ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে
হস্ত মৈথুন ছাড়ার উপায় কি- হস্ত মৈথুনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার উপায়ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ভিসা করতে হবে। কিন্তু ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আজকের এই আর্টিকেলে ভিসা কিভাবে করতে হয় ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে ভিসা কিভাবে করতে হয় ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র: ভিসা কিভাবে করতে হয় - ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে
- ভূমিকা
- ভিসা কিভাবে করতে হয়
- ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে
- ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি
- অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরনের পর করনীয়
- ভিসা ফি বিকাশ বা অনলাইনে পেমেন্ট যেভাবে
- ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- শেষ কথা
ভূমিকা
ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে ভিসা বিষয়টি কি। ভিসা হল কোন দেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি পত্র। আর এই ভিসা ছাড়া আপনি অন্য কোন দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আপনারা যারা অন্য দেশে যেতে চান সাধারণত তাদের ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে আগে। চলুন তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
ভিসা কিভাবে করতে হয়
আপনি যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর সাথে ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসার মেয়াদ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনি কোন কাজের জন্য অন্য দেশে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে ভিসার মেয়াদ। চাইলে আপনি ভিসার মেয়াদ করে নিতে পারেন। যেকোনো ব্যক্তি চাইলে ভিসা আবেদন করতে পারে না কারণ ভিসা আবেদন করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন। এছাড়াও এর কিছু শর্তবলিও রয়েছে যেগুলো পালন করে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। আগে আপনি কোন কাজের জন্য অন্য দেশে যেতে চান সেই বিষয়টি নির্বাচন করে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসা করতে চান সেই বিষয়টি নির্ধারণ করতে হয়। কারণ ভিসা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে যেমন:
- কাজের ভিসা
- গৃহকর্মী ভিসা
- ব্যবসায়ী ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- ভ্রমণ ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা
ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে
ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টি জানার পর এখন নিশ্চয়ই আপনারা জানতে চান যে ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে। আপনি যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে চান তাহলে পাসপোর্ট এর সঙ্গে ভিসাও লাগবে। সাধারণত ভিসা করার জন্য আপনি যোগ্য কিনা এই বিষয়ে ধারণা নেয়ার পরে অবশ্যই ভিসা করতে কি কি লাগে অথবা ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে তা জানা উচিত। চলুন তাহলে ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে তা সম্পর্কে জানা যাক।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায়
- প্রথমত আপনি অথবা যে ব্যক্তি ভিসা নিতে চায় তার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।এছাড়াও পাসপোর্টে অবশ্যই ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটি পৃষ্ঠা অবশ্যই খালি থাকতে হবে।
- আবেদনপত্রটি পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে আবেদন পত্রটি ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে অবশ্যই মিল থাকতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদনপত্র পাসপোর্ট নাম্বার সঠিক উল্লেখ থাকতে হবে। আর একই সাথে ভিসা আবেদনপত্রের নাম্বারটি সঠিক থাকতে হবে।
- আবেদনকারী ব্যক্তি কোন ধরনের কাজ করে তা বিবরণ সহ সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনকারীর জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র এগুলো কিন্তু অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে মিল থাকতে হবে।
- যে ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করছে তার অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
- এছাড়াও ভিসা আবেদন জমাদানকারী সেন্টার ও টাকা জমাদানকারী সেন্টারের নাম এক হতে হবে।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি থাকে তাহলে অবশ্যই মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- সাধারণত ভিসা করার জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি
আপনি যদি বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য ভিসা করে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকে তাহলে আপনি সহজেই ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলি কি এই বিষয়গুলো জেনে ভিসা করে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আবেদনপত্রে অবশ্যই আপনার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আপনার পাসপোর্ট এর বৈধতা ৬ মাসের বেশি হতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টে সর্বনিম্ন তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- আপনার পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ খালি রাখা যাবে না।
