প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর ৪টি উপায় | চুল গজানোর তেলের নাম
পোস্ট সূচিপত্র : চুল গজানোর উপায় ও চুল গজানোর ওষুধ
- ভূমিকা
- চুল গজানোর উপায়
- চুল গজানোর তেলের নাম
- কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
- চুল গজানোর ওষুধ
- ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়
- মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায়
- উপসংহার
ভূমিকা
চুল গজানোর উপায়
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় দেখতে পাচ্ছেন বালিশের ওপর চুল পড়ে আছে। চুল একবার করতে শুরু করলে আর থামাথামির নামই নেয় না। অন্যদিকে মাথার তালু থাকা হতে শুরু করে দিয়েছে। চুল পড়তে পড়তে এমন শুরু হলো যে মাথার চামড়া দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাছ লাগানোর উপকারিতা
প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল পড়বেই তবে চুল পড়ার পাশাপাশি যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে প্রচুর প্রবলেম হবে। এই নতুন চুল গজানোর উপায়টি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি কখন কি খাচ্ছেন বা কখন চুলের যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর আপনার নতুন চুল গজানো নির্ভর করে। ত্বকের যত্ন নিলে যেমন ত্বক সুন্দর হয়। তেমনি চুলের যত্ন নিলে চুলও ভালো থাকে। চলুন জেনে নিয়ে নতুন চুল গজানোর কার্যকর উপায়।
নিম পাতা:নিমপাতা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা ওষুধ। আবার চুলের যত্নেও নিমপাতা বেশি কার্যকরী। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে নিম পাতা। কিছুটা নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বোতলে রাখুন। শ্যাম্পু দেয়ার পর সপ্তাহে একদিন বোতলে সংরক্ষণ করার নিমপাতার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। মাথার ত্বকে কোন ধরনের খুকশি থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করবে। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে, আবার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
পেঁয়াজের রস: পিয়াজের রস চুল পড়া কমাতে ও চুল গজাতে সাহায্য করে। কয়েকটা পিয়াজ ভালো ভাবে বেটে নিন। এবার এক মগ পানির সাথে বাটা পেঁয়াজটি মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি ভালো ভাবে মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর কুসুম কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এই ভাবেই সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন। এতে নানা সমস্যা দূর হবে। আবার নতুন চুল ও গজাবে।
কালোজিরা ও মেথি: কালোজিরা ও মেথি রোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার গুড়ো করে নিয়ে নারিকল তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে কাঁচের বোতলে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। সপ্তাহে তিন দিন মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে।
চুল গজানোর তেলের নাম
মানুষের সব থেকে সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে চুল। নানা সমস্যার কারণে পাতলা হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল। চুল পড়া বন্ধ করতে নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করছেন। আবার ডাক্তারের কাছে মিলছে না চুল পড়ার সমাধান। যারা চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত আছেন তাদের জন্য আছে ভিটামিন ই অয়েল ভিটামিন এ অয়েল প্রসাধনীর দোকানে পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই অয়েল চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ফলে দ্রুত চুল গজায়। মাথার যে অংশে চুল কমে যাচ্ছে সেখানে এই তেলটি মাসাজ করতে হবে। আবার ভিটামিন ই অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া বন্ধ করে।
নিচে কয়েকটা ভালো তেলের নাম দেয়া হলো:
- নারিকেল তেল
- কাঠবাদাম তেল
- ক্যাস্টর অয়েল
- অলিভ অয়েল
- ল্যাভেন্ডার অয়েল
কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
কম বেশি সবারই চুল পড়া সমস্যা আছে। চুল পড়া একটি খুবই বিরক্তিকর বিষয়। চুল পড়তে পড়তে এক সময় মাথার চুল অনেক কমে যায়। নতুন চুল গজাবে কিভাবে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আপনাদের যাদের কপালে সামনে চুল নেই। চুল না থাকার কারণে চেহারায় প্রভাব পড়ে। বেশিরভাগ এই সমস্যাটা ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা এই সমস্যা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাবেন এবং কিভাবে কপালে নতুন চুল গজাবে তা সম্পর্কে আমি প্রাকৃতিক ব্যবহার ই টিপস দেব তার মাধ্যমে কপালে চুল নতুন গজাতে সাহায্য করবে।
পেঁয়াজের রস এবং ক্যাস্টর অয়েল এর প্যাক দিয়ে নতুন চুল গজানোর উপায়:
