ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম - ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায়

জ্বরে আনারসের উপকারিতা ও আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়মআজকে আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে জানাবো। ফ্রিজ সঠিকভাবে ব্যবহার করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। আমরা অনেকেই এই নিয়মগুলো জানিনা এবং এই নিয়মগুলো না জানার কারণে ফ্রিজ বেশিদিন টিকাতে পারি না। আবার বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে। তাই ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০টি নিয়ম ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তারা অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র: ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম - ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায়

ভূমিকা

সাধারণত গরমের সময় ফ্রিজ আমাদের সকলের দৈনন্দিন কাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলেই প্রতিদিন আমাদের রান্না করা তরকারি সহ আরো নানা ধরনের বিভিন্ন খাবার সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে। এছাড়াও আপনার ফ্রিজটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে মূল আলোচনা গুলো শুরু করা যাক।

ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম

আপনি যদি ফ্রিজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে। এবং আপনার ফ্রিজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো, আপনারা সকলেই নিচে দেওয়া নিয়মগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

  1. ফ্রিজ রাখার জন্য আপনি কখনোই দেওয়াল ঘেঁষে ফ্রিজে রাখবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে ফ্রিজটাকে রাখতে হবে। যাতে করে ফ্রিজের গরম বাতাস পেছন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
  2. আপনাকে ফ্রিজটা এমন ভাবে রাখতে হবে যেন ফ্রিজের সামনের দরজা গুলো ভালোভাবে খোলা যায় এবং বন্ধ করা যায়।
  3. ফ্রিজ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়ার সময় কখনই ফ্রিজকে কাত করবেন না।ফ্রিজ টাকে শূন্য করে ছেড়ে তারপরে ফ্রিজটাকে সেট করতে হবে।
  4. আপনি যখন ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন তখন ফ্রিজকে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখবেন। এরপর ফ্রিজ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পর অন করতে হবে।
  5. আপনি যদি আপনার ফ্রিজ দীর্ঘদিন ধরে ভালো রাখতে চান। তাহলে যখন তখন ফ্রিজ খোলা যাবে না। ফ্রিজ টাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর খুলতে হবে।
  6. ফ্রিজের ভেতর যদি কোন খাবার দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি সেই খাবারটিকে বের করে ফেলে দেবেন।
  7. এছাড়াও আপনি যদি কোন খাবার দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাবারগুলো ফ্রিজের ডিপ অংশে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করতে হবে।
  8. ফ্রিজের মধ্য খাবারগুলোকে সঠিক ও ভালো রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রা রয়েছে।অবশ্যই ফ্রিজের তাপমাত্রা তার ওপরে অথবা নিচে করা যাবে না।
  9. আপনি যদি ফ্রিজের ভেতর বরফ তৈরি করেন এবং বরফের ট্রে থেকে সহজেই সেগুলোকে বের করতে চান। তাহলে অবশ্যই বরফের ট্রে কে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন।
  10. সব ধরনের খাবার এক জায়গাতে রাখা যাবে না। আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট খাবারের জন্য কিছু নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করতে হবে।
  11. আপনি যদি ফ্রিজের ভেতর পানির বোতল কিংবা দুধের বোতল রাখেন। তাহলে সম্পূর্ণ ভর্তি করে রাখবেন না।
  12. মনে রাখবেন ফ্রিজের দরজা কখনো ৩০ সেকেন্ডের বেশি খুলে রাখা যাবে না। যদি খুলে রাখেন তাহলে ফ্রিজের ভেতর গরম হাওয়া প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে।
  13. ফ্রিজে সব সময়ের জন্য ২০০ ভোল্টেজ এর কারেন্ট চালাতে হবে। কারণ এর থেকে বেশি কিংবা কম হলে ফ্রিজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  14. যে সকল খাবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেগুলো কখনোই ফ্রিজের ভিতর রাখা যাবে না। এতে করে ফ্রিজের অন্য খাবার গুলো দুর্গন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  15. অনেক সময় বাসা বাড়িতে কারেন্টের ভোল্টেজ ওঠানামা করে এর ফলে ফ্রিজে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। আর এরকম সমস্যা যদি দীর্ঘক্ষণ ধরে হয় তাহলে ফ্রিজটি বন্ধ রাখুন।
  16. কোন ধরনের তরল পদার্থ যদি ফ্রিজে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই সেগুলোকে ঢেকে রাখতে হবে। তা না হলে বাস্তব কণা জমে যেতে পারে।
  17. আপনার হয়তো অনেকেই জানেন না যে বেশ কিছু ফল রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত না। যেমন: কলা, তরমুজ, ফুটি ইত্যাদি।
  18. কোন ধরনের পচে যাওয়া ফলমূল বা শাকসবজি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
