সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে - ইফতারে যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে

যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় - যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় নাশুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। প্রতিবছরই প্রচন্ড গরমের মাসে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিক ভাবে রোজা পালন করার জন্য আমাদের সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ প্রচন্ড গরমের কারণে দেশের লোকজন সাধারণভাবেই অস্থির হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই সেহেরিতে আমাদের সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা খুবই জরুরী। আপনারা যারা পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে এবং ইফতারের যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে সেই বিষয়ে  জানতে আগ্রহী।

চলে এসেছে পবিত্র মাহে রমজানের মাস। তাই রমজান মাসে সেহরি খেয়ে আমরা রোজা রাখি। মূলত রমজান মাসে স্বাভাবিক ভাবেই সকলের রোজা রাখাটা খুবই জরুরী। তাই সেহরিতে সঠিক খাদ্য নির্বাচন করাটাও খুব জরুরী। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে এবং ইফতারের যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে - ইফতারে যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে

ভূমিকা

রমজান মাস মানে কিন্তু ইফতার ও সেহরিতে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার খাওয়া নয় বরং রমজান মাস মানে নিজেকে পরিশুদ্ধ করা। মুসলমানরা সারাদিন রোজা রেখে দিনশেষে ইফতার করে থাকেন। ইফতারের পর শরীরের শক্তি ও কর্ম সঞ্চালতা বাড়াতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তাই সুস্থ থাকতে হলে আমাদেরকে সেহরি ও ইফতার খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। সেহরিতে ভালো খাবার খেলে সারাদিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে এনার্জি পাওয়া যায়। এছাড়াও ইফতারে ভালো খাবার খেলে শরীর শক্ত ও কর্ম চঞ্চলতা বাড়ে। তাই আমাদের অবশ্যই সেহেরী এবং ইফতারের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে এবং ইফতারে যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাতে চলেছি। এছাড়াও এই পোস্টটি পড়ে আপনি সেহরি এবং ইফতারের যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা এবং সেহেরির গুরুত্ব কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আসুন তাহলে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে

সুস্থ সবল ভাবে রোজা পালন করার জন্য আমাদের অবশ্যই সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করা খুবই জরুরী। আর এর জন্য অবশ্যই আমাদের সেহরিতে সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেহরিতে যদি ভালো খাবার খাওয়া যায় তাহলে সারাদিন পর্যাপ্ত এনার্জি পাওয়া যায়। এছাড়াও সারাদিন রোজা থাকলে মাথা ব্যথা, শরীর দুর্বল, এবং আরো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে, তবে আমরা যদি সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাই তাহলে এই সমস্যা গুলি হবে না। 

আরও পড়ুন: তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি - তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম

তাই আমাদেরকে সেহরিতে এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। এখন যেহেতু গরমকাল, তাই গরমকালে খাবারের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা দরকার। আর তা না হলে অস্বস্তিকর খাবার আমাদের পেটের ভেতরে গেলে তাতে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রমজান মাসে খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সেই ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আসুন তাহলে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

খেজুর: খেজুর সেহরি এবং ইফতারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সেহরিতে খেজুর খান তাহলে আপনি সারাদিনের পর্যাপ্ত এনার্জি এবং শক্তি পাবেন। তাই সেহরির সময় অন্তত এক থেকে দুইটি খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খেজুর আমাদের দেহের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাতে সাহায্য করে। তাই রোজাতে সেহরি এবং ইফতারে খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পানি: সর্বপ্রথম আপনি সেহরি খাওয়ার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করবেন। এটি আপনার শরীরকে আদ্র রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনার পানির পিপাসা মেটাতেও সাহায্য করবে।

দই: দই স্বাস্থ্যের খুবই ভালো খাবার। দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি সেহরিতে দই খেতে পারেন।

ফল ও সবজি: সেহরিতে এবং ইফতারের পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। ফল ও সবজিতে থাকা ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ ইত্যাদি এগুলো আমাদের শরীরকে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। তাই ফল ও শাকসবজি সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

চর্বি ছাড়া মাংস: আপনি চাইলে সেহরিতে চর্বি ছাড়া মাংস খেতে পারেন। বিশেষ করে আপনি সেহরিতে মুরগির মাংস খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। তাই চেষ্টা করবেন সেহরিতে চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়ার।

গ্লুকোজ বা স্যালাইন: আপনি সেহেরী খাওয়ার পর সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে গ্লুকোজ বা স্যালাইন খেতে পারেন। এটি আপনার সারাদিনের পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই চেষ্টা করবেন সেহরি খাওয়ার পর স্যালাইন অথবা গ্লুকোজ খাওয়ার।

