ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন
নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম - নামাজের রাকাত ও ফরজ কয়টিমুসলমানদের অন্যতম এবং প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের এই অন্যতম ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজ এক বছর পর পর আসার কারণে এই নামাজ পড়ার নিয়ম এবং নিয়ত অনেকেরই মনে থাকে না। ঈদ বছর ঘুরে আসার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়ম এবং নিয়ত ভুলে যায়।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং নিয়ত জেনে রাখতে হবে। তাই আপনারা যারা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ুন।কারণ আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। ঈদ হল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। মুসলমানরা বছরে দুইটি ঈদ পালন করে থাকে। একটি হল ঈদুল ফিতর, আরেকটি হল ঈদুল আযহা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই এই দুই নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জেনে রাখা উচিত। তাই আপনারা যারা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
সূচিপত্র : ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন
- ভূমিকা
- ঈদ কাকে বলে
- ঈদের সূচনা কিভাবে হলো
- ঈদুল ফিতর নাম রাখার তাৎপর্য কি
- ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ২০২৪
- ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ত ২০২৪
- ঈদুল ফিতরের ফজিলত
- শেষ কথা
ভূমিকা
ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আমরা মুসলমানরা বছরে দুইটি ঈদ পালন করে থাকে। প্রথমটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর, দ্বিতীয় হচ্ছে ঈদুল আযহা। মুসলমানরা বছরে এই দুইটা ঈদ পালন করে থাকে। তবে এই দুইটা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত কিছুটা আলাদা। তাই আমাদের মুসলমানদের অবশ্যই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে রাখতে হবে। ঈদুল ফিতর বছরে একবার আসার কারণে এই নামাজের নিয়ম ও নিয়ত অনেকেরই মনে থাকে না।তাই আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে রাখতে হবে। মূলত ঈদের নামাজ হলো ওয়াজিব এই নামাজের পদ্ধতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত নয়। ঈদের নামাজ কাজা করার কোন সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ- যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়
ঈদের দুই রাকাত নামাজের জন্য আযান দেওয়া হয় না। মূলত এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর রয়েছে এই বিষয়টা অনেকেরই মনে থাকে না। আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঈদের নামাজের বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আসুন তাহলে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে নেওয়া যাক। এছাড়াও আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি ঈদ কাকে বলে, নিজের সূচনা কিভাবে হল, ঈদুল ফিতর নাম রাখার তাৎপর্য, এবং ঈদুল ফিতরের ফজিলত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
ঈদ কাকে বলে
ঈদ কাকে বলে এই বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে আগ্রহী। মূলত ঈদ হচ্ছে একটি আরবি শব্দ যার বাংলা শব্দ ,,,ফিরে আসা,,,। ঈদ যেহেতু মুসলমানদের জন্য আনন্দের বার্তা। ঈদ মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে প্রতিবছর ফিরে আসে।তাই সঙ্গত কারণেই এই আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলমান পুরা ৩০ দিন রোজা থাকার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে আল্লাহ তালার হুকুম পালনে ঈদ উদযাপন করে থাকে। মূলত এটি মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
ঈদের সূচনা কিভাবে হলো
হাদিস শরীফে এসেছে,, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মদিনাতে আগমন করেন। তখন মদিনায় দুইটি দিবস ছিল, যে দিবসে মদিনার লোকজন খেলাধুলা করতো। তখন রাসূল (সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন যে এই দুই ঈদের তাৎপর্য কি? তখন মদিনা বাসিরা উত্তর দিলেন, আমরা এই দুই দিনে আনন্দ এবং খেলাধুলা করি। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন আল্লাহতালা এই দুই দিনের পরিবর্তিতে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দান করেছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর, দ্বিতীয় টি হচ্ছে ঈদুল আযহা। (আবু দাউদ)
আর এরপর থেকেই মুসলমানরা ২ ঈদ আলাদা ভাবে পালন করে থাকেন। মূলত এই হচ্ছে ঈদের সূচনা।
ঈদুল ফিতর নাম রাখার তাৎপর্য কি
ঈদুল ফিতর নাম রাখার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহ তা'আলা এই দিনে রোজাদার বান্দাদের নেয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য জানান। এবং তার ইহসানের দৃষ্টি দান করেন। কেননা মুমিন বান্দারা আল্লাহর হুকুম পালনে রমজান মাসে পানাহার ত্যাগ করেছেন এবং রমজানের পর আল্লাহর নির্দেশে মুমিন বান্দারা আবার পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন। তাই দীর্ঘ মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে মুমিন বান্দাকে আল্লাহ তা'আলা পানাহার মুক্ত করে দেন। মূলত এর কারণেই ঈদুল ফিতরকে ঈদুল ফিতর নাম রাখা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ২০২৪