পেঁয়াজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। সাধারণত পেঁয়াজের রস নতুন চুল গড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়াও পেঁয়াজের রস মাথায় ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে মাথায় নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।তাই নতুন চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ও ক্যাস্টর অয়েল তেল খুবই প্রয়োজন।
প্রথমে এক থেকে দুটো পেঁয়াজ ভালো করে পিসে রস বের করতে হবে। এবার একটা পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে" তারপর এর সাথে দু'চামচ ক্যাস্টর অয়েল তেল দিতে হবে। এখন দুটি উপাদান সুন্দর করে মিশ্রণ করে নিতে হবে। তারপর চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত মিশ্রনটি লাগাতে হবে ও মাসাজ করতে হবে। কপালে যে স্থানে চুল গজাতে চান সেই স্থানে বেশি করে মাসাজ করতে হবে।
চুল গজানোর ওষুধ
সাধারণত যাদের প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ছে। এবং টাকজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মিনোক্সিডিল সঠিক মাথায় ব্যবহার হয়। কিন্তু এটা ব্যবহারের পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
সাধারণত মিনোক্সিডিল ট্র্যাপিক্যাল সলিউশনটি ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহার করা উচিত নয়। অতি সহজে এটা ব্যবহার করা যায়, প্রথমে চিকিৎসক দেখে নিন মাথায় যে স্থানে চুল পড়ছে সে স্থানে ড্রইপার দিয়ে ১ মি.লি. করে অথবা ৮ থেকে ১০ টি স্প্রে দিনে দুইবার প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিদিন সকাল ও রাতে দুইবার মাথায় ও ত্বকের উপরভাগে চুলের হারানো অংশে প্রয়োগ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে দুই থেকে চার ঘন্টা ব্যবহার করতে হবে। তবে ব্যবহার করার আগে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এর ফল পেতে কমপক্ষে চার মাস সময় লাগে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
তবে মনে রাখতে হবে এটা ব্যবহারে একই রকম সাফল্য সবাই পায় না। যাদের বংশগত টাক রয়েছে তাদের নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া হিসেবে ডাক্তার যে পরামর্শ মত চালিয়ে যেতে হবে। এদের জন্য সব থেকে ভালো হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে।
মিনোক্সিডিল ট্র্যাপিক্যাল সলিউশন ব্যবহার করার পর চুল সকালে আপনি স্প্রে জেল ও চুলে রং ও করতে পারবেন। আবার কোমল ও সাধারন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারবেন, আপনি এমন একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা আপনার চুল পরিষ্কার করবে এবার এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। যেটি চুলকে হালকা ও নিস্তেজ করবে।
তবে সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে--
মিনোক্সিডিল ট্র্যাপিক্যাল সলিউশনে ৫% ২% এর সঙ্গে PRP থেরাপি নেওয়া উচিত।
ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়
ছেলেদের নতুন চুল গজাতে এমন একটা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটার মৃত কোষ গুলোর ঝরে যেতে সাহায্য করে। এই মৃত কোষ কোষগুলো খুকশি ব্লক করে রাখে। যে কারণে নতুন চুল গলাতে বাধা দেয়। তখন স্কেলিপের রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথা মেসেজর মত করে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটা দিনে একবার করতে হবে।
মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায়
সাধারণত মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। নিচে যেগুলো উপাদানের কথা বলা হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে নতুন চুল গজাবে।
নিম পাতা:নিমপাতা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা ওষুধ। আবার চুলের যত্নেও নিমপাতা বেশি কার্যকরী। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে নিম পাতা। কিছুটা নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বোতলে রাখুন।
শ্যাম্পু দেয়ার পর সপ্তাহে একদিন বোতলে সংরক্ষণ করার নিমপাতার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। মাথার ত্বকে কোন ধরনের খুকশি থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করবে। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে, আবার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
কালোজিরা ও মেথি: কালোজিরা ও মেথি রোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার গুড়ো করে নিয়ে নারিকল তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে কাঁচের বোতলে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। সপ্তাহে তিন দিন মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে।
উপসংহার
এই পোস্টের ভেতর চুল গজানোর উপায় ও চুল গজানোর ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই চুল কিভাবে গজায় সেটা জানতে পেরেছেন। আরো নানা অজানা তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url