  19. কাঁচা সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় পলিথিনের প্যাকেটে ভরে রাখতে হবে। তাহলে সেই সবজিগুলো শুকাবে না এবং দীর্ঘদিন ধরে ভালো থাকবে।
  20. ফ্রিজের ভেতর কোন ধরনের বড় আকারের জিনিস রাখলে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। যে সেই জিনিসটি ফ্রিজে ভালোভাবে ঢুকেছে কিনা।
  21. ফ্রিজ যখন কিনে আনবেন তখন ফ্রিজ নিচে রাখা চলবে না। ফ্রিজ রাখার জন্য একটা স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানে রাখতে হবে।
  22. ফ্রিজের ভেতরটা কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ মাস পর হলেও একবার পরিষ্কার করতে হবে। যদি পরিষ্কার করা না হয় তাহলে ফ্রিজে রাখা শাকসবজি এবং রান্না করা খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  23. আমরা নিয়মিত ফ্রিজের মধ্য থেকে একটা শব্দ শুনতে পাই এটা স্বাভাবিক। যদি এই শব্দটা শোনা না যায় অথবা অতিরিক্ত বেশি জোরে জোরে শব্দ শোনা যায়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিজের মিস্ত্রিকে ফোন করে ডাকতে হবে।
  24. ফ্রিজ কিনে আনার সঙ্গে সঙ্গে অন করা যাবে না। অন করার পরে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে কোন ধরনের জিনিস রাখা যাবে না। ফ্রিজকে শূন্য অবস্থাতে রাখতে হবে।
  25. আপনার ঘরে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে তাদেরকে ফ্রিজের আশেপাশে যেতে দেবেন না। এই বিষয়টির উপর নজর রাখতে হবে।
  26. যতটা সম্ভব আপনার ফ্রিজটাকে কম খোলার চেষ্টা করবেন। যখন ফ্রিজটাকে খুলবেন তখন একসাথে যত কাজ রয়েছে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার ফ্রিজে থাকা খাবারগুলো সতেজ থাকবে।
  27. যদি ফ্রিজের ভেতর রাখা খাবারগুলোকে ঠিকমতো ঠান্ডা করতে চান। তাহলে অবশ্যই থার্মোস্ট্যাট দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে। যদি ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমে যায় তাহলে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
  28. আপনার ফ্রিজটাকে অবশ্যই ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। যে স্থানে ফ্রিজটাকে রাখবেন সেখানে যেন সূর্যের আলো খুব কম আসে। সুতরাং ঠান্ডা স্থানে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  29. আপনি যদি ফ্রিজে রাখা শাকসবজি এবং খাবার গুলো সতেজ রাখতে চান। তাহলে আপনাকে ফ্রিজের ভেতরটা কয়েক মাস পর পর ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখবেন পরিষ্কার করার সময় ফ্রিজ বন্ধ রাখতে হবে। ফ্রিজ পরিষ্কার করার জন্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
  30. কোন ধরনের গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না। যদি রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই আগে খাবারটি কে ঠান্ডা করে নিতে হবে, এরপর ফ্রিজে রাখতে হবে।
  31. আপনি যদি কাঁচা তরকারি অথবা রান্না করা খাবার ফ্রিজের ভেতর রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। খাদ্যগুলোর উপরে পলিথিন দিয়ে ঢাকা যাবে না এতে করে তরকারি গুলো ঠান্ডা আবহাওয়া না পেয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  32. আপনি যদি কাঁচা মাছ-মাংস রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে পলিথিনে প্যাকেট করে ফ্রিজের ডিপ অংশে রাখতে হবে।
  33. ফ্রিজ ভালো রাখার জন্য এবং খাবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করার জন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। ফ্রিজের ভেতরকার তাপমাত্রা যেন ০ ডিগ্রির চেয়ে কম থাকে।
  34. আরও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। যেমন: ভাজাপোড়া, নোনতা খাবার, ডালের ছুপ ইত্যাদি এ ধরনের খাবারগুলোর কারণে অন্য খাবার গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  35. আপনি যদি পানি অথবা কোন ধরনের কোলড্রিংস খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করতে চান। তাহলে আপনাকে সেই বোতলটাকে ফ্রিজের ডিপ অংশ রাখতে হবে।
  36. অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ধরে কারেন্ট থাকে না এক্ষেত্রে আপনার ফ্রিজের তাপমাত্রা যদি ঠিক থাকে এবং ফ্রিজ কম খোলা হয়। তাহলে দীর্ঘক্ষণ ধরে খাবার গুলো ভালো থাকবে।
  37. দীর্ঘ সময় ধরে ফ্রিজে কোন ধরনের খাবার রাখা যাবে না। এতে করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সেই খাবারের জন্ম নিতে পারে।
  38. যখন ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন তখন অবশ্যই ফ্রিজটাকে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখবেন। এরপরে ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পরে অন করতে হবে।
  39. যদি আপনার ফ্রিজ থেকে অস্বাভাবিক কোন ধরনের শব্দ শুনতে পান তাহলে এটিকে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিস্ত্রিকে ডেকে কিসের শব্দ হচ্ছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
  40. যেকোনো ধরনের খাবার অথবা তরকারি যদি ফ্রিজে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত বক্স এর উপরে রাখার চেষ্টা করুন।

ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায়

খাবার হিমায়িত করে রাখার কারণে ফ্রিজে স্বাভাবতই জীবাণু বাসা বাঁধে। তাই নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। ফ্রিজ পরিষ্কার না করলে খাবার নষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্রিজও ভালো থাকে না। অনেকেই এই কাজটি খুব কঠিন মনে করেন। ফ্রিজ পরিষ্কারের জন্য কয়েকটি সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় রয়েছে সেগুলি হল।

  • প্রথমে ফ্রিজটিকে বন্ধ করে দরজা খুলে রাখতে হবে। দেখবেন বরফ এমনিতেই গলে যাবে।বরফ সরাতে আপনার আর কোন কষ্ট করতে হবে না। দরজা খুলে রাখলে এমনিতেই বরফ গলে যাবে।
  • ফ্রিজের ভিতর রাখা সমস্ত জিনিসপত্র বের করে নিন। এতে করে ফ্রিজ ধোয়ার সময় কোন অসুবিধা হবে না। আর ফ্রিজের খাবারগুলো একটি বালতিতে ভোরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। এর ফলে খাবার গুলোর বরফ গলে যাবে না। আপনার ফ্রিজ ধুতে দেরি হলে খাবারগুলো ভালো থাকবে।
  • ফ্রিজের অনেক ধরনের রেক ও ড্রয়ার রয়েছে সেগুলোকে খুলে আলাদা করে ফেলুন।এরপর আলাদা করা জিনিসগুলো ভালোভাবে ডিটারজেন্ট মেশানো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পন্স দিয়ে ভালো করে ঘুষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর তোয়ালি দিয়ে ভালো করে মুছে শুকিয়ে নিন।
  • ডিটারজেন্ট মেশানো পানি একটি বোতলে ভরে ফ্রিজের ভেতরে স্প্রে করুন। এরপর নরম পন্স দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিন। এবার ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের কর্নার গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
  • তোয়ালে ভিজিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিজ মুছে নিন। এবার একটি শুকনো তোয়ালি দিয়ে মুছে খোলা জিনিসপত্রগুলো যেমন রেক ড্রয়ার এবং ছোট সেলফি গুলো আগের জায়গায় সেট করে রাখুন।
  • খাবারের প্রত্যেকটি বক্স ও বোতল ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে পুনরায় ফ্রিজে রাখতে হবে।
  • মনে রাখবেন ফ্রিজ পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু সুইচ অন করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর ফ্রিজ অন করুন।
  • ফ্রিজ পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলে ফ্রিজের মধ্য এক টুকরা লেবু কেটে রেখে দিন। এতে করে ফ্রিজ গন্ধ হবে না।

নতুন ফ্রিজ চালানোর নিয়ম

আপনি যদি নতুন ফ্রিজ কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নতুন ফ্রিজ চালানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০টি নিয়ম আমরা ইতিমধ্যে উপরের অংশে জানিয়ে দিয়েছি। আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে ফ্রিজ ব্যবহার করতে হবে। নতুন ফ্রিজ চালানোর কয়েকটি নিয়ম রয়েছে, চলুন তাহলে নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানা যাক।

সঠিকভাবে ভোল্টেজ দেওয়া: অনেক সময় আমাদের বাড়িতে ভোল্টেজ কম থাকার কারণে ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং অনেকেরই ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যায়। নতুন ফ্রিজ কিনে আনার পর আপনাকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে আপনার বাসার কারেন্টের ভোল্টেজ ঠিক রয়েছে কিনা। ফ্রিজ চালানোর জন্য যে ভোল্টেজ প্রয়োজন সেটি যদি থাকে তাহলে অবশ্যই ফ্রিজ অন করতে হবে। আর যদি ফ্রিজ চালানোর মতো ভোল্টেজ না থাকে তাহলে একদমই ফ্রিজ অন করবেন না। এতে করে ফ্রিজের সমস্যা হতে পারে।

