ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় | মোটা হওয়ার ১৫টি কার্যকরী টিপস

প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে লম্বা হওয়া যায় - কি ঔষধ খেলে লম্বা হওয়া যায়আমরা সকলেই কিন্তু স্বাস্থ্যবান হতে চাই। তবে অনেকেই আমরা জানি না যে কিভাবে নিজেকে সঠিক নিয়মে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী ও অবৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে থাকি। যার ফলে অনেকেরই শরীর ও মানসিকতা স্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তাই অবশ্যই আমাদেরকে স্বাস্থ্যবান হতে গেলে কিছু কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি স্থায়ীভাবে মোটা হতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। কারণ আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কিছু কার্যকরী টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব।

আজকের এই আর্টিকেলে যে সকল বিষয় সম্পর্কে এবং ওষুধ সম্পর্কে উল্লেখ করা হবে। সেগুলো মোটেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কিছু কার্যকরী টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা স্থায়ীভাবে মোটা হতে চান এবং আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় - মোটা হওয়ার ১৫টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানুন

ভূমিকা

অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য অনেক ধরনের অস্থায়ী ও অবৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। আর এর ফলে শরীর ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। যতদিন ওষুধ সেবন করবেন ঠিক ততদিনই শরীর ফুলে থাকবে। আবার ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দিলে আপনার শরীর আবার আগের মত হয়ে যাবে। এ ধরনের ওষুধ সেবন করা পর আপনার মনে হবে যে আপনি মোটা হয়ে গেছেন। যখন এই ওষুধের প্রভাব শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে আবার তখন আপনার শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। 

আরও পড়ুন: শীতে শিশুর যত্নে ১০ খাবার | বাচ্চাদের জন্য সেরা শীতকালীন খাবার 

আপনি যদি স্থায়ীভাবে সহজ উপায় মোটা হতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ুন। কারণ আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কিছু কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানব। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি মোটা হওয়ার বিষয়ে আরো নানারকম তথ্য পাবেন। চলুন তাহলে আজকের মূল আলোচনাগুলো শুরু করা যাক।

ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায়

স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য ঘরোয়া এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি  খুব সহজেই দ্রুত মোটা হতে পারবেন। আর এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। ঘরোয়া ভাবে মোটা হলে আপনার স্বাস্থ্য ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে। আপনারা যারা ঘরোয়া ভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন তারা অবশ্যই নিচে দেওয়া ঘরোয়া ভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ে নেবেন। চলুন তাহলে ঘরোয়া ভাবে কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রথমত আপনি খাবার খাওয়ার আগে কখনোই পানি পান করবেন না। এতে করে পেট ভরে যায় ও প্রয়োজনীয় ক্যালোরি সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা যায় না।
  • প্রতিদিন তিন বেলা মূল খাবারের সাথে অন্যান্য ফাঁকে ফাঁকে আপনি তিনবার হালকা খাবার গ্রহণ করবেন। এতে করে আপনার শরীর স্থায়ীভাবে মোটা হতে শুরু করবে। তাই মূল খাবারের সঙ্গে অবশ্যই হালকা খাবারের ব্যবস্থা রাখুন।
  • সকালের নাস্তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে।
  • অতিরিক্ত তেলের জিনিস ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • আপনি নিয়মিত দুধ পান করবেন। কারণ প্রোটিনের চাহিদা ও শারীরিক পুষ্টি মেটাতে দুধের কোন বিকল্প নেই।
  • এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ক্যালরি যোগ করতে নিয়মিত কফি খেয়ে থাকেন। তারা অবশ্যই কফির সাথে ক্রিম যোগ করে খাবেন।
  • নিদ্রাহীনতা ও টেনশন, রোগা ইত্যাদি রোগ হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই অবশ্যই আমাদেরকে টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে।
  • খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনি প্রোটিন জাতীয় খাবার আগে খাবেন। এবং শাক- সবজি পরে খাবেন।
  • এছাড়াও আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

