ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার ১০ উপায়

ক্যান্সার কেন হয়- ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়ব্লাড ক্যান্সার একটি জটিল ও ভয়াবহ রোগ। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ব্লাড ক্যান্সারে বুকে থাকে। ব্লাড ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। তাই এর থেকে বাঁচতে আমাদেরকে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখতে হবে। আপনারা যারা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়ে google এ সার্চ করে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেয়েছেন, তারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন অথবা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার ১০ উপায়  

ভূমিকা

আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। ব্লাড ক্যান্সার এটি একটি মরণব্যাধি এবং মারাত্মক রোগ। ব্লাড ক্যান্সার এই শব্দটি শুনলে অনেকেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তবে ব্লাড ক্যান্সার মানেই যে মৃত্যু এটি কিন্তু নয়। এমনটা আগে মনে হতো, কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ক্যান্সারের চিকিৎসা বের হয়েছে। আর এই চিকিৎসা একজন মানুষকে সুস্থ জীবন ফিরে এনে দিতে পারে। এমন কিছু চিকিৎসা থেরাপি এবং এমন অনেক প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো করলে একজন ব্লাড ক্যান্সারের রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারে। 

আরও পড়ুন: বসন্ত রোগ কেন হয় - বসন্ত রোগ থেকে বাঁচার উপায়

তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আমাদেরকে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আজকের এই পোস্টটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ব্লাড ক্যান্সার সংক্রান্ত আরো নানা রকম তথ্য জানিয়েছি। তাই আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার অনুরোধ রইলো। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক। 

ব্লাড ক্যান্সার কি

ব্লাড ক্যান্সার হল একটি মরণব্যাধি রোগ। এই রোগে যদি একবার কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বর্তমান সময়ে এমন অনেক চিকিৎসা থেরাপি রয়েছে যেগুলো ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিয়েছে সক্ষম। ব্লাড ক্যান্সার একটি জটিল এবং ভয়াবহ রোগ, এই রোগে অনেক মানুষ ভোগে থাকে। আমাদের শরীরের যে রক্ত রয়েছে মূলত সেটি তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। যার মধ্যে একটি হল লোহিত রক্তকণিকা আর অন্যান্য দুটি হল শ্বেত রক্তকণিকা, এবং অনুচক্রিকা। আর এই ব্লাড ক্যান্সার আমাদের শরীরের তিনটির মধ্যে একটি রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। 

আর আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার বৃদ্ধির অস্বাভাবিক কারণ হলো এই শ্বেত রক্তকণিকা। শ্বেত রক্তকণিকা যখন আমাদের শরীরে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হয়, তখন বাকি দুটি রক্ত কণিকা লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আর এর ফলে আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, আর আস্তে আস্তে আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলি আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে। সুতরাং রক্তকণিকা গুলোর মধ্যে যদি শ্বেত রক্তকণিকা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হয়।

ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়

গবেষকদের মতে বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় তার প্রভাবে এবং রাসায়নিক বর্জ্য ধূমপান, এছাড়াও রাসায়নিক রং ও ভাইরাস ইত্যাদির জন্য মানুষের দেহে ব্লাড ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। মূলত এগুলোর প্রভাবে মানুষের কোষ বিভাজনে অস্বাভাবিক উল্টাপাল্টা সংকোচ প্রবাহিত হয়, আর এর জন্য মানবদেহে ব্লাড ক্যান্সার দেখা দেয়। যদি কোন ভাবে আমাদের শরীরে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত কোষ তৈরি হয় তাহলে সেগুলো ভালোভাবে পরিপক্ক হতে পারে না আর এটি না হওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। 

এতে করে মানবদেহে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ শুরু হয় এবং এর মধ্য শ্বেত রক্তকণিকা বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে, আর এ সমস্ত অপরিপক্ষতার কারণে মানবদেহে ব্লাড ক্যান্সার দেখা দেখা। তবে একদল ডাক্তার বলেছেন যে, ব্লাড ক্যান্সার কোন ছোঁয়াসে বা ছোঁয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার কিন্তু ছোট থেকে বড় যেকোনো কারো হতে পারে, মূলত ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স লাগে না। এই মারাত্মক রোগটি ছোট থেকে বড় সবার হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার

আমরা অনেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগে থাকি। মূলত ব্লাড ক্যান্সার শ্বেত রক্তকণিকা সেল থেকে হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সারকে লিউকোমিয়া বলা হয়। আর এই লিউকোমিয়া ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:

  • লিউকোমিয়া,,,, ব্লাড ক্যান্সার 
  • মেলোমা,,,, ব্লাড ক্যান্সার
  • লিম্ফোমা,,,, ব্লাড ক্যান্সার 

