ভূমিকম্প কেন হয় - ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

ব্লগিং কি | ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন যে ভূমিকম্প কেন হয়, এবং ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন কিভাবে আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ভূমিকম্পের সময় আতঙ্ক হয়ে ছোটাছুটি করে থাকি।আর এর কারণে কিন্তু আরও বিপদ হতে পারে। তাই আমাদের ভূমিকম্পের সময় সতর্ক অবস্থায় থাকা জরুরী। তাই আজকে আপনাদের সুবিধার্ত্রে ভূমিকম্প কেন হয় এবং ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন কিভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাতে চলেছি।

চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে ভূমিকম্প কেন হয়, ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে অথবা ভূমিকম্প হলে করণীয় কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক। আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: ভূমিকম্প কেন হয় - ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

ভূমিকা

বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাইরে ছোটাছুটি করেন। কিন্তু অনেকেই জানে না যে ভূমিকম্প হলে আসলে ঠিক কি করতে হবে। আবার অনেকেই ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এতে করে আরো বিপদ বেশি হতে পারে। তাই আমাদের ভূমিকম্প সম্পর্কে বা ভূমিকম্প হলে করণীয় কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। 

তাই আজকে আপনাদের সাথে আমরা ভূমিকম্প সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করতে চলেছি। আপনারা যদি জানতে চান যে ভূমিকম্প কেন হয় এবং ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এছাড়া আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি ভূমিকম্প সংক্রান্ত আরো নানারকম তথ্য পাবেন। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে মূল আলোচনা গুলো শুরু করা যাক।

ভূমিকম্প কেন হয়

ভূমিকম্পের মতো এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেন হয় এই বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকের পর্বের মাধ্যমে আমরা জেনে নেব যে ভূমিকম্প কি কারণে হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে ভূমিকম্প কেন হয়।

আরও পড়ুন: ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে 

পৃথিবীতে সমস্ত স্থলভাগ একত্রে ছিল। পৃথিবীর উপভাগে কতগুলো অনুমানীয় প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত বলে ধীরে ধীরে তারা আলাদা হয়ে গিয়েছে। আর এই প্লেটগুলোকে বিজ্ঞানীরা টেকনিক প্লেট বলে থাকেন। এই টেকনিকগুলো একে অপরের সঙ্গে পাশাপাশি লেগে থাকে। এই টেকনিকগুলো যেকোনো কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেই শক্তি তৈরি হয়। আর এই শক্তি তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই তরঙ্গ বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে সেটি পৃথিবীর উপরি তলে এসে পৌঁছায়। আর তখনও যদি যথেষ্ট শক্তি থাকে তাহলে সেটা ভূত্ত্বকে কাঁপিয়ে তোলে আর এই কাঁপুনিটি হল মূলত ভূমিকম্প। আশা করি এই অংশটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ভূমিকম্প কেন হয়।

ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

আমরা অনেকেই ভূমিকম্পের সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। যার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আবার অনেকেরই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। তাই আমাদের জেনে নেওয়া উচিত ভূমিকম্পের সময় নিজেকে কিভাবে নিরাপদে রাখা যায়। চলুন তাহলে ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

  • ভূমিকম্প অনুভব হলে শান্ত থাকতে হবে। আপনি যদি কোন ভবনের নিচ তলায় থাকেন তাহলে দ্রুত সেখান থেকে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসতে হবে।
  • আর যদি আপনি ভবনের ওপর তলায় থাকেন তাহলে কোন একটি কক্ষের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই আপনাকে সুযোগ বুঝে খালি জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
  • ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে কখনোই উঁচু বাড়ির জানালা অথবা বারান্দা থেকে কখনোই লাফ দেবেন না।
  • ভূমিকম্পের সময় কোন ভবনে থাকাকালীন লিফট ব্যবহার করবেন না।
  • ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকনির পর আবার ঝাঁকুনি হতে পারে। তাই একবার বাহিরে বেরিয়ে এলে নিরাপদ অবস্থা ফিরি না আসা পর্যন্ত আপনি কখনোই ভবনে যাবেন না।
  • এছাড়াও আপনি যদি ঘরের বাইরে থাকেন তাহলে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, অথবা উঁচু বাড়ি থেকে দূরে থাকবেন।
  • রান্নাঘরে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যত সম্ভব বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাসের চুলা বন্ধ করে রাখবেন।
  • আপনি যদি গাড়িতে থাকেন তাহলে ওভারব্রিজ অথবা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে গাড়ি দূরে থামাবেন। এবং ভূমিকম্প না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতর থেকে বের হবেন না।
  • এছাড়াও আপনি যদি ভূমিকম্পের সময় বিছানায় থাকেন তাহলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখবেন। এছাড়াও ভূমিকম্পের সময় আপনি চাইলে শক্ত দরজার, চৌকাঠের নিচে, ও পিলারের পাশে আশ্রয় নিতে পারেন।
  • আপনি যদি ভূমিকম্পের সময় ভাঙ্গা দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন। তাহলে বেশি নাড়াচাড়ার চেষ্টা করবেন না, কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবেন। এবং উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবেন।