মোটা হওয়ার ১৫টি কার্যকরী টিপস

বিভিন্ন কারণে ওজন কমে যেতে পারে, অনিয়মিত খাদ্যভাস এটির মূল কারণ। কিন্তু সমস্যা যখন রয়েছে তখন এর সমাধানও রয়েছে। এমন কিছু কার্যকরী টিপস রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। চলুন তাহলে মোটা হওয়ার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।

ব্যায়াম করা: অনেকেই মনে করে থাকেন যে ওজন কমাতে ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে এই ধারণাটা মোটেও ঠিক না। ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম করা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেই ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু দোর ঝাপ করাই যথেষ্ট নয় এর জন্য দরকার প্রতিদিন নিয়ম করে জিম করা। কারণ জিমে অভিজ্ঞ ট্রেনার থাকে। আর ট্রেনারা আপনার ওজন ও চেহারা দেখে বলে দিবে যে কোন ব্যায়াম আপনাকে করতে হবে।

বেশি ক্যালরি গ্রহণ: আমরা অনেকেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ক্যালরি বার্ন করি এবং কম ক্যালরি গ্রহণ করি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ উল্টা হবে। ক্যালোরি বার্ন করবেন তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। আর আপনি যদি ওজন আস্তে আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। আর এইভাবে আপনি যদি এক সপ্তাহ করেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।

সঠিক প্রোটিন গ্রহণ: ওজন বৃদ্ধি করতে যেমন ক্যালরি প্রয়োজন ঠিক তার পাশাপাশি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। আপনি যদি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ না করেন তাহলে ক্যালোরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখবেন। যেমন: ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি এই সমস্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন।

খাওয়ারে রাখুন কার্বোহাইড্রেড: শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে কার্বোহাইড্রেড খুবই কার্যকরী। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেড এর মূল খাবার হচ্ছে ভাত, রুটি কার্বোহাইড্রেড এর প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত দুইবার কার্বোহাইড্রেড খাওয়া উচিত। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেড এর প্রধান উৎস তার মানে এই নয় যে এগুলো বেশি বেশি খাবেন। আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেড খাবার খাবেন সঠিক পরিমাণে, কিন্তু সাধারণের তুলনায় একটু বেশি। মোটা হওয়ার সহজ উপায় এর মধ্যে এটি হলো অন্যতম।

বার বার খাবার গ্রহণ: প্রতিটা মানুষেরই বার বার খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প করে কিছু খাবার খাওয়া। তবে যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা দুই ঘন্টা পর পর বেশি করে খাবার খেতে পারেন। এই সময় আপনি ফল, দুধ, দই, ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর পুষ্টির পাশাপাশি ওজনেও বৃদ্ধি পাবে।

ড্রাই ফুডস খাবেন: ড্রাই ফুডসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দুইটি কাজুবাদাম ও দুইটি কিসমিস খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও সকালের নাস্তায় আমন্ড ও পেস্তা রাখা খুবই জরুরী। আবার ওজন বৃদ্ধিতে আপনার ডায়েটের চাটে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখতে পারেন। আর এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাইভ ফুডস খেলে আপনি দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিমিত ঘুমান: শরীরকে ঠিক রাখার জন্য ঘুম খুবই জরুরী। তাই প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা অবশ্যই আপনাকে ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম ঘুমালে চলবে না। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগা করবেন। এতে করে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খান: ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু খেতে পারেন যা বেশি পুষ্টিকর এবং ক্যালরি যুক্ত। আর এ সমস্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু মিশিয়ে খান। দুধ ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এটি ওজন বৃদ্ধিতে পরিক্ষিত।

টেনশন মুক্ত থাকুন: সবারই একটি বড় সমস্যা হল টেনশন। ওজন কমাতে যেমন টেনশন মুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বৃদ্ধিতেও টেনশন মুক্ত থাকা খুবই প্রয়োজন। আজকাল টেনশন মুক্ত থাকা খুবই কঠিন তাও চেষ্টা করবেন যে যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার। কারণ টেনশন মুক্ত থাকলে ওজন বৃদ্ধি ও কমাতে সহায়তা করে।

ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন: বাইরের খাবার খাওয়া নিষেধ আমরা কিন্তু সবাই জানি। তবে ওজন বৃদ্ধিতে বাহিরের খাবার খুবই কার্যকরী। যেমন: বার্গার, আইসক্রিম, ইত্যাদি এগুলো খাবার ওজন বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্যাট আর এগুলো বেশি খেলে শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতি কর হতে পারে। তাই আপনি চাইলে এগুলো খেতে পারেন কিন্তু পরিমান মত। তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখতে পারেন। এগুলো ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন: গরমে ত্বক উজ্জ্বল রাখার ঘরোয়া উপায়- গরমে ত্বকের যত্ন 

ফল এবং শাকসবজি খান: শাকসবজি এবং ফল মূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যা আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শাকসবজি এবং ফলমূল রাখুন। তবে আপনি খাবারের সময় প্রথমে প্রোটিন যুক্ত খাবার আগে খাবেন তারপর শাক-সবজি খাবেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরচর্চা আপনার শরীরকে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। তবে এটি পেশী তৈরি করতেও ভীষণভাবে সাহায্য করে। পেশী হলো শরীরের সবচেয়ে ঘন ওজনের টিস্যু। আর এই পেশী তৈরি করতে পারলে শরীরের ওজন অবশ্যই বাড়বে।

বেশি করে লাল মাংস খান: লাল মাংস ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী। এটিতে রয়েছে শক্তি এবং প্রয়োজনে পুষ্টি। যেমন: আয়রন, ভিটামিন, জিঙ্ক যা শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লাল মাংস খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। কারণ এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালরি এবং চর্বি রয়েছে।

বেশি করে দুধ পান করুন: দুধ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। দুধ প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা হার মজবুত এবং দাঁতকে উন্নতি করে। এছাড়াও এটি ক্যালরি সমৃদ্ধ। তাই আপনি যদি দুধ পান করতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। আপনি শুধু নিশ্চিত করুন যে কম চর্বিযুক্ত দুধ বেছে নিয়েছেন। কারণ এতে পুরো দুধের চেয়ে কম ক্যালরি এবং বেশি পুষ্টি রয়েছে।

নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করুন: আপনার যদি কোন স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা গুলি ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার প্রচেষ্টাকে প্রবাহিত করতে পারেন। আপনার ডাক্তার আপনাকে স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর ওজন বাড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। তাই নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।

ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়

ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় কি, এই ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার মনে থেকে থাকে তাহলে আপনি এই অংশটি পড়ুন। কারণ এই অংশের মাধ্যমে আমরা ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

  1. আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেছেন: তিনি বলেন আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল যে আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসূল (সা:) এর  কাছে পাঠাবেন। আর তার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন চেষ্টা সফল হয়নি। তবে অবশেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা খাওয়াতে থাকেন।আর এর ফলে আমি তাতে স্বাস্থ্যের অধিকারী হই। (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং৩৩২৪)।
  2. আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেছেন: তিনি বলেন আমার মা আমাকে রাসূল (সা:) এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন। আর তার জন্য তিনি দৈনিক পুষ্টির জন্য আমাকে চিকিৎসা করাতেন। তবে কোন চিকিৎসাই আমার কোন উপকার করতে পারেনি। অবশেষে তিনি খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে আমাকে খাওয়ান এবং এর ফলে আমি উত্তম রূপে পরিপুষ্টি লাভ করি। ( আবু দাউদ: হাদিস নং৩৩২৪)
উপরোক্ত আলোচনাতে যে দুটি ফলের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ভক্ষণ করলে আশা করি আপনি অবশ্যই প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। এই হল মোটামুটি ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়।