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। তবে প্রতিটি রোগের কোন না কোন লক্ষণ থাকে। ঠিক তেমনি ব্লাড ক্যান্সারেরও কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো আপনি জানলে উপকৃত হবেন। যদি কোন ব্যক্তি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে তার কিছু উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তাই আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার থেকে সচেতন হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখতে হবে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ব্লাড ক্যান্সার হলে যেসব লক্ষণ গুলি দেখা যায় সেগুলো জেনে নেই।

  • ঘন ঘন জ্বর হওয়া ব্লাড ক্যান্সারে অন্যতম একটি লক্ষণ। যদি কোন ব্যক্তির ঘন ঘন জ্বর এবং দীর্ঘমেয়াদি জ্বর দেখা দেয়, তাহলে সেই ব্যক্তির ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • হঠাৎ করে বমি এবং বমির সাথে রক্ত পড়া এটিও ক্যান্সারের অন্যতম একটা লক্ষণ।
  • হঠাৎ করে যে কোন কাজ করতে গিয়ে শরীর দুর্বল এবং ক্লান্তি অনুভব করা। এছাড়াও কোন কাজ করতে গেলে অল্পতেই হাপিয়ে ওঠা।
  • এছাড়াও হঠাৎ করে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া।
  • ব্লাড ক্যান্সারের মূল লক্ষণ হল  দেহের শ্বেত রক্তকণিকা পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে যাওয়া।
  • হঠাৎ করে হারের অভ্যন্তরের জয়েন্টএ তীব্র ব্যথা অনুভব করা। এবং সময় অতিবাহিতর সাথে সাথে এই অভ্যন্তরের জয়েন্ট এর তীব্র ব্যথা অস্বাভাবিক জীবন যাপনকে অতিষ্ঠময় করে তোলা।এটিও ব্লাড ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।
  • হঠাৎ করে ত্বকে অত্যাধিক চুলকানি হওয়া যা রক্তপাত ঘটায়। এছাড়াও যদি মুখ, নাক, দাঁতের মাড়ি সহ আরো অন্যান্য স্থান থেকে যদি রক্তপাত ঘটে, তাহলে সেটি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ।
  • ব্লাড ক্যান্সার আপনার শরীরে যদি দেখা দেয়, তাহলে আপনার চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাবে।এবং শরীরের ত্বক খসখসে হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সারের আরেকটি প্রধান কারণ হলো খাবারে অরুচি। মূলত ব্লাড ক্যান্সার হলে রোগীরা খাবার খাওয়ার রুচি হারিয়ে ফেলে, এবং তাদের ক্ষুধা কমে যায়। আবার প্রায়শয় বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার ১০ উপায়

ব্লাড ক্যান্সার যেহেতু একটি মারাত্মক রোগ তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সার থেকে থেকে বাঁচার দশটি উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে কারণ যদি ব্লাড ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই একটা পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে ব্লাড ক্যান্সার যেহেতু আমাদের শরীরের রক্তের সাথে সংযুক্ত, তাই রক্তের বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বর্তমান সময়ে এমন কিছু , উপায় বের হয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তাহলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি তা সম্পর্কে জেনে নেই

আরও পড়ুন: ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় | ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি 

সুষম ও নিরাপদ খাওয়ার গ্রহণ করা: আমাদের সকলেরই সুষম ও নিরাপদ খাবার গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন কারণ বাহিরে যেগুলো খাবার পাওয়া যায়, সেগুলোতে প্রায়শই রং মেশানো হয়। এছাড়াও যেগুলো প্যাকেটজাত খাবার রয়েছে সেগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ এগুলোতে বেশিরভাগ ভেজাল মেশানো থাকে তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই সব সময় সুষম ও নিরাপদ খাবার খেতে হবে

সবুজ শাকসবজি খাওয়া: আমাদেরকে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খাওয়ার খেতে হবে কারণ কিছু কিছু সবুজ শাক-সবজি রয়েছে যেগুলোতে এন্টিএক্সিডেন্ট নামক উপাদান রয়েছে আর এই উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

শারীরিক ব্যায়াম: শারীরিক ব্যায়াম করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী তাই আপনি ঘরে বসে না থেকে কিছু কিছু সময় ব্যায়াম করবেন, এবং এর সাথে সাথে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে হাঁটবেন এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী

রক্ত পরীক্ষা করা: আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিজের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হবে কারণ যদি আপনার ভেতর কোনরকম ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে তখন যদি আপনি রক্ত পরীক্ষা করেন তাহলে আপনি শিওর হতে পারবেন যে সেটি ক্যান্সারের জীবাণু কিনা

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা: যদি আপনি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এছাড়াও এর সাথে সাথে আপনাকে ডিম, ছোট মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি সকল খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে

পরিমিত ঘুম: একজন সুস্থ সবল ব্যক্তিকে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আপনি যদি সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে না ঘুমান তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে আর এর মধ্যে একটি হলো ক্যান্সার তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পরিমিত ঘুমানো খুবই দরকার

মদ্যপান এবং তামাক সেবন থেকে বিরত থাকুন: সাধারণত মদ্যপান এবং তামাক সেবন এর কারণে প্রায় অনেক মানুষের ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে আর এর মূল কারণ হচ্ছে মদ্যপান এবং তামাক সেবনতাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে মদ্যপান এবং তামাক সেবন থেকে বিরত থাকুন

যৌন সম্পর্কে জড়ানো যাবে না: বর্তমানে এখন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন জনের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ায় তবে এটি ঠিক নয়, এর কারণে ক্যান্সার হতে পারে তাই আপনি বিভিন্ন জনের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকুন

অতিরিক্ত মাত্রায় মোবাইল চালানো যাবে না: আমাদেরকে অবশ্যই মোবাইল চালানোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ মোবাইলের স্কিনের আলো যদি অধিক মাত্রায় আমাদের চোখে লাগে তাহলে তাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে আর এজন্যই আমাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে

অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন: আমাদেরকে অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে তাই অধিক মাত্রায় ঝাল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো

এছাড়াও উপরিক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াটা আমাদের অত্যন্ত জরুরী

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি

অনেক মানুষ ব্লাড ক্যান্সারে ভুগে থাকে। তবে বর্তমানে ডাক্তার বিশেষজ্ঞরা কিছু আধুনিক চিকিৎসা মেশিন তৈরি করেছে, যেগুলো ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে পারে। মূলত ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের মৃত্যুর লক্ষণ তার ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়। ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য ডাক্তাররা সিটি এমআরআই, বোনম্যারো টেস্ট, ফ্লো সাইটোমেটিক ইত্যাদি এগুলোর পরীক্ষা করে থাকে। আর এই পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো কি কি তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • কোমোথেরাপি
  • ইমিউনোথেরাপি
  • রেডিওথেরাপি
  • টার্গেটেডথেরাপি
  • ক্লিনিকাল ট্রায়াল
  • স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট

ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কত দিন বাঁচে

আপনাদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কতদিন বাঁচে? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নটির জবাব দিয়েছে যে, একজন ক্যান্সার রোগীর মরা এবং বাঁচা তার কি ধরনের ক্যান্সার হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে একজন ক্যান্সার রোগী কত দিন বাঁচে তা সম্পূর্ণ নির্ধারিতভাবে বলা সম্ভব নয়। এটি মূলত ক্যান্সার হওয়া ব্যক্তির বয়স এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। তাই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না যে একজন ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কত দিন বাঁচে। তবে কারো যদি ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি যদি যথাযথভাবে চিকিৎসা গ্রহণ না করে তাহলে সেই ব্যক্তির পরিণত একরকম মৃত্যুই। কিন্তু যদি ব্লাড ক্যান্সারের রোগী পূর্ব থেকে প্রতিমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে ব্লাড ক্যান্সার মোকাবেলা করা সম্ভব।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ

মূলত ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা ও খরচ আপনার কোন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি এবং অল্পমেয়াদী হয়ে থাকে। কারণ এটি আপনার কোন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। যদি বড় ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয় তাহলে আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা নিতে হবে। যদি আপনাদের মধ্যে কারো বড় ধরনের ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।

বাংলাদেশে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা দিতে কোমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত কোমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়ে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে আবার কিন্তু বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে আরো ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ভারতে অনেক বড় বড় বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হাসপাতাল সেন্টার রয়েছে, আপনি চাইলে সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। 

আরও পড়ুন: টিউমার থেকে বাঁচার উপায় | ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

তবে আমাদের দেশের চাইতে ভারতে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ সেখানে যাতায়াত খরচ সহ হোটেল ভাড়া, ভিসা, খাওয়া-দাওয়া চিকিৎসা ব্যয়, এগুলো দিয়ে মোটামুটি অনেক টাকা খরচ পড়ে যায়। তবে ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ বেশি হলেও সেখানকার চিকিৎসা অনেক বেশি উন্নত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই পোষ্টে আমরা ব্লাড ক্যান্সার কি, ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়, ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার, ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি, ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কত দিন বাঁচে, ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ, ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। 

আশা করছি আপনারা ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে সমস্ত তথ্য পেয়ে গেছেন। কিভাবে জীবন যাপন করলে আপনারা ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবেন সেই বিষয় সম্পর্কে উপরে আমরা আলোচনা করেছি। আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান তাহলে উপরিক্ত আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সবশেষে, আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এবং আরো নতুন নতুন এরকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url