ব্লগিং কি | ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি যে, এ প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর দেওয়া কখনো সম্ভব নয়। অবশ্য অনুমান করা যায় যে কত টাকা পর্যন্ত আয় করা, সম্ভব মানুষ কত টাকা আয় করে থাকে, মানুষ শুধু যে অর্থ আয় করার জন্য ব্লগিং করে তা সঠিক নয়। এমন অনেকেই যারা নিজের পেশন থেকে ব্লগিং করে। আসুন ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আপনারা যারা ব্লগিং করেন। অথবা যারা জানতে চান, যে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা।
যায় তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র: ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
- ভূমিকা
- ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
- ব্লগ তৈরির নিয়ম
- ব্লগের নাম নির্বাচন
- কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায়
- একজন ব্লগার এর কাজ কি
- ফ্রি ব্লগ থেকে আয়
- ব্লক পোস্ট কি
- উপসংহার
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্লগিং করে থাকে। এবং অনলাইনে সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় এবং
সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্লগিং করা। ব্লগিং করে লাখ টাকা আয় করা যায়। কিন্তু
প্রথমে আপনাকে আগে ব্লগিং সম্পর্কে জানতে হবে। কিন্তু অনেকেই নিশ্চিত ভাবে জানতে
চান, যে আসলেই কি ব্লগিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন যে,
এই মুহূর্তে দেশে হাজার হাজার তরুণ নিজেদের অবসর সময়ে ব্লগিং করে মাসে লাখ লাখ
টাকা আয় করছে।
আরও পড়ুন: মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০টি সেরা উপায়
আপনার মনে হতে পারে যে এই খবরটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। ব্লগিং
করে কত টাকা আয় করা যায় তা সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত কথা
সংক্ষেপে বলে দেয়া হয়েছে। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
বর্তমানে ব্লগিং করে অনেকেই টাকা আয় করছে। আপনারা হয়তো জানেন যে এই মুহূর্তে
দেশে হাজার হাজার তরুণ নিজেদের অবসর সময় ব্লগিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।
একজন ব্লগার প্রতি মাসে প্রায় ৫০০, হতে ১,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে।
আবার পরের বছর গুলোতে ব্লগিং আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে একজন ফুলটাইম ব্লগারের
প্রতিবছর ১ লক্ষ হতে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে করে। শুধু প্রতি
সপ্তাহে ২০ থেকে ২৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয়।
ব্লগ তৈরির নিয়ম
শুধুমাত্র একটি জিমেইল আইডির মাধ্যমে মাত্র কয়েকটি ক্লিক করলেই একটি ব্লক তৈরি
হয় না আপনারা যারা ব্লক তৈরির নিয়ম জানেন না তাদের জন্য নিচে কয়েকটি
নিয়ম দেয়া হলো-
- প্রথমে আপনাকে একটি Gmail ID তৈরি করে নিতে হবে
- তারপর আপনাকে Gmail আইডির মাধ্যমে Blogger Account এ লগইন করতে হবে
- এরপর আপনি নিচের চিত্রের ন্যায় দেখতে পারবেন
- এবার উপরের চিত্রের হলুদ বাটনে Create New Blog এ ক্লিক করতে করুন
- Create New Blog এ ক্লিক এ ক্লিক করার পর নিজের চিত্রের মত শো করবে
- এখন উপরের Title এর জায়গায় আপনার ব্লগের নাম লিখতে হবে
- Address এর জায়গায় আপনার ব্লগের Address লিখতে হবে। এবং সম্পূর্ণ ইউনিক অর্থ অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে। এই ঠিকানার মাধ্যমে সবাই আপনার ব্লগ খুঁজে পাবে।
- এখন ৩ নং তীর চিহ্নের মাধ্যমে Indicate করা Theme এ যে ছবিগুলি দেখতে পাচ্ছেন সেগুলি হচ্ছে বিভিন্ন ডিভাইসের ব্লক সাইট থিম। এখন থেকে আপনি পছন্দ মতো যে কোন একটি থিম সিলেট করতে পারবেন।
- এবার সর্বশেষ Create Blog এ ক্লিক করলেই অটোমেটিক আপনার ব্লগ তৈরি হয়ে যাবে
ব্লগের নাম নির্বাচন
আপনি আপনার ব্লগারকে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করার জন্য আপনার ব্লগারের একটি সহজ