কি ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায়

কি ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায় এই সম্পর্কে বলার আগে আপনাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাতে চাই। আর সেটি হল ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায় তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এবং স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার জন্য নিচে কয়েকটি ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো। আর এই ওষুধগুলো সচরাচর মোটা হওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চলুন তাহলে কি ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায় সেই ওষুধগুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।

(Practin): স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য Practin এই ওষুধটি অনেকেই সেবন করে থাকেন। মূলত এই ওষুধটি স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার ওষুধ নয়। বরঞ্চ আপনি যদি এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে সেবন করেন তাহলে এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর সেগুলো হল: মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, হাত-পা ঝিনঝিন করা ইত্যাদি। ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

(Betnesol): Betnesol এই ওষুধটি মূলত চোখের এলার্জির সহ আরো অন্যান্য অ্যালার্জির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকেই এই ওষুধ মোটা হওয়ার জন্য খেয়ে থাকেন। সাধারণত এই ওষুধটি মোটা হওয়ার ওষুধ হিসেবেও অনেকেই সেবন করে থাকেন। এই ওষুধটি দীর্ঘদিন সেবন করলে চুলকানি, ব্রণ ইত্যাদি সহ নার্ভাসের উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: কোন ভিটামিন খেলে বীর্য গাঢ় হয় - খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়

(Decdan): Decdan এই ট্যাবলেটটি মূলত চিকন স্বাস্থ্য মোটা করতে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই Decdan ট্যাবলেটটি দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। সেগুলো হল: দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, পেট খারাপ করা, হাটুতে ব্যথা ইত্যাদি এগুলো দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা এ ধরনের ওষুধ সেবন করা থেকে দূরে থাকুন।

(Ciplactin): Ciplactin এই ওষুধটি মূলত বিভিন্ন ধরনের এলার্জি রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই ওষুধটি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন সেবন করা হয়, তাহলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। এছাড়াও ভূমির পরিমাণ অত্যাধিক হয়ে যেতে পারে। তাই যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেবন করা উচিত।

(Dexona): Dexona এই ওষুধটি মূলত হাঁপানি, এলার্জি, ক্যান্সার সহ রোগে ব্যবহৃত একটি ওষুধ। অনেকেই স্বাস্থ্য মোটা করার জন্য ইচ্ছামত এই ওষুধটি দোকান থেকে কিনে খেয়ে থাকেন। এই ওষুধটি যদি দীর্ঘদিন সেবন করা হয় তাহলে কিডনি ড্যামেজ সহ লিভার ফাংশন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই আপনারা যারা এই ওষুধটি সেবন করে থাকেন অথবা যারা এই ওষুধটি সেবন করার কথা ভাবছেন তারা অবশ্যই ভক্ষণ করার পূর্বে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে ভক্ষণ করবেন।

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়

আপনাদের মধ্যে যারা স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তারা প্রায়শই এরকম প্রশ্ন করে থাকেন যে সাত দিনে কিভাবে মোটা হওয়া যায়। আর আপনারা যারা এরকম প্রশ্ন করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় অবলম্বন করলে আপনার শীর্ণ স্বাস্থ্যের বডিটিউকে হারিয়ে ফেলতে পারেন। কেননা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় অবলম্বন করলে আপনাকে এমন কিছু ওষুধ সেবন করতে হবে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

তাই আপনারা যারা সাত দিনের মধ্যে মোটা হতে চান তারা সাত দিনের ভেতর মোটা হওয়ার উপায়  না খুঁজে। বরঞ্চ আপনি স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য মোটা হওয়ার খাবার রুটিন অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করুন। এছাড়াও আপনি মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। আর যদি আপনি ইতিমধ্যে সাত দিনের মধ্যে মোটা হওয়ার জন্য কোন ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে আপনি এখনই ওই ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দিন। কারণ এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে।

মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়

মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়, এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। আপনারা যারা এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা এই অংশটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ এই অংশে আমরা মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়, এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করা যাক।

মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়, এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হচ্ছে মিষ্টি খেলে কিছুটা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। মিষ্টিতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে তাই অনেকেই মনে করে থাকেন যে খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত মিষ্টি খেলে কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি হতে পারে। এটা কিছুটা সত্যি যে মিষ্টি খেলে স্বাস্থ্য বৃদ্ধি হয়। তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। তাই আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য পরিমাণ মতো মিষ্টি খেতে পারেন।

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম

উপযুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন প্যারাতে অনেক ধরনের মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম নিয়ে। আপনি কি জানেন যে মোটা হওয়ার জন্য কোন ব্যায়ামগুলো প্রয়োজন এবং মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম কিভাবে করতে হয়। আপনি যদি এ সকল প্রশ্নের উত্তর না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটি পড়ুন।

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম: আপনি যদি স্থায়ীভাবে মোটা হতে চান এবং মোটা হওয়ার ব্যায়াম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জিম করতে হবে। কেননা এলোমেলো ভাবে ব্যায়াম করলে শরীরের কোন উপকার হয় না। বরঞ্চ উপকার হওয়ার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনি কখনোই ট্রেইনার ছাড়া নিজে নিজে এলোমেলো ভাবে ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জিমে যেতে হবে।

মোটা হওয়ার খাবার রুটিন

আপনারা যারা মোটা হওয়ার খাবার রুটিন সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই অংশটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। নিচে দেওয়া লিখিত খাবার গুলি নিয়মিত ভক্ষণ করলে আপনি খুব সহজেই আপনার আশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। চলুন তাহলে মোটা হওয়ার খাবার খাওয়ার রুটিন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এছাড়াও আপনি যদি মোটা হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ডিম: ডিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আর এই ক্যালরি খুব দ্রুত আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ডিম খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্যবান হওয়ার স্বপ্ন খুব দ্রুত বাস্তবে পরিণত হবে। আপনি যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩টি ডিম খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্য দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। তবে আপনাকে অবশ্যই ডিম সেদ্ধ করে ডিমের সাদা অংশসহ খেতে হবে।

ড্রাই ফ্রটস: মোটা হওয়ার জন্য আমাদের অধিক পরিমাণ ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আর ড্রাই ফ্রটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। তাই আপনি যদি এই খাবারটি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য অবশ্যই খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আপনি বিশেষ করে কিসমিস, খেজুর, কাজুবাদাম, ছোলা ইত্যাদি সহ এগুলো খাবার খেতে পারেন। এগুলো খেলে আপনার শরীরের ওজন খুবই দ্রুত বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে পানি পানের ৭ টি উপকারিতা - অতিরিক্ত পানি পান করলে কি হয়

আলু: আলু খুবই সাধারণ একটি সবজি। এটি আমরা প্রায় সকলেই খেয়ে থাকি। এই সবজিটি রান্নাঘরে থাকা সাধারণ কোন সবজি নয়। এই সবজিটি স্বাস্থ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন আলু খেতে পারেন তাহলে এর কার্যকারিতা উপলব্ধি করতে পারবেন।

ক্যারিফায়েড বাটার: ক্যারিফায়েড বাটারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী। এক চামচ ক্যারিফায়েড এর সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খেলে এটির উপকার আরো অনেক বেশি পাওয়া যায়। এই খাবারটি আপনি রাতে খাবার আগে খেতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি নিশ্চয়ই ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কার্যকরী টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি নিশ্চয়ই মোটা হওয়া সংক্রান্ত আরো নানা তথ্য পেয়েছেন। আজকের এই ঘরোয়া ভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কার্যকরী কিছু টিপস সম্পর্কে এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ঘরোয়া ভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং মোটা হওয়ার কিছু কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।

ঘরোয়াভাবে মোটা হওয়ার সহজ উপায় - মোটা হওয়ার ১৫ টি কার্যকরী টিপস এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়াও এরকম আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url