ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখনপ্রিয় পাঠক, আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন, তারা নিশ্চয়ই ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। আপনি যদি ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে এই পোস্টটি ওপেন করে থাকেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ডালিম খাওয়ার সমস্ত উপকারিতা আপনাদের জানাতে চলেছি। আপনি যদি ডালিম খাওয়ার যে সমস্ত উপকার রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা 

ভূমিকা

ফল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে। আমাদের দেশে এমন অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রয়েছে যারা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রাখেন। কারণ ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ ফলে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ যার কারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুই একটি ফল রাখার কথা বলেছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে মূল আলোচনাগুলো শুরু করা যাক।

ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার বহু উপকারিতা রয়েছে। যদিও ডালিম কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই এই ডালিম ফল খেতে চায় না। তবে নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার করে। ডালিম ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক সুস্বাদু। তবে ডালিম খুব একটা খেতে পারেন না, কারণ এর দাম একটু বেশি এর জন্য এটিকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ডালিম ফলের কিছু অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে, যেগুলো জানা থাকলে আপনার খাবারের তালিকা থেকে এই ফলটি বাদ দিতে চাইবেন না। চলুন তাহলে ডালিমের কিছু অসংখ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ডালিমের পুষ্টি: ডালিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। মাত্র এক কাপ ডালিমে রয়েছে আপনার দৈনন্দিন চাহিদার ৩৬ শতাংশ ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯-এবং ১২ শতাংশ পটাশিয়াম রয়েছে। আর এ  সমস্ত পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: যাদের হৃদরোগের আশঙ্কা রয়েছে তারা যদি এর থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। কারণ ডালিম আপনার শরীরের ক্যালস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুকি কমে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ডালিম। কারণ এতে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিমে এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যেগুলো রক্তশূন্যতা সহ রক্তের অন্যান্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। কারণ আমাদের রক্তচাপ বেশি বা কম হয়ে গেলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি নিয়মিত ডালিম খাওয়া যায়, তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাহলে নিয়মিত দুই সপ্তাহ ডালিম খেতে পারেন। তাহলে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: বিশেষ করে যাদের ভুলে যাওয়ার রোগ রয়েছে তারা চাইলে নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। কারণ ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিম আপনার স্মৃতিশক্তি বা মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। বিশেষ করে ডালিম ফল অ্যালঝেইমার্চের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও শিশুর খাবারের তালিকায় ডালিম ফল রাখতে পারেন।

হাড়ের ব্যথা দূর করে: যাদের হাড়ের ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। কারণ ডালিমে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দূর করতে কাজ করে।

ডায়াবেটিসে উপকারি: আমরা সকলেই জানি যে মিষ্টি ফল খেলে ডায়াবেটিস আরো বেড়ে যায়। তবে ডালিম মিষ্টি ফল হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা এই ফলকে প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে বলে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস হলেও নিশ্চিন্তে এই ডালিম ফল খেতে পারবেন। তবে এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডালিম ফল খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: কিসমিসের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে: শরীরের যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেগুলো সংক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ডালিম খুবই কার্যকরী। এছাড়াও ডালিম ফল ফাংগাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

শারীরিক অনুশীলনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে: শারীরিক অনুশীলনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুস্থ থাকার জন্য কিংবা ভালো পারফরমেন্সের জন্য অনেকেই শারীরিক অনুশীলন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, অনুশীলনের পাশাপাশি যদি ডালিম খাওয়া হয় তাহলে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে: ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ডালিমের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ ডালিম ফল বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

ডালিম খাওয়ার অপকারিতা

ডালিম খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চলুন তাহলে আজকের এই অংশে আমরা ডালিমের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নি। প্রত্যেকটি ফলের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা যদি প্রতিটা ফলমূল নিয়ম মেনে খাই তাহলে আমরা সকলে সুস্থ স্বাভাবিক থাকবো। কিন্তু অতিরিক্ত এবং অনিয়ম ভাবে যদি কোন ফল খায় তাহলে এর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাই এরকম সব কিছুরই একটা ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। চলুন তাহলে ডালিমের অপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক।

  • সাধারণত ডালিম একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল। তাই বিশেষ করে আপনাদের যাদের সর্দি অথবা জ্বর রয়েছে তারা ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • যারা মানসিক রোগী তাদের জন্য ডালিম খুব মারাত্মক হতে পারে। তাই তারা ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনাদের মধ্যে যাদের ধুলাবালি থেকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হয়। তারা ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ডালিম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের খুব কম রক্তচাপ রয়েছে তারা ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ যারা কম রক্তচাপের রোগী তারা ডালিম খেলে বিপদের মুখে পড়বেন।

ডালিম খাওয়ার সঠিক সময়

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি বা দুটি করে ফল রাখার কথা বলেছেন। এবং তারা ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি সেই বিষয় নিয়েও নানারকম গবেষণা করেছেন। এবং বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার সঠিক সময় সময় নির্ধারণ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে একেক ধরনের ফল খাওয়ার সময় হচ্ছে একেক রকম। ফল পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই রয়েছে। ডালিম ফল সুস্বাদু একটি খাবার। কেউ যদি সঠিক সময় ডালিম ফল না খায় তাহলে সে ফলের সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। 