ভাত: আমরা সকলেই প্রায় সেহরিতে ভাত খেয়ে থাকি, ভাত আমাদের পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে, এর ফলে ক্ষুধা কম লাগে। আপনি চাইলে ভাতের সাথে ডাল ও সবজি রাখতে পারেন। এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ভাতের মধ্যে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট আর এটি মূলত দেরিতে হজম হয়, তাই আপনি সেহরিতে ভাত খেতে পারেন।

ইফতারে যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে

আপনি যদি রোজায় নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইফতারে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং সারাদিনের ক্লান্তি ভাব দূর করবে। এছাড়াও আপনাকে ইফতারে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলো সারাদিনের পানির ঘাটতি পূরণ করে। আর এজন্য ইফতারে স্বাস্থ্যকর ফল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই রয়েছে যারা ইফতারে কি খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। তাই আপনারা যারা ইফতারে কি খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে সে সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আসুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে ইফতারের যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পানীয়: আপনি ইফতারে পানি, ফল, ফলের শরবত, দুধ এই খাবারগুলি খেতে পারেন। এই খাবারগুলি মূলত প্রাকৃতিকভাবে সুগার ও ক্যালরির ভালো উৎস। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া শরবত কিংবা কৃত্রিম ফলের জুস ইফতারে না খাওয়াই ভালো।

খেজুর: ইফতারে খেজুর খাওয়া খুবই ভালো। খেজুর হল শর্করা ও খনিজ যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবারের অনেক ভালো উৎস। তাই আপনি ইফতারে অবশ্যই খেজুর খাবেন। বেশি না হলেও আপনি ইফতারের অবশ্যই দুটি করে খেজুর খাবেন।

তরমুজ: সারাদিন রোজা থাকার পর আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তবে ইফতারের সময় শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তরমুজ খেতে হবে। কারণ তরমুজের ৯২ শতাংশ পানি থাকে। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, অ্যামিনো এসিড ইত্যাদি এই উপাদানগুলি আমাদের শরীর ঠান্ডা এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

দই: দই এ থাকা ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ভিটামিন ডি, প্রোটিন ইত্যাদি এসমস্ত উপাদান আমাদের সহজেই খাবার হজম করতেন সহায়তা করে। তাই ইফতারের সময় অবশ্যই দই, চিড়া, এবংমুড়ি খাওয়া যেতে পারে।

কাঁচা ছোলা: আমরা অনেকেই রান্না করা ছোলা খেয়ে থাকি। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা ছোলা সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর। কাঁচা ছোলাতে ভিটামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ লবণ ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা ছোলাতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

শসা: ইফতারের সময় শসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। শশা প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। কারণ এটি বারোমাসি হয়ে থাকে, শসাতে মূলত ৯৫ শতাংশ পানি এবং মিনারেল ও ভিটামিন থাকে। তাই ইফতারে যদি শসা খাওয়া হয় তাহলে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকে এবং ক্লান্তি দূর হয়। এছাড়াও শসাতে ক্যালসিয়াম কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি ওজন কমাতেও বেশি উপকারী।

সেহরির গুরুত্ব

পবিত্র রমজান মাস মানেই ফজিলতের মাস। পবিত্র মাহে রমজান মানেই ইবাদতের মাস। রমজান মাসের বিভিন্ন আমল এবং ইবাদত রয়েছে, যার অনেক ফজিলত। আমরা অনেকেরই রয়েছি যারা সেহরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, কারণ সেহেরি ছাড়া কখনোই রোজা সম্ভব নয়। তাই সেহেরির গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র মাহে রমজান মাসে অনেক আমল রয়েছে, আর তার মধ্য গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান আমল হচ্ছে রোজা। এই সেহেরী রাখার মাধ্যমে আমরা সারাদিন রোজা পালন করি। রোজার সাথে সেহেরির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে কারণ রোজা করতে হলে আমাদের অবশ্যই সেহেরী খাওয়া খুবই জরুরী। সেহেরির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে।

কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) নিজে সেহরি খেতেন, এবং আমাদেরকেও তিনি সেহেরী খেতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেহেরী আমাদের সারাদিনের পর্যাপ্ত এনার্জি এনে দিতে সক্ষম এবং শরীরকে সারাদিন সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। হযরত আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী রাসুল (সা:) বলেছেন, সেহরি খাওয়া অবশ্যই বরকত। সেহরি খাওয়াকে তোমরা কখনোই পরিত্যাগ করো না, যদিও এক গ্লাস পানির মাধ্যমে হয়। আল্লাহ তাআলা ও ফেরেশতারা সেহেরী ভক্ষণকারীদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মুসনদে আহমদ ইবনে হাম্বল: ১১১০১)

আরও পড়ুন: হজে যাওয়ার আগে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন - হজে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো করা যাবে না