ভূমিকম্প হলে করণীয় কি

ভূমিকম্প খুব বেশি সময় ধরে হয় না। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ভূমিকম্প হওয়ার আগ থেকেই আমাদেরকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আপনার বাড়ি ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধ করে নির্মাণ করলে অংশেই আপনি নিরাপদে থাকবেন। তবে ভূমিকম্প শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব খোলা স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। এছাড়াও ভূমিকম্পের সময় আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে কিছু উত্তম চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই আপনি যদি ঘরের বাইরে থাকেন তাহলে  ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে অথবা কোন বিদ্যুতের খুঁটি ঘেঁষে থাকবেন না। আপনাকে একদম নিরাপদ জায়গায় থাকতে হবে। 

আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায়

এছাড়াও যদি আপনি কোন ভবনের নিচতলাও থাকেন তাহলেও আপনাকে দ্রুত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি ভবন থেকে বেরিয়ে না আসতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভবনে থাকা টেবিল বা খাটের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। কাচের জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকতে হবে। সম্ভব হলে আপনি মাথার ওপর বালিশ অথবা হেলমেট, নয়তো নরম কিছু রাখবেন। এছাড়াও আপনি ভবনে থাকাকালীন লিফট কখনোই ব্যবহার করবেন না। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে কখনোই জানালা বা বারান্দা থেকে লাফ দেবেন না। কেননা এতে করে ভবন ধ্বংস না হলেও আপনি গুরুতরভাবে আহত হতে পারেন। অথবা এর জন্য আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আপনি যখন ১০ থেকে ১৫ তলা ভবনে থাকবেন। তখন যদি ভূমিকম্প হয় তাহলে আশ্রয় নেওয়ার সময় সবাই একসাথে না থেকে অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নেওয়া উচিত। এছাড়াও ভবনের মধ্যে আশ্রয় নেয়ার সময় কলাম বা ভিত্তির নিচে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা ভবন ধসে গেলে ভবনের ভিড়টি সহজেই ভেঙে পড়ে না। যদি বৈদ্যুতিক বা গ্যাসের সংযোগ থাকে তাহলে সে থেকে দূরে থাকা উচিত। যত সম্ভব আপনার মোবাইল ফোনে আগে থেকেই ফায়ার সার্ভিস অথবা অন্যান্য জরুরি সেবার নাম্বার গুলো সংরক্ষণ করে রাখবেন। এতে করে ভূমিকম্পের সময় আপনি তাদেরকে ফোন করে সহযোগিতা চাইতে পারবেন।

ভূমিকম্পের পূর্বে কি প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার

ভূমিকম্পের আগে আমাদেরকে অবশ্যই পূর্বে যে সব প্রস্তুতি রয়েছে সেসব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আর এর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ভূমিকম্পের পূর্বে যেসব প্রস্তুতি রয়েছে সেগুলো জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা ভূমিকম্প আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি করে। আর এর জন্য মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই চলুন আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেই যে ভূমিকম্পের পূর্বে কি প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার।

  • বাড়ির ভেতরে গ্যাসের চুলা থাকলে বন্ধ করে রাখতে হবে। এবং বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করার নিয়ম জেনে রাখা।
  • পরিবারের সবার সেফটির জন্য হেলমেট রাখা প্রয়োজন।
  • ভবনের উচ্চতা ও রডের হিসাব অনুযায়ী ভবনে শক্ত ভীত প্রদান করা।
  • নরম মাটিতে ভবন নির্মাণ করা যাবে না। অথবা গর্ত জায়গায় কোন ভবন নির্মাণ না করা।
  • গ্যাসের লাইন ও বিদ্যুতের লাইন সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাবে স্থাপন করে রাখা।
  • পরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ করার জন্য বিল্ডিং কোড মেনে চলা।
  • এছাড়াও ঘরের ওপরের থাকে কোন ভারী জিনিসপত্র না রাখা। ঘরের উপরে ভারী জিনিসপত্র রাখলে সেই ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে।
  • আপনি যেখানে বাড়ি নির্মাণ করতে চাচ্ছেন তার আশেপাশে যদি কোন বাড়ি থাকে তাহলে আপনার বাড়ি একটু দূরত্বে নিরাপদ স্থানে বাড়ি নির্মাণ করা।

ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব কি

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব কি না। আপনি যদি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব কি না এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই অংশটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। মূলত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আগে থেকে পাওয়া যায় না। তবে একবার ভূমিকম্প হলে তারপর আবার ঘন্টাখানেকের পর ভূমিকম্প হতে পারে এটা অনুমান করা যায়। কিন্তু প্রথম ভূমিকম্প অনুমান করা যায় না। এটা অনুমান করা একেবারে অসম্ভব। কারণ এখনো পর্যন্ত এমন কোন প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়নি যার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার দাবি করে কিন্তু এটার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