সরল নাম নির্বাচন করতে হবে। কারণ যেকোন মানুষ ব্লগারের নামটি দুই থেকে তিনবার
দেখলেই মনে রাখতে পারে। অবশ্যই নামের বিষয়টি নির্ভর করে আপনার ব্লগটি কোন টপিক
এর খবর নির্ভর। সাধারণত টপিক নির্ভর ব্লগের নাম সেই টপিক রিলেটেড রাখলে মানুষ
সহজে মনে রাখতে পারে। আমরা আপনাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি যেমন- ধরুন আপনি আপনার
ব্লগটিতে পড়ালেখার রিলেটেড আর্টিকেল লিখেছেন। সুতরাং আপনার ব্লগের নামটি
শিক্ষা বিষয়ক হতে হবে। সাধারণত আপনি যেমন ধরনের আর্টিকেল লিখবেন তেমন ধরনের নাম
হলেই ভালো হয়।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায়
আপনাকে ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমে কয়েকটি পদক্ষেপ জানতে হবে তা হলো-
- প্রথমে ভালো একটা ব্লক টপিক চয়েস করা
- তারপর ব্লগিং প্লাটফর্ম চয়েস করা
- এখন ডোমের নাম এবং হোস্টিং
- WORDPRESS ইনস্টল করা
- ব্লক সাইড ডিজাইন করা
- প্রয়োজনীয় PLUGIN ইনস্টল করা
- আপনার প্রথম ব্লক পোস্ট পাবলিশ করা
- আপনার পোস্টগুলো মানুষের সাথে শেয়ার করা
- আপনার ব্লগ সাইটটি গুগল এড্রেস এর মাধ্যমে আয় করার উপযোগী করে তোলা
- আপনার ব্লগ সাইডের ট্রাফিক আনার জন্য,এসইও, করা
আপনি যে বিষয়ে ব্লগিং শুরু করবেন সেই বিষয় যদি আপনার মজায় না আসে। তাহলে
এই টপিক নিয়ে ব্লগিং করতে যাবেন না। সাধারণত বেশিরভাগ সময় নতুন ব্লগাররা
কোন রিচার্জ না করেই ব্লগিং এর টপিক হিসাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জন এই টপিক কে
সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই টপিক নিয়ে অনেক পুরাতন
ওয়েবসাইট গুগলএ RANK করে আসছে।
একজন ব্লগার এর কাজ কি
সাধারণত আমার মতে যারা লেখালেখি করে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়ে থাকে। আপনারা
হয়তো বিভিন্ন ধরনের ব্লগারের নাম শুনেছেন। কেউ রয়েছে ইন্টারনেট ব্লগার, কেউ
রয়েছে রহ ব্লগার, আবার কেউ রয়েছে লেখক, এরকম নানা ধরনের ব্লগার রয়েছে। সাধারণত
যারা আর্টিকেল লেখে ও যারা লেখালেখির কাজ করে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়ে থাকে।
সুতরাং একজন ব্লগারের কাজ হলো লেখালেখি করা।
ফ্রি ব্লগ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে ফ্রি ব্লগিং করে উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য আপনার দরকার বিপুল
সংখ্যক ভিজিটর। নিজের ভাষায় ইচ্ছামত ব্লগিং করা যায়, নিজের ভাষায় সুন্দর মত
গুছিয়ে লেখা সম্ভব। নিজের ভাষায় গুছিয়ে লিখতে পারলে একজন বাংলাদেশের নামকরা
লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠান অর্জন করা যায়। কিন্তু বাংলা ব্লগিং থেকে অনেক কম আয়
হয়। আপনি যখন ADDS বসাবেন তখন অনেক আয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার যখন আপনার
ব্লগে অনেক ভিজিটর আসবে তখন আয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩
ব্লক পোস্ট কি
সাধারণত ব্লক পোস্ট হলো-যে কোন ব্লগিং ওয়েবসাইটে ইউজারদের করা পোস্টকে ব্লক
করে বলে। একজন ব্লগার হিসেবে আমি আপনাকে বলতে পারি যে, একটি ভালো ভাবে
তৈরি করা ব্লক পোস্ট আপনাকে নিজের কর্ম সংস্থান তৈরি করা সুযোগ করে দিবে। একটি
ভাল মানের ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে গেলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যাতে
শ্রোতাদের আপনার পোষ্টের ওপর চাহিদা বাড়ে। আপনার পোস্টটি যেন পাঠকের জন্য,
তথ্যপূর্ণ, ও আকর্ষণীয় হয়।
উপসংহার
বর্তমান সময়ে দেশে হাজার হাজার তরুণ নিজেদের অবসর সময়ে ব্লগিং করে মাসে লাখ
লাখ টাকা আয় করছে। আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন যে ব্লগিং করে কত টাকা আয়
করা যায়, তারা নিশ্চয়ই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন যে, ব্লগিং করে
কত টাকা আয় করা সম্ভব। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সবাই উপকৃত
হয়েছেন। আরো নানা রকম তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট
করুন। ধন্যবাদ
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url