পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় | পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

হস্ত মৈথুন ছাড়ার উপায় কি- হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায়প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদেরকে পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবো। আপনি যদি পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আপনারা যারা পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে আমরা পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন। আপনারা যারা পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় | পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার 

ভূমিকা

পায়ের গোড়ালি আমাদের শরীরের একটি অঙ্গ। সাধারণত পায়ের গোড়ালি আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। আর এর জন্য আমরা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারি। কিন্তু অনেক সময় কারণে অকারনে আমাদের পায়ের গোড়ালির নিচে ব্যথা হয়। আর এর জন্য আমাদের হাঁটাচলা করতে অনেক অসুবিধা হয়। তাই পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা সঠিকভাবে পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এবং এর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে পোস্টটির মূল আলোচনা গুলো শুরু করা যাক।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ হলো প্লাস্টার ফাসাইটিস অথবা স্পর গোড়ালি নিচের অস্বাভাবিক কারণে পায়ের গোড়ালি ব্যথা ব্যথা হয়। এবং এই ব্যথাটি সকালবেলায় বুঝতে পারা যায়। যখন আমরা সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা ফেলি তখনই এই ব্যথাটি বুঝতে পারি। সাধারণত পায়ের গোড়ালি ব্যথা হলে আমরা সঠিক মত ধাপ ফেলতে পারি না। পায়ের গোড়ালিতে পিনের মত খোঁচা মারে। আবার যখন আমরা হাঁটাচলা করতে শুরু করি তখন এই ব্যথাটি আপনা আপনি কমে যায়। আমরা যদি পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার জানতে চাই তাহলে আমাদেরকে আগে পায়ের অংশ সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের পায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি কি দ্বারা তৈরি। সাধারণত আমাদের পায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি কিছুটা হার দিয়ে তৈরি এবং কিছুটা বড় ক্যালকানিয়াস নামক একটি হার দিয়ে তৈরি।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির ৫ উপায় এবং ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

আর এই হারগুলোর সংযোগ রক্ষা করে লিগামেন্টস আমাদের পায়ের গোড়ালি থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত একটি শক্ত ব্যান্ড থাকে। যাকে বলা হয় প্লাস্টার ফাশা। এই প্লাস্টার ফাশার কাজ হল আমাদের শরীরের সমস্ত ওজন সরাসরি হাড়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে না পারে। এছাড়াও পায়ের আকৃতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চলুন তাহলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার মেইন কারণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।

গাটে ঘাটে বাত: আমাদের শরীরে রক্তে অনেক সময় ইউরিন এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের গোড়ায় এবং গোড়ালি ও তার আশেপাশের জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ তৈরি হয়। আর এর ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়।

টারশান টানেল সিনড্রোম: আমাদের নার্ভের মধ্যে অনেক সময় ট্রমা অথবা দীর্ঘমেয়াদি চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে।

হাড়ভাঙ্গা বা ফ্যাকচার: আমরা যখন খুব বেশি পরিশ্রম করি অথবা অতিরিক্ত ব্যায়াম এবং খেলাধুলা করি, তখন আমাদের পায়ের গোড়ালিতে খুব চাপ পড়ে, যা থেকে হারের সমস্যা হয়। যারা বেশি দৌড়াদৌড়ি করে তাদের এ কারণে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়।

পায়ের লিগামেন্ট ইনজুরি বা পা মচকানো: আমাদের শরীরে কোন আঘাত অথবা পা মচকানোর ফলে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়ে থাকে।

প্লাস্টার ফাসাইটিস: প্লাস্টার ফাসাইটিস এর কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে। আর এটি হলো পায়ের ব্যথার অন্যতম একটি প্রধান কারণ। আমাদের শরীরে এই অংশে দীর্ঘমেয়াদী চাপের ফলে ব্যান্ডে ইনজুরি হতে পারে। প্রথম অবস্থাতে ব্যথা কম হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হাঁটাচলা করার পরে এই ইনজুরি গভীর হয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ ও ব্যথা অনুভব হয়। যাকে প্লাস্টার ফাসাইটিস বলা হয়ে থাকে। অনেকক্ষণ পর বিশ্রাম নেওয়ার বা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই ব্যথাটা বেশি অনুভব করা যায়।

সেভার্স ডিজিস: ছোট ও বড়দের ক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালির গেট প্লেটে মাইক্রোট্রমা ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৫ বছরের বাচ্চাদের এই কারণগুলির ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হয়ে থাকে।

উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো পায়ের জয়েন্টের কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ।এছাড়াও অনেক সময় পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কোন কারণ থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করে পায়ের গোড়ালি ব্যথা করতে থাকে। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালি ব্যথার ঝুঁকি একটু বেশি থাকে। সাধারণত পায়ের গোড়ালি ব্যথার সম্ভাবনা কাদের মধ্যে বেশি থাকে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে জানাবো।
  • প্রথমত যাদের পায়ের পাতা জন্মগতভাবে ফ্ল্যাট ফুড সমস্যা অথবা যাদের আর্য ও স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেক বেশি উঁচু থাকে। তাদের পায়ের গোড়ালিতে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক চাপ অনুভব হয়। আর এর ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার ঝুঁকি বহু বৃদ্ধি পায়।
  • অতিরিক্ত ওজনের কারণে পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ হতে পারে। কেননা তাদের গোড়ালিতে স্বাভাবিকের তুলনায় চাপ বেশি পরে। ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার প্রবণতা অধিক লক্ষ্য করা যায়।
  • নারী ও পুরুষের বয়স যদি 40 থেকে 60 এর মধ্যে হয়। তাহলে তাদের পায়ের গোড়ালির ব্যথা ঝুঁকি থাকে। তবে পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ পুরুষদের চাইতে নারীদের খুব বেশি থাকে।
  • অনেক সময় আমাদের জুতা পড়ার কারণে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে উঁচু জুতা হিল পরে হাঁটাচলা করেন, তাহলে আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথার অনুভব হবে। এবং এই ব্যথাটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
  • অনেকেই আছে যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করে। আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যেমন: ট্রাফিক পুলিশ, সিকিউরিটি গার্ড, বিউটিশিয়ান, ইত্যাদি এ ধরনের কাজ করলে পায়ের গোড়ালির ব্যথার প্রবণতা বেশি থাকে।
পায়ের গোড়ালি ব্যথার প্রতিকার সম্পর্কে জানুন:
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ আপনার যদি অধিক পরিমাণে ওজন হয়, তাহলে আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে।
  • অধিক সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে কোন কাজ করা যাবে না। এতে করে সম্পূর্ণ শরীরের চাপ পায়ের উপর পড়বে। এবং গোড়ালের ব্যথার সৃষ্ট হতে পারে।
  • প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনার পা উষ্ণ পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
  • আপনাকে নরম আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। এবং শক্ত জুতা ও হিল পড়া যাবে না।
  • ব্যথাজনিত স্থানে কিছুক্ষণ পর পর বরফ লাগাতে হবে। কারণ বরফ ব্যাথা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দিনে দুই থেকে তিনবার বরফ লাগাতে হবে।
  • পায়ের গোড়ালিতে যদি ব্যথা হয়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই রেস্ট নিতে হবে। এছাড়াও আপনি শোয়া বা বসার সময় পা উঁচু করে রাখবেন।
  • এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত পায়ের গোড়ালির ব্যায়াম করতে হবে। এবং পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে, আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পায়ের গোড়ালি ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি। বিভিন্ন কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে। এবং এই ব্যথা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। তাই আপনাদের জন্য আমরা পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। আর এই তথ্যগুলো জানলে আপনি ঘরে বসে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমাতে পারবেন।

হলুদ বাটা : হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। হলুদ শুধু জীবাণু ধ্বংস করে না বরং হলুদ পায়ের ব্যথা বা যেকোন ব্যথা দূর করতে বেশ উপকারী। পায়ের ব্যথা দূর করতে হলুদের সঙ্গে কিছু পরিমাণে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন এরপর মিশ্রণটি ব্যথার জায়গায় লাগান। দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বাঁধাকপির পাতা: বাঁধাকপির পাতা ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। ব্যথা জনিত স্থানে বাঁধাকপির পাতা হালকা গরম করে ব্যথা স্থানে বেঁধে নিবেন এরপর শুকিয়ে গেলে আবার নতুন করে বাঁধাকপির পাতা বেঁধে নিবেন। এতে করে দেখবেন আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমে গেছে।

ব্রেকিং সোডা: ব্রেকিং সোডা ব্যথার জন্য খুবই কার্যকরী। কয়েক ফোঁটা ব্রেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে পেস্ট করে ভালোভাবে ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার ব্যান্ডেজ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখুন। এই পদ্ধতিটি মেনে চললে অবশ্যই আপনি ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।