তবে সেহেরী এবং ইফতারের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম খাবার হচ্ছে খেজুর। যা আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পারে। সেহরি খাওয়ার সুন্নত। তাই আমাদের রোজা রাখতে হলে অবশ্যই রমজান মাসে সঠিক সময়ে সেহরি খেতে হবে। সেহরির সময় ঘুম পরিত্যাগ করতে হবে, কারণ সেহেরী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি ইবাদত। এতে করে আপনার শেষ রাতের দিকে ওঠার অভ্যাস গড়ে উঠবে, আর এটি হলে আপনি আল্লাহর রহমত পাবেন। কেননা শেষ রাতে আল্লাহর রহমত অবিরাম ধারায় বর্ষিত হয়। শেষ রাতে আল্লাহর সকল বান্দা নফল নামাজ, জিকির, মোনাজাত, এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে। তাই এই সময়টা আল্লাহর পক্ষ থেকে মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভের সর্বোত্তম সময়। আর এর জন্যই আমাদের সকলকে শেষ রাতের দিকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সেহরিতে যেসব খাবার খাবেন না

পবিত্র মাহে রমজানে মুসলমানরা রোজা থাকার জন্য সেহরি করে থাকে। সেহরি ও ইফতারে মুসলমানরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করে। রমজান মাস শুধুই আত্মশুদ্ধির মাস নয়, রমজান মাস হল মানুষের জীবনের গুনাহ মাপের একটি মাস। তাই আমাদের সারাদিন রোজা রাখতে হলে সেহরিতে অবশ্যই ভালো কিছু খাওয়া দরকার। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার সারাদিন রোজা রাখতে কষ্ট হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে সেহরিতে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়।

অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার: সেহরিতে আপনি কখনোই অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাবেন না। এছাড়াও আপনি ইফতারেও মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যেমন: বিরিয়ানি, পোলাও, বেগুনি, পিয়াজি ইত্যাদি এই খাবারগুলি যদি আপনি খান তাহলে আপনার পেটের ভেতর ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত তেল মসলা জাতীয় খাবার এগিয়ে চলুন।

অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে দূরে থাকুন: অনেকেই সেহেরীতে অতিরিক্ত পানি পান করে থাকে। তবে এটি ঠিক নয়। সেহরিতে অতিরিক্ত পানি পান করলে আপনার হজম শক্তির উপরে আঘাত পারে। তাই আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করুন। আপনি নিয়মিত কতটুকু পানি পান করেন সেই অনুযায়ী আপনি সেহেরিতে পানি পান করুন।

ক্যাফেইনড ড্রিংকস: সেহেরিতে কখনোই আপনি ভুল করেও ক্যাফেইনড ড্রিংকস জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না। যেমন: চা, কফি এই খাবার গুলি থেকে বিরত থাকুন। কারণ ক্যাফেইনড সমৃদ্ধ পানিও আপনার তৃষ্ণা এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এ সমস্ত ক্যাফেইনড ড্রিংকস জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত: আপনি যদি অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই সেহেরীতে আপনি কখনোই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাবেন না। 

ইফতারে কোন খাবার খাওয়া উচিত না

রমজান মাস হল ইবাদতের একটি শ্রেষ্ঠ মাস। তাই রমজান মাসে ধনী থেকে গরিব আমরা সকলেই আল্লাহর হুকুমে সারাদিন না খেয়ে রোজা পালন করে থাকি। তবে সারাদিন রোজা থাকার পর অবশ্যই আমাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত তা না হলে পেটের ভেতর নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ইফতারিতে কোন খাবার খাওয়া উচিত না? তাই আপনাদের আমরা এই অংশে ইফতারে কোন খাবার খাওয়া উচিত না এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আসুন তাহলে জেনে নেই যে ইফতারের কি কি খাবার খাওয়া যাবে না।

  • ইফতারের সময় কখনোই আপনি ভারী জিনিস খাবেন না। এতে করে আপনার পেটের ভেতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  • ইফতারের সময় তেলাক্ত জিনিস যেমন পেঁয়াজি, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো আপনার পেটের ভেতর বিভিন্ন গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।
  • ইফতারে কখনো আপনি অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় কোন জিনিস খাবেন না। কারণ এতে আপনার পেট ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ইফতারের সময় ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • আপনি ইফতারের সময় কখনোই চা কিংবা কফি খাবেন না। কারণ এগুলো পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এর অ্যাসিড খননের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর আপনি কফি এবং চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • এছাড়াও ইফতারের সময় আপনি টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ টক জাতীয় খাবার আমাদের পেটের ভেতর এসিডিটির সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ সমস্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক,,, আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচক বিষয় হলো সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে এবং ইফতারের যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে সেই সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেহেরির গুরুত্ব, সেহরিতে যেসব খাবার খাবেন না, ইফতারের কোন খাবার খাওয়া উচিত না, ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও আরো আলোচনা করেছি। আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে এবং ইফতারের যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।

আরও পড়ুন: নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ- যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়

সেহরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে - ইফতারে যেসব খাবার শরীর সুস্থ রাখবে,, আজকের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url