ফ্রিজে কমা মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার না করা: আপনি যদি নতুন ফ্রিজ কিনে আনেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়টির প্রতি বেশ লক্ষ্য রাখতে হবে। নতুন ফ্রিজ আনার পর সাধারণত আমরা মাল্টিপ্লাগ লাগিয়ে সেটিকে অন করি। ২দিন ঠিকঠাক চলার পর মাল্টিপ্লাগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যখন নতুন ফ্রিজ কিনে আনবেন তখন ভালো মানের একটি মাল্টিপ্লাগ কিনে আনতে হবে। এছাড়াও আপনি মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার না করে ডাইরেক্ট কারেন্টে ফ্রিজ অন করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন

ফ্রিজ রাখার স্থান নির্বাচন: ফ্রিজ কিনে আনার পরে সেটিকে কোথায় রাখবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার একটি ধারণা রাখতে হবে। আমরা সকলেই জানি যে যেখানে সেখানে ফ্রিজে রাখা যায় না। আবার দেওয়ালের সাথে ঘিসেও কিন্তু ফ্রিজ রাখা উচিত না। ফ্রিজ টাকে দেওয়ালের একটু সামনের দিকে রাখতে হবে। আবার একেবারে মেঝেতেও কিন্তু রাখা যাবে না। ফ্রিজ রাখার জন্য একটি স্ট্যান্ড রয়েছে ফ্রিজটাকে সেটার উপরে রাখতে হবে।

ফ্রিজে খাবার রাখার বিষয়ে: ফ্রিজ কেনার পর যখন ফ্রিজটাকে অন করবেন তখন কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কোন খাবার রাখা যাবে না। ফ্রিজ অন করার পরে কিছুক্ষণ খালি রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে আপনি খাবার রাখতে পারেন। এই বিষয়টির উপর আপনাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত

আপনার খাবারগুলো যেন সঠিক থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত এই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। এখন বর্তমান সময়ে দেখা যায় সব কোম্পানির ফ্রিজে কুলিং সিস্টেম অটোমেটিক হয়ে যায়। ঠিক তত সময় ধরে ফ্রিজ চলবে তারপর অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার ফ্রিজের সঠিক তাপমাত্রা রাখতে হবে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে। এর থেকে তাপমাত্রা উপরে দিলে আপনার খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার এর থেকে নিচে রাখলেও কিন্তু খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত।

ফ্রিজ রাতে বন্ধ রাখলে কি হয়

আপনি যদি রাতে ফ্রিজ বন্ধ রাখেন তাহলে ফ্রিজে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার ফ্রিজের অভ্যন্তরে বেশি তাপমাত্রার কারণে ছত্রাক জন্মাতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি ওই ছত্রাকযুক্ত খাবার খান তাহলে আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যও অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। শুধু তাই নয়, ফ্রিজের ভেতরে রাখা দামী দামী ফল, শাকসবজি, ও তরল জিনিস দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই সমস্ত কারণের জন্য ফ্রিজ রাতে বন্ধ রাখা একদম উচিত নয়। তাতে করে আপনার ফ্রিজে রাখা সমস্ত জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করার উপায়

সাধারণত যখন আমাদের মুসলমানদের কুরবানীর ঈদ চলে আসে তখন কিন্তু ফ্রিজে গোস্ত রাখার ধুম পড়ে যায়। আর এই সময় যদি আপনার বাসায় কোন ফ্রিজ না থাকে তাহলে আপনি কি করবেন এবং ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ কিভাবে করবেন, এই বিষয় সম্পর্কে আপনার একটা পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। কারণ ফ্রিজ হল আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। আমরা আপনাদেরকে ইতিমধ্যে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম এবং ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি।

আরও পড়ুন: আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতা

ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের কয়েকটি নিয়ম রয়েছে সেগুলো হলো: ফ্রিজে খাবার রাখার সময় ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়টি ভালো করে দেখে নিতে হবে। কোন ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত খাবার ফ্রিজে রাখা একদমই যাবে না। কারণ এ সকল খাবার রাখলে ফ্রিজের অন্য খাবারগুলো দুর্গন্ধযুক্ত এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ফ্রিজে খাবার রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে, আর এ তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত উপরের অংশে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম, ফ্রিজ পরিষ্কার করার স্বাস্থ্যকর উপায়, নতুন ফ্রিজ চালানোর নিয়ম, ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত, ফ্রিজ রাতে বন্ধ রাখলে কি হয়, ফ্রিজে খাওয়ার সংরক্ষণ করার উপায় ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।

আপনি যদি নতুন ফ্রিজ কিনে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিজ ব্যবহার করার সঠিক ৪০ টি নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। কারণ ফ্রিজ সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url