আরও পড়ুন: জন্ডিসের লক্ষণ কি - জন্ডিস হলে কি করবেন

আদা বাটা: আদা বাটা ব্যথা কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তাই ব্যথাজনিত স্থানে আদাবাটা ও নারিকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। আশা করি আপনি সমস্যার সমাধান পাবেন।

আইস প্যাক: আমরা সবাই জানি যে আইস প্যাক যে কোন ব্যথা কমাতে বিশেষ কার্যকরী। আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে আইসপ্যাক ভীষণভাবে সাহায্য করবে। যেকোনো ব্যথা জনিত আক্রান্ত স্থানে আইস প্যাক দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট মাসাজ করতে হবে। এতে করে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল কমে ব্যথা অনুভূতিটা খুব কম মনে হবে।

নারিকেল তেল: নারকেল তেল পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে বেশি উপকারী। নারকেল তেল হালকা গরম করে ব্যথা জড়িত স্থানে মালিশ করলে অবশ্যই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সরিষার তেল: সরিষার তেলের মাসাজ বিশেষ উপকারী। যেকোনো ব্যথা দূর করতে সরিষার তেল একটি বিশেষ উপকারী উপাদান। তাই ব্যথাজনিত স্থানে সরিষার তেল দিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করলে দেখবেন আপনার ব্যথা কিছুক্ষণ পর দূর হয়ে যাবে। 

পায়ের গোড়ালি ব্যথার ঔষধের নাম

সাধারণত পায়ের গোড়ালি ব্যথা হলে আমরা যে কোন ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে থাকি। ডাক্তাররা সাধারণত আমাদেরকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাজারে এমন বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নাশক ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়াও ডাক্তাররা অনেক সময় রোগীদেরকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও ইন্ডাকশন দিয়ে থাকেন। যা নিয়মিত সেবন করলে আমরা ব্যথা থেকে মুক্তি পাই। এছাড়াও পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর এমন কিছু হোমিওপ্যাথিক ভালো ওষুধ রয়েছে। যেমন:

ম্যাগ ফস: আপনি পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার জন্য গরমের সেক দিলে ব্যথা থেকে আরাম পেলে ম্যাগ ফস এমন করতে পারেন। আর এই ওষুধগুলো অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

রাসটক্স: অনেকেরই সকালে হাঁটুতে ব্যথা হয়। এবং কিছুক্ষণ পর ব্যথাটা কমে যায়। এমন লক্ষণ থাকলে এই রাসটক্স ওষুধটি সেবন করতে পারেন।

ব্রোয়েনিয়া অলব: এছাড়াও আপনার যদি পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই নাড়াচড়া করলে ব্যথাটি বাড়তে পারে। আর এই ব্যথা কমানোর জন্য আপনি ব্রোয়েনিয়া অলব ওষুধটি সেবন করতে পারে। এটি বেশ কার্যকরী।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম

সাধারণত পায়ের গোড়ালির ব্যাথা, অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় আমাদের পায়ের গোড়ালে জয়েন্টের সমস্যার জন্য ব্যথা হয়ে থাকে। সুতরাং বিভিন্ন কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। তবে পায়ের গোড়ালের ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে। আপনি যদি পায়ের গোড়ালি ব্যাথার এই ব্যায়াম গুলি নিয়মিত করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমে যাবে। চলুন তাহলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম গুলি কি কি তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • হাত দিয়ে পায়ের পাতা গুলো ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। মাসাজ করার সময় তেল ব্যবহার করতে হবে।
  • বরফ জমানো পানির বোতল কিছুক্ষণ পায়ের গোড়ালিতে রোল করতে হবে, কমপক্ষে ১মিনিট।আপনি যদি চান তাহলে এই ব্যায়ামটি কিছুক্ষণ পরপর করতে পারেন।
  • চেয়ারে বসে যেকোনো এক পা সোজা রাখুন। একটি বড় ফিতা পায়ের পাতার সামনে রেখে দিয়ে আটকে দিয়ে দিতে হয়। এরপর ফিতার দুই প্রান্ত হাত দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ধরে টানতে থাকুন। এভাবেই উভয় পায়ে কয়েকবার করুন। তাহলে দেখবেন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আর এর ফলে আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা উপশম হবে।
  • আপনার পায়ের গোড়ালি যদি ব্যথা হয়। তাহলে আপনি হাঁটাচলা, সোয়া, বসা ইত্যাদি সব দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন।
  • উপরে দেওয়া উল্লেখিত উপায় গুলি যদি আপনি নিয়মিত মেনে চলেন। তাহলে অবশ্যই পায়ের গোড়ালি ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার লক্ষণ