- আপনার পেশার বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- আপনার জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম সনদপত্রের নম্বর অবশ্যই সঠিক থাকতে হবে।
- আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে অবশ্যই মিল থাকতে হবে।
- আবেদনপত্রে আপনার স্ক্যান করা ছবি অবশ্যই থাকতে হবে।
- মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদনপত্রে পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- এছাড়াও আবেদনপত্র পূরণ করার ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে আবেদনপত্র ভিসা আবেদন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।
অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরনের পর করনীয়
অনলাইন ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ পূরণের পর কি করতে হবে আপনারা অনেকেই জানেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরণের পর করণীয় কি।
- অনলাইন নিবন্ধনের পর সাক্ষাতে ভিসার আবেদন দলিল করতে হবে। রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের বসবাসকারীরা আইভ্যাক, ঢাকা, যমুনা ফিউচার পার্ক এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
- অন্যান্য আইভ্যাক ময়মনসিংহ, আইভ্যাক খুলনা, আইভ্যাক যশোর, আইভ্যাক সিলেট, আইভ্যাক বরিশাল এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
- এছাড়াও যেসব পাসপোর্ট ধারি চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা যেমন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা ইত্যাদি তারা আইভ্যাক চট্টগ্রামে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
- এছাড়াও যারা রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা তারা আইভ্যাক রাজশাহী, রংপুর এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
- আবার যারা সিলেট বিভাগে বাস করছে তারা আইভ্যাক সিলেট, আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
ভিসা ফি বিকাশ বা অনলাইনে পেমেন্ট যেভাবে
এই অংশে আমরা ভিসা ফি বিকাশ বা অনলাইনে পেমেন্ট যেভাবে করবেন সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করা যাক।
সাধারণত ভিসা ফি অনেক পদ্ধতিতে পেমেন্ট করা যায়। যেমন: বিকাশ, রকেট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, ফাস্ট ক্যাশ, কিউ ক্যাশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সিটি টাচ, মোবাইল ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, মাই ক্যাশ, এম ক্যাশ ও এবি থেকেও টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও অনলাইনে ভিসা ফি প্রদান করতে এই লিংকে ক্লিক করুন https://payment.ivacbd.com এখানে প্রবেশ করে আপনার আবেদনের জন্য নির্বাচিত হাইকমিশন নির্বাচন করুন। ওয়েব ফাইল নাম্বার দিন দুইবার। এরপর আপনি আবেদনের জন্য নির্বাচিত আইভ্যাক নির্বাচন করুন। এবার আপনি আপনার ভিসা আবেদনের টাইপ নির্বাচন করুন। এরপর আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন। যেমন: আপনার নাম, আপনার ইমেল আইডি।
ভিসা পেতে কতদিন লাগে
ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে এই প্রশ্নটি আপনারা অনেকেই করে থাকেন। আপনি যদি ভিসা করতে গিয়ে থাকেন অথবা ভিসা করবেন বলে মনে করে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা পেতে কত দিন লাগে সেই সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে হবে। ভিসা পেতে কতদিন লাগবে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের ভিসা করছেন এবং কোন ধরনের ভিসা করছেন এটার উপর।
আরও পড়ুন: ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
এখন আপনি মনে করুন যে আপনি সিঙ্গাপুর টুরিস্ট জন্য ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে আবার কেউ যদি থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে কিন্তু তার ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে ভিসাটি তার হাতে পৌঁছাতে। আর এমন ভাবেই আপনি যে দেশের জন্য ভিসা আবেদন করবেন ভিসার ধরন অনুযায়ী সময়ের পরিসীমা কমবেশি হতেই পারে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে।
শেষ কথা
আপনি যদি ভিসা করতে চান এবং অন্য কোন দেশের কাজের উদ্দেশ্যে যাতে চান অথবা ভ্রমণে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ ভিসা ছাড়া আপনি কখনোই অন্য কোন দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই পোস্ট থেকে আপনি ভিসা কিভাবে করতে হয়, ভিসা করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে, ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলি কি, অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরণের পর করণীয়, ভিসা ফি বিকাশ বা অনলাইনে পেমেন্ট যেভাবে, ভিসা পেতে কতদিন লাগে ইত্যাদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url