ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় | ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ কি

ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়

ঘন ঘন জ্বর আসা খুব বেশি একটা ভালো নয়। তাই শরীরে ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ প্রথমে আপনাকে সেটা বুঝতে হবে। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কেন কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কিছু বিষয় আপনাকে জেনে নিতে হবে। আর এই বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে জেনে নিলে আপনি অবশ্যই ঘন ঘন জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন। ঘন ঘন জ্বর হলে করনীয় কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হল।

• প্রথমত ঘন ঘন জ্বর থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে ধূমপান ও সকল ধরনের মদ্যপান পরিত্যাগ করতে হবে।
• সব সময় আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
• নিয়মিত পুষ্টিকর ও সুষম যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
• আপনার শরীরের যদি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। তাহলে আপনাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
• প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে অতিরিক্ত ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন।
• যে সকল খাবার খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সেই সকল খাবার আপনাকে খেতে হবে।
• এছাড়াও শরীরে ঘন ঘন ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
• যদি ঘন ঘন জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই অতি শীঘ্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি

ঘন ঘন জ্বর অনেক কারণে আসতে পারে। ঘন ঘন জ্বরের কারণের ভাইরাসের সংক্রমণ বিশেষ করে যদি দেহে প্রকাশ করে। তাহলে শরীরের নানা রকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আর এরকম বিভিন্ন ধরনের রোগের ফলে ঘন ঘন জ্বর আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেহেতু ঘন ঘন জ্বরের সাথে মরণব্যাধি বিভিন্ন রোগের না সম্পর্ক রয়েছে। তাই ঘন ঘন জ্বর খুব বেশি একটা ভালো না। এমন কিছু রোগ রয়েছে যে রোগ গুলি আপনার শরীরে যদি আক্রমণ করে তাহলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ গুলি নিচে দেওয়া হল।

1. কিডনি, লিভার ও হার্ট এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
2. এলার্জিজনিত সমস্যা থাকলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
3. যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম করা হয়, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
4. ফুসফুসে যদি কোন কারনে পানি জমে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
5. নিউমোনিয়া কিংবা কিডনির মতো জটিল সমস্যার কারণে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
6. ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি একটি রোগ হচ্ছে এইচআইভি ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
7. যদি ধূমপান করার অভ্যাস বা মাদকদ্রব্যের অভ্যাস থাকে তাহলে এর কারণে শরীরের ভেতরে নানা ধরনের ইন্ডাকশন হতে পারে। আর এই ইনফেকশনের ফলে শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
8. যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা যদি নিজের খেয়াল না রাখে তাহলে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা হাস পেতে পারে। যার ফলে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ হতে পারে। আর এই অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগী যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না রেখে জীবন যাপন করতে থাকে। তাহলে তার ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

উপরিক্ত, এই সংক্রান্ত রোগীদের যখন খুব বেশি ঘন ঘন জ্বর আসবে। তখন সেটি থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই অবস্থায় অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলা খুবই জরুরী।

ঘন ঘন জ্বর কেন হয়

ঘন ঘন জ্বরের নানা রকম কারণ থাকতে পারে। যেমন ভাইরাস বা অন্য কোন সংক্রমণের ফলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তবে এ জ্বরের কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ জীবাণু যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের সেই পরিমাণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতে হবে। 

সাধারণত বিভিন্নভাবে ঘন ঘন জ্বর শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর এর মধ্যে রয়েছে পেটের ভেতর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, সর্দি কাশি লেগে থাকা, ফুসফুসের সংক্রমণ, রক্তস্বল্পতার ইত্যাদির মত সমস্যা হয়ে এই ঘন ঘন জ্বরের সৃষ্টি হয়। কেউ যদি টিকা নিয়ে থাকে অথবা যদি শরীরে টিউমার হয় তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

ঋতু পরিবর্তন বা কোন ধরনের ভাইরাস এবং অন্য যেকোনো বড় ধরনের রোগের ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তবে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