রমজানে পুরো এক মাস আল্লাহতালার নির্দেশে মুসলমানরা রোজা রাখেন। এবং আল্লাহ তায়ালার আরো অন্যান্য ইবাদত বেশি বেশি পালন করার খুশিতে উক্ত রমজান মাস শেষ হলে শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে মুসলমানরা যে আনন্দ উৎসব উদযাপন করে থাকে তাকে ঈদুল ফিতুল বলে। এই ঈদুল ফিতরের দিন সকাল বেলায় উঠে গোসল করে পরিপাটি হয়ে ঈদগায়ে গিয়ে ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে ছয় তাকবীর সঙ্গে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ মুসলমানদের পড়তে হয়। আর এই নামাজকে ঈদুল ফিতরের নামাজ বলে। তবে এই নামাজ বছর ঘুরে আসার কারণে অনেকেই এর নিয়ম মনে রাখতে পারে না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম জানাবো।চলুন তাহলে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথম রাকাতে ইমামের সঙ্গে ,,আল্লাহু আকবার,, বলে তাকবীরে তাহরীমা বাধতে হবে।
- তারপর ছানা পড়তে হবে। (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা'আলা যাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা)।
- এরপর অতিরিক্ত দিন তাকবীর দেওয়া, প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং দ্বিতীয় তাকবীরে হাত তাকবীরে তাহরিমার মত বেঁধে নেওয়া।
- এরপরে নিয়মিত নামাজের মত রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত নামাজ শেষ করা।
- তৃতীয় রাকাতে সূরা মিলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া, প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে হাত উঠিয়ে আবার ছেড়ে দেওয়া।
- তৃতীয় তাকবীরে হাত তাহরিমার মত বেঁধে নেওয়া। এরপরে রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া এবং সেজদা আদায় করা।
- এরপরে বৈঠকে বসে থাকা অবস্থায়: তাশাহুদ, দুরুদ, দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া,, আরবি উচ্চারণ: اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহু আকবর,, আল্লাহু আকবার,, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর,, ওয়া লিল্লাহিল হামদ,,।
অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া সত্যি কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য।
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ত ২০২৪
প্রিয় বন্ধুরা,, আমরা ইতিমধ্যে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সবাই উপরিক্ত বিষয় পড়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে পেরেছে। এবার আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ত নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আপনারা যারা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা অবশ্যই নিচের অংশটুকু পড়ুন।
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ত:
আরবি উচ্চারণ: نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকআতাইন সালাতি, ঈদুল ফিতর মাআ ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা, ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি- ,,আল্লাহু আকবার,,।
অর্থ: আমি ঈদুল ফিতরের ২ রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সঙ্গে ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ,,আল্লাহু আকবার,,।
ঈদুল ফিতরের ফজিলত
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব অনেক। এমন অনেকেই রয়েছে যারা ঈদুল ফিতরের ফজিলত কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে জানেনা। তাই আপনি যদি ঈদুল ফিতরের ফজিলত সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঈদুল ফিতরের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,, যে ব্যক্তি পুরো এক মাস রোজা থেকে ঈদুল ফিতরের দিন নামাজে উপস্থিত হয়। আল্লাহ তা'আলা সেই রোজাদার ব্যক্তির বিষয়ে ফেরেশতাদের কাছে গৌরব করে থাকেন। আল্লাহতালা ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন হে ফেরেশতাগণ কারো উপর কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলে সে যদি সম্পূর্ণভাবে পালন করে তবে তাকে কিরূপ প্রতিদান দেওয়া উচিত। তখন ফেরেশতারা বলেন সেই ব্যক্তিকে তার কাজের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করার জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত।
তখন মহান আল্লাহতালা বলেন আমি আমার বান্দা ও বান্দীদের ওপর যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলাম তারা যথা রূপে তা পালন করেছে। অতঃপর মুসলমানরা যখন দলে দলে দোয়া করতে করতে ঈদগাঁয়ের দিকে রওনা দেয়। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন আমার ইজ্জতের কসম আমি তখন অবশ্যই তাদের দোয়া কবুল করব।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,, আজকের উপরোক্ত আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় ছিল ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত।এছাড়াও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ঈদ কাকে বলে, ঈদের সূচনা কিভাবে হলো, ঈদুল ফিতরের নাম রাখার তাৎপর্য কি, ঈদুল ফিতরের ফজিলত, ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো আলোচনা করেছিল। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন এবং কোন কোন বিষয়ে আপনার ভালো লেগেছে তা আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
আরও পড়ুন: হজে যাওয়ার আগে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন - হজে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো করা যাবে না
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত ২০২৪,,,, আজকের এই পোস্ট সম্বন্ধে আপনার যদি কোন মতামত জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url