আরও পড়ুন: কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিদিন একটি অথবা দুটি করে ফল খেয়ে থাকেন। কিন্তু দিনে যে কোন সময়ে কোন ফল খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানে না। যার কারণে তাদের শরীরে তেমন একটা উপকার আসে না। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত কখন কোন ফল কোন সময় খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া। এতে করে ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের ডালিম খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানাবো।

আপনারা যারা ডালিম ফল খেতে খুব বেশি পছন্দ করেন। তারা অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। ডালিম খাওয়ার একটি সঠিক সময় রয়েছে আর সেটি হল সকালবেলা। আপনি যদি সকালবেলা খালি পেটে ডালিম ফল খান তাহলে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন। এবং আপনি ডালিম ফলের সমস্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবেন। ডালিম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর তাই আপনি যদি নিয়মিত ডালিম খান তাহলে পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থ থেকে কোষকে রক্ষা করতে পারবেন।

সাধারণত ডালিম ফল খুবই সুস্বাদু একটি ফল। ডালিম ফল শুধু সুস্বাদু ফল নয় এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান। ডালিম ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি আর এসব উপাদান আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা ডালিম ফল খেতে পারেন। কারণ ডালিম রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ডালিম খেলে কি রক্ত হয়

ডালিমে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আপেল, লাল আঙ্গুর, বিট ইত্যাদি এগুলো ফলমূলও রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক। তবে এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।

ডালিমের বিচির উপকারিতা

ডালিমের বিচি খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিটামিন বি। এছাড়াও ফাইবার আঁশ জাতীয় খাদ্য উপাদান রয়েছে ডালিমের বিচিতে, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি ডালিমের বিচি খান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য পরিপাকে কোন সমস্যা থাকলে সেটা দূর হয়ে যাবে।

ডালিম খেলে কি পুষ্টি পাওয়া যায়

ডালিম খেলে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। কারণ ডালিমের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ভিটামিন বিদ্যমান। আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রধান ফল রাখা খুবই জরুরি। কারণ দেহকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে ফলের ভূমিকা অনেক। তাই আমরা যদি নিয়মিত ফলমূল খাই, তাহলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় মানব দেহের বিভিন্ন কোষ পরিচালনা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডালিম ফল খেলে কতটুকু পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

  • এক কাপ ডালিম খেলে ১৪৪ ক্যালোরি পাওয়া যায়।
  • এক কাপ ডালিম খেলে ২৫ শতাংশ শর্করা পাওয়া যায়।
  • এক কাপ ডালিমে ২৫ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে।
  • এক কাপ ডালিমে রয়েছে ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি।
  • এক কাপ ডালিম খেলে ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে পাওয়া যায়।
  • ডালিমের দানা থেকে ৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও ডালিমের আশ থেকে ৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

ডালিমে কি কি ভিটামিন রয়েছে

ডালিমে এমন অনেক ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডালিম এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ও ভিটামিন বি। এছাড়াও ডালিমে রয়েছে আয়রন, জিংক, পটাশিয়াম, ওমেগা- ৬ ফ্যাটি এসিড, মিনারেল ইত্যাদি এ সমস্ত ভিটামিন ডালিমে উপস্থিত রয়েছে। এ সমস্ত উপাদান ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে খুবই উপকারী। এছাড়াও একজন অন্তঃসত্ত্ব নারীর জন্য রক্তের প্রয়োজন মেটাতে ডালিম ফল খুবই কার্যকরী।

ডালিম খাওয়ার পর কি পানি খাওয়া যাবে

এমন অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খাওয়ার পর পানি খাওয়া একদম উচিত নয়। কারণ এই সংমিশ্রণটি পেটে শোষণ এবং হজম প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে, ফলে আপনার এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এই কারণে কিছু লোক ফল খাওয়ার পরে অস্থিরতা বোধ করেন। আপনি ফল খাওয়ার পর অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পর পানি খাবেন।

ডালিমের রস আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা ৫০ শতাংশের বেশি পূরণ করে। তাই আপনি স্বাভাবিক পুষ্টি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ডালিমের রস তৈরি করে খেতে পারেন। ডালিমের রস খেলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ হয়। এছাড়াও ডালিমের রস খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

প্রতিদিন ডালিমের রস খেলে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডালিমের রস হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও ডালিমের রস অন্তের প্রদাহ কমাতে এবং হজমের উন্নতি করতে খুবই উপকারী। ডালিম যোগ করা আপনার দৈনন্দিন রুটিন এর ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করার সেরা উপায় হতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ডালিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও এই পোস্টে আমরা ডালিম খাওয়ার অপকারিতা, ডালিম খাওয়ার সঠিক সময়, ডালিম খেলে কি রক্ত হয়, ডালিমের বিচির উপকারিতা, ডালিম খেলে কি পুষ্টি পাওয়া যায়, ডালিমে কি ভিটামিন রয়েছে, ডালিম খাওয়ার পর কি পানি খাওয়া যাবে ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন: আনারসের জুস তৈরির রেসিপি সম্পর্কে জেনে নিন

আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে ডালিম খেতে পারি তাহলে আমরা সুস্থ থাকবো। কারণ ডালিমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা যদি সচেতন হয়ে চলতে পারি, তাহলে আমরা সুস্থ সবল থাকবো। এবং এর অপকারিতা সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আর আমরা যদি নিয়ম মেনে ডালিম না খাই, তাহলে আমাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তাই আসুন আমরা সবাই নিয়ম মেনে ডালিম খাই এবং সুস্থ থাকি। এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url