ক্যান্সার জনিত সমস্যা থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে ঘন ঘন জ্বর দেখা দিতে পারে। তবে ব্লাড ক্যান্সার সহ এমন কিছু ক্যান্সার রয়েছে যেগুলো প্রথম অবস্থা থেকেই ঘন ঘন জ্বরের সৃষ্টি করে। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ জেনে নিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। এরকম আরো অনেক ধরনের রোগ রয়েছে যেগুলোর কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়।

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ

বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এর সংক্রমণে আপনার ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেকেই এই ঘন ঘন জ্বর হওয়াকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেয় না। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই এই লক্ষণ বেড়ে যায়, আর এর কারণে শরীরে প্রাণঘাতী বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এই বিষয় সম্পর্কে কিছু লক্ষণ জেনে নিলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। চলুন তাহলে ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

• প্রথমত আপনার মাথাব্যথা এবং অবসাদ দেখা দিতে পারে।
• যখনই আপনার শরীরে জ্বর আসবে তখনই কাঁপুনি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
• খুব বেশি ডিপ্রেশন এর মধ্যে পড়ে যাবেন।
• প্রচন্ডভাবে খিদের অভাব দেখা দিবে যার ফলে আপনার শরীর আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে।
• যখন জ্বর বাড়তে থাকবে তখন অতিরিক্ত জ্বর ওঠার কারণে খিচুনি হয়ে যেতে পারে।
• এছাড়াও ডিহাইড্রেশন শুরু হয়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে আপনার শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
• আপনার শরীরে যখনই জ্বরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তখন কিন্তু ঘুম ঘুম একটি রেশ কাজ করতে পারে।

যদি ঘন ঘন জ্বর হয় তাহলে কি কাজ করবেন

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কি এবং ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন আমরা জানবো ঘন ঘন জ্বর হলে কি কাজ করবেন। যদি কোন কারনে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়, তাহলে কিভাবে নিজের সেবা গ্রহণ করব আজকে এই অংশে আপনাদেরকে সেই ব্যাপারে কিছু তথ্য জানাবো। ঘন ঘন যদি জ্বর হয় তাহলে কি কাজ করবেন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল।

আরও পড়ুন: ওসিডি রোগের ঔষধ কতদিন খেতে হয় - ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়

• প্রথমত যদি আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হয় তাহলে যে কাজটি করবেন সেটি হল। মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে যে সমস্ত খাবার প্রয়োজন হয়, সে সমস্ত খাবার গ্রহণ করবেন।
• মানবদেহের শরীরে যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সে সমস্ত ক্ষমতা আগে আপনাকে শরীরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
• সব সময় নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন ধরনের জ্বর বা কোন রোগ আপনাকে আক্রান্ত করছে কিনা।
• নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে পুষ্টিকর খাওয়ার খেতে হয়।
• কখনোই ধূমপান এবং মদ্যপান বা বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
• পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। যতটুকু ঘুমানোর দরকার ঠিক ততটুকু ঘুমাবেন।
• এছাড়াও আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

ঘন ঘন জ্বর হলে এর দ্বারা কোন রোগ সৃষ্টি হয়

শরীরের ভেতর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের কারণে জ্বরের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। এখন আপনাদেরকে জানাবো যে ঘন ঘন জ্বর হলে কোন কোন রোগের সৃষ্টি হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে ঘন ঘন জ্বর হলে এর দ্বারা কোন কোন রোগ সৃষ্টি হয়।

