইনশাআল্লাহ,,।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার টিপস সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এরকম আরো বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url