সাধারণত পায়ের গোড়ালি ব্যথার আগে বেশকিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা হবে, বা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন চাইলে আপনি ব্যাথাটা বেশি হওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ অথবা ডাক্তারের পরামর্শ মতে ওষুধ সেবন করতে পারবেন। চলুন তাহলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার লক্ষণ গুলি জেনে নেওয়া যাক।

  • কখনো কখনো পায়ের গোড়ালি শক্ত শক্ত মনে হয়।
  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে হাঁটলে সেটা আরো বেড়ে যায়।
  • খালি পায়ে শক্ত জায়গা দিয়ে হাঁটলে ব্যথা আরো বেশি হয়।
  • যদি শক্ত জুতা ব্যবহার করা হয়, তাহলেও ব্যথা বেড়ে যায়।
  • আবার পায়ের গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।
  • এছাড়াও প্লাস্টার ফাসাইটিস হলে সকালে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা বেশি থাকে। আবার সূর্য ওঠার সাথে সাথে ব্যথা একটু কমে যায়।

পায়ের গোড়ালি ব্যাথার চিকিৎসা

আপনারা যারা পায়ের গোড়ালি ব্যথার সমস্যা ভুগছেন। তারা পায়ের গোড়ালি ব্যাথার চিকিৎসা সম্পর্কে আজকের এই তথ্যটি পড়লে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। কারণ আজকে আমরা এই অংশে পায়ের গোড়ালি বাজার চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

বর্তমানে পায়ের গোড়ালি ব্যথা বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে তার মধ্যেও ৩টি হল:

  1. ফিজিওথেরাপি
  2. পিআরপি
  3. ট্রিগার পয়েন্ট ইন্ডাকশন

ফিজিওথেরাপি: বর্তমানে পায়ের গোড়ালি ব্যথার জন্য এই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাটি বেশ জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফিজিওথেরাপি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ও এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আপনাদের মধ্যে কারো যদি পায়ের গোড়ালির ব্যাথা থাকে এবং আপনাদের আশেপাশের কেউ যদি পায়ের গোড়ালি ব্যথার সমস্যায় ভোগে থাকেন। তাহলে অবশ্যই নিয়মিত এক সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেবেন। তাহলে দেখবেন পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমে যাবে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার- ডেঙ্গু রোগ কিভাবে ছড়ায়

পিআরপি: বর্তমান সময়ে পিআরপি চিকিৎসাটি খুবই আধুনিক একটি চিকিৎসা। এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত মেশিনে দিয়ে রক্ত কণিকা আলাদা করে এই পিআরপি তৈরি করা হয়। যাতে প্রচুর পরিমাণে গ্রুপ ফ্যাক্টর থাকে যা আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা কে দীর্ঘদিন মেহেদী ক্ষয় পূরণের সহায়তা করে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল প্লাস্টার ফাসাইটিস জনিত গোড়ালি ব্যথায় এই পিআরপি চিকিৎসাটি খুব ভালো কাজ করে। সাধারণত এই চিকিৎসাটি একটি স্থায়ী এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা।

ট্রিগার পয়েন্ট ইন্ডাকশন: সাধারণত পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য এই ট্রিগার পয়েন্ট ইন্ডাকশন চিকিৎসাটি খুবই কার্যকরী। পায়ের গোড়ালি ব্যাথার ফলে অস্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হয়। আর সে ক্ষেত্রে ট্রিগার পয়েন্ট ইন্ডাকশনের মাধ্যমে স্টেরয়েড ওষুধের প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমানো যায়। তবে স্টেরয়েড ওষুধ প্রয়োগের পূর্বে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার ওষুধের নাম, পায়ের গোড়ালি ব্যাথার ব্যায়াম, পায়ের গোড়ালি ব্যথার লক্ষণ, পায়ের গোড়ালি ব্যথার চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কে আরো আলোচনা করা হয়েছে। আজকের এই আলোচনার কারণ হলো আমরা অনেকেই এই সমস্যায় বুকে থাকি। তাই আমাদের সকলেরই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে, তাদেরকেও পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url