আরও পড়ুন: ছেলেদের দাড়ি গজানোর সহজ উপায় ও দাড়ি গজানোর ওষুধ

তবে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য এমন কিছু আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। যেহেতু ভূমিকম্প গুলো সাধারণত বিভিন্ন ফল্ট লাইট বা চিরে হয়ে থাকে। তাই যেসব স্থানে ভূমিকম্প হতে পারে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। তবে বিভিন্ন ফল্ট লাইটের ভূমিকম্পের পূর্বের ইতিহাস বিবেচনায় এনে ধারণা করা যায় যে ওইসব স্থানে কত বছর ধরে শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। তবে এই শক্তি কখন ভূপৃষ্ঠ হতে কিভাবে বেরিয়ে আসবে এই সম্পর্কে কেউ কোন পূর্বাভাস আগে থেকেই দিতে পারেনা। কারণ এই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।

ভূমিকম্প পরবর্তী পদক্ষেপ কি

ভূমিকম্প পরবর্তী পদক্ষেপ কি অথবা ভূমিকম্প পরবর্তী পদক্ষেপ কোনগুলো এগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা উচিত। কেননা ভূমিকম্পের সময় আমাদের অনেকেরই বিপদ না ঘটলেও ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে কিছু ভুলের কারণে অনেকেরই বিপদ ঘটতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের ভূমিকম্প পরবর্তী পদক্ষেপগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরী। চলুন তাহলে ভূমিকম্প পরবর্তী পদক্ষেপ কি সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • আপনি যদি কোন ভবনে ভূমিকম্পের সময় থাকেন। তাহলে সেখান থেকে ধীর স্থির ও শৃঙ্খলা বদ্ধ ভাবে বের হয়ে আসা।
  • টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, অথবা রেডিও থেকে জরুরী খবর নিয়মাবলী ভালোভাবে সোনা। এবং তা মেনে চলা।
  • বিদ্যুৎ, গ্যাসের চুল, অথবা টেলিফোন লাইনে কোন সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া। এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • সরকারি যেসব সংস্থাগুলো রয়েছে সেই সংস্থাগুলোকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা।
  • ভূমিকম্পের সময় উদ্ধারকাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।
  • ভূমিকম্পের সময় কোন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদেরকে নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।
  • এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় সার্বিক সহযোগিতা করা।
  • ভূমিকম্প বিষয়ে সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের পূর্ব প্রস্তুতি থাকা দরকার।
  • ভূমিকম্প হলে যদি লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে লোকদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ, ঔষধ, খাবার, চিকিৎসা, সেবা ইত্যাদি সহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
  • এছাড়াও ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মসূচি নিশ্চিত করা।

ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে করনীয় কি

ভূমিকম্প চলাকালীন অবশ্যই আমাদেরকে মাথা ঠান্ডা রেখে কিছু উত্তম চিন্তা ভাবনা করতে হবে। কেননা ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে অনেকেরই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অনেক মানুষ বিপদের মুখে পড়ে যায়। তাই আমাদের অবশ্যই ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে করণীয় কি এই সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। চলুন তাহলে ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে আমাদের কি করা উচিত সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রথমত, ভূমিকম্প চলাকালীন নিজেকে ধীর স্থির এবং শান্ত রাখতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত, যদি ভূমিকম্প চলাকালীন ঘরের ভেতর থাকেন তাহলে দ্রুত বাহিরে আসা।
  • ভূমিকম্প চলাকালীন গ্যাসের চুলা ও বিদ্যুতের সংযোগ অবশ্যই বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
  • কোন ভবনের দশ থেকে বিশ তলাতে থাকলে অবশ্যই টেবিল বা খাটের নিচে নিজেকে সেফটি নেওয়া।
  • ভবনে থাকলে লিফট ব্যবহার করা যাবে না।
  • যদি আপনার বাড়ি একতলা ভবনেও হয় তাহলেও আপনি দ্রুত বাহিরে বেরিয়ে আসবে।
  • কাচের জিনিস অথবা লোহার জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • এছাড়াও যেখানে ভূমি ধ্বংসের সম্ভাবনা রয়েছে অথবা উঁচু জায়গা রয়েছে সেখান থেকে দূরে থাকতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি নিশ্চয়ই ভূমিকম্প কেন হয় এবং ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। উপরিক্ত আলোচনা সাপেক্ষে আপনি এতক্ষণ নিশ্চয়ই ভূমিকম্প সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য পেয়েছেন। এই পোষ্টটি পড়ে আপনার নিশ্চয়ই ভূমিকম্প সম্পর্কে সঠিক কিছু ধারণা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ভূমিকম্প কেন হয় এবং ভূমিকম্প হলে করণীয় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।

আরও পড়ুন: ১০টি উপায়ে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ - বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার ১২ টিপস

আজকের এই ভূমিকম্প কেন হয় - ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এ ধরনের আরো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url