• নিউমোনিয়ার কারণে কিছুদিন পরপর ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এজন্য যদি কখনো আপনার নিউমোনিয়া হয়। তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাবেন।
• এইচআইভি ভাইরাসের কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। এইচআইভি ভাইরাস এমন একটা রোগ যার কারণে মানুষ মারা যেতে পারে। যদি এমনটা কারো হয়ে থাকে তাহলে তার ঘন ঘন জ্বর হবে।যাদের ক্যান্সার রয়েছে তাদেরও ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তাই এমন অবস্থা যদি কারো হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত।
• কিডনির সমস্যা থাকলে অথবা ফুসফুসের মধ্যে পানি জমা থাকলে এবং নিউমোনিয়া হয়ে থাকলে এগুলো কারণেও ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। যদি এমনটা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
• গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অনেকেই পরিশ্রম করে খেটে খায়। যারা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে থাকে তাদের কাজ করার কারণে জ্বর আসতে পারে। এছাড়াও যদি এই জ্বরটা ঘন ঘন হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আর এজন্য অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে।তখন অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
• বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য করলে। যেমন ধরুন কেউ ধূমপান করে এবং এই ধূমপান করার কারণে অথবা নিশাদ্রব্য পান করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে। এই ইনফেকশন এর কারণে আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। এজন্য এ সমস্ত নেশা দ্রব্য থেকে বিরত থাকতে হবে, এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
• এলার্জির কারণে অনেক সময় ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এছাড়াও যাদের অ্যালার্জি রয়েছে এবং যারা এলার্জি যুক্ত খাবার খান এই কারণে অনেকেরই ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। তাই এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• প্রস্রাবের সমস্যা অর্থাৎ প্রসাব করার সময় যাদের জ্বালাপোড়া করে বা প্রসাবের রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাদের অনেক সময় ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। যদি এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
• আমাদের মধ্যে যাদের ঠান্ডা জাতীয় জিনিস পছন্দ। যেমন ঠান্ডা পানি এবং সব সময় ঠান্ডা পানি খাওয়া গোসল করা ইত্যাদি এগুলো কাজ যাদের পছন্দ তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তাদেরকে বলবো এ সমস্ত ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়

আপনার অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়। সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। কারণ ভিটামিন ডি এর মধ্য রয়েছে পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার দেহের শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিন ডি আপনার দেহে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি ক্যান্সারের ঘাটতিও কমাতে বেশ উপযোগী। কিন্তু যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়, তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এর মাত্রা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: ক্যান্সার কেন হয়- ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় 

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এটা না জানার কারণে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে। তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির যে সকল লক্ষণ রয়েছে যেগুলো যদি প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই খুবই দ্রুত আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ ঘন ঘন জ্বর যেহেতু ভিটামিন ডি এর অভাবে হয় এর জন্য আপনাকে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে, তাহলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যখন স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়, তখন আপনার ঘুম হবে না। আপনি যদি না জানেন যে ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ তাহলে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত যখন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে, তখন আপনার ঘুম ঠিক মতো হবে না। তাই প্রতিনিয়ত আপনি যদি ঘুমাতে যান তাহলে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে জয়েন্টে ব্যথা এবং পেশীতে যন্ত্রণা হতে পারে। এছাড়াও সেই সাথে সাথে আপনার ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। ঘন ঘন জ্বরের কারণে ভিটামিন ডি এর অভাবে অল্প আঘাতেই আপনার হাড় ভেঙে যেতে পারে। আবার দুর্বল হাড় থাকলে সেটা ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। তাই দুর্বল হারের ক্ষয় হয়ে গেলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে বেশি বেশি খেতে হবে। আপনার যখনই ঘন ঘন জ্বর হবে, তখন আপনি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যত সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

কারণ আপনার ইউনিটি সিস্টেম যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন ঘন ঘন জ্বর আপনার শরীরের সাথে লড়াই করতে সক্ষম হয় না। তাই পুষ্টির ঘাটতি হলে আপনাকে খুব দ্রুত ভাইরাসের সংক্রমণ শরীর থেকে কমাতে হবে। ভিটামিন ডি এর অভাবে এমনকি আপনার শ্বাসকষ্টের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই যখন ঘন ঘন জ্বর হবে, তখন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আপনাকে যথাসম্ভব পূরণ করতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় এবং ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ঘন ঘন জ্বর কেন হয়, ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ, যদি ঘন ঘন জ্বর হয় তাহলে কি কাজ করবেন, ঘন ঘন জ্বর হলে এর দ্বারা কোন রোগ সৃষ্টি হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো আলোচনা করেছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি অবগত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: জ্বরে আনারসের উপকারিতা ও আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় এবং ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন। এরকম আরো বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।