মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০টি সেরা উপায় | নারীদের ঘরে বসে কাজ

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০টি সেরা উপায়

বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার মাধ্যমে আপনি একজন ভাল মহিলা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবেন। বর্তমান সমাজে মহিলারা পুরুষের সমান কাজ করছে তাও আবার ঘরে বসে। একটি পরিবারে নারী ও পুরুষ উভয় মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সেই সংসারে সাফল্য এবং শান্তি আসে। এখন চলুন মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করা ৩০টি সেরা উপায় জেনে নেই।

আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায় 

• ঘরে বসে মোবাইল আয়: বর্তমান যুগে মোবাইলের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের ইনকাম হচ্ছে।আপনি যদি চান তাহলে মোবাইলের মাধ্যমেও ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
• বিউটি পার্লার করে আয়: এখন প্রায় প্রতিটা পাড়ায় মহল্লায় বিউটি পার্লারের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি বাসায় একটি বিউটি পার্লার দিয়ে সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
• ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট সেল করে আয়: আপনি ফেসবুকে পেজ খুলে সেখানে আপনার তৈরি যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেখান থেকেও ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
• ফেসবুক গ্রুপ করে ও ফেসবুক গ্রুপ বিক্রি করে আয়: আপনি যদি ফেসবুক গ্রুপ খুলে থাকেন আর সেই গ্রুপে বেশি ভালো সংখ্যক মেম্বার তৈরি করেন। তাহলে আপনি ওই গ্রুপ বিক্রি করে সেখান থেকেও আয় করতে পারবেন।
• ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও করে ইনকাম: আপনি যদি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে আপনি যে বিষয়ে খুব বেশি পারদর্শী সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিওটি আপলোড করেন।তাহলে সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
• ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম: আপনি যদি ফেসবুক ও ইউটিউবে পেজ এবং চ্যানেল খুলে থাকেন। তাহলে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে এড দিয়ে আপনি সেখান থেকেও আয় করতে পারবেন।
• ব্লগিং করে আয়: আপনি যদি বাসায় বসে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন বা অন্যান্য অনলাইন কোচিং সেন্টার থেকে একটি ওয়েবসাইট কিনে থাকেন। তাহলে সেখান থেকেও ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও কিন্তু ইউটিউবে ব্লগিং করা যায়।
• ডাটা এন্ট্রি করে আয়: যদি আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।
• সার্ভে করে আয়: আপনি কি জানেন যে সার্ভে করেও ভালো মানের অর্থ উপার্জন করা যায়।
• গ্রাফিক ডিজাইন করে আয়: আপনার হয়তো অনেকেই জানেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ভালো ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন জেনে থাকেন বা গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ শিখে থাকেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• ভিডিও এডিটিং করে আয়: বর্তমান এই সময়ে ভিডিও এডিটিং এর কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আপনি চাইলেই কোন একটি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে বা ইউটিউব থেকে ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে সে কাজ করে ভালো মানের অর্থ আয় করতে পারবেন।
• ড্রপ শিপিং করে আয়: ড্রপ শিপিং একটি ভালো আয়ের মাধ্যম আপনি চাইলে এই ড্রপ শিপিং শিখে তা ঘরে বসে কাজ করে ভালো অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
• বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ করে আয়: সাধারণত আপনার যদি কয়েকটি দেশের ভাষা জানা থাকে।তাহলে আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ করে অর্থ আয় করতে পারবেন।
• শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টার করে আয়: আমাদের সমাজে অনেক কর্মীজীবী মায়েরা রয়েছে যারা তাদের শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে তার কর্ম করতে যান। আপনি যদি একটি ডে কেয়ার সেন্টার খুলেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• হোমমেট খাবার তৈরি করে আয়: আপনি যদি বাসায় খাবার তৈরি করে সেটা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তাহলে কিন্তু আপনি সেখান থেকেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• ইভেন্ট প্লানার: সাধারণত অনেক মেয়েরা এখন ইভেন্ট প্লানার এর কাজ করছেন। আপনি চাইলে ইভেন্ট প্লানার এর কাজ করতে পারেন। এই কাজ করে আপনি সেখান থেকে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
• নকশি কাঁথা: এখন হাতের কাজের অনেক চাহিদা আছে। নকশি কাঁথা একটি লোভনীয় জিনিস আপনি নিজে বা কিছু মহিলা দিয়ে নকশি কাঁথা বানিয়ে সেটা বিক্রি করতে পারেন। আর এটা বিক্রি করে আপনি ভালো রোজগার করতে পারবেন।
• রান্নার প্রশিক্ষণ: আপনি যদি রান্নাতে খুব ভালো হয়ে থাকেন বা খুব বেশি পারদর্শী হয়ে থাকেন।তাহলে আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে বাসায় বসে রান্না শিখিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• বাগান করা: বাগান বা নার্সারি করে আপনি আপনার বাসায় বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ ও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ এবং বিভিন্ন ধরনের গাছের চারার বাগান করে এবং এগুলো বিক্রি করে আপনি ভালো মানের অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
• গহনা তৈরি করে আয়: মেয়েদের পছন্দের এবং নৃত্য প্রয়োজনের একটি জিনিস হচ্ছে গহনা।আর আপনি এই গহনাগুলো বাসায় বিভিন্ন ভাবে তৈরি করে সেই গহনা অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রি করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবে।
• ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াশোনা করিয়া আয়: আপনি যদি একজন শিক্ষিত মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বাসায় বসে কোন ধরনের পুঁজি ছাড়াই প্রাইভেট পরিয়ে ভালো অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
• গরুর খামার করে আয়: আপনি যদি ছোট কয়েকটি গরু দিয়ে খামার করতে পারেন এবং আপনি যদি ছোট গরু কিনে তা পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করেন। তাহলে আপনি ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• মাছের খামার করে আয়: আপনি অল্প টাকা দিয়ে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• ছাগলে খামার করে আয়: আপনি চাইলে ছাগলের ছোট বাচ্চা কিনে তা পালন করে বড় হওয়ার পর বিক্রি করে ভালো মানের মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• কবুতরের খামার করে আয়: কবুতরের খামার কিন্তু একটি লাভজনক ব্যবসা অল্প পুজিতেই আপনি কবুতরের খামার করতে পারেন। আর এই কবুতর পালন করে আপনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• মুরগির খামার করে আয়: আপনি যদি বাড়িতে মুরগির খামার করেন তাহলে সেখান থেকে ডিম ও মুরগি উভয় বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• সবজি বাগান করে আয়: বর্তমানে টাটকা সবুজ শাক সবজির চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলে সবুজ শাকসবজি চাষ করে এটি বিক্রি করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• সেলাইয়ের কাজ: সেলাইয়ের কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। আপনি যদি সেলাইয়ের কাজ করেন বা সেলাইয়ের কাজ জেনে থাকেন তাহলে আশেপাশের পাড়া মহল্লার মেয়েদের পোশাক তৈরি করে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• দুধের খামার করে আয়: বর্তমান এই সময়ে দুধের বেশি চাহিদা আছে। আশেপাশের খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা যদি বাসা থেকে বিক্রি করেন। তাহলে আপনি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
• পিঠা তৈরি করে আয়: বাসায় তৈরি করা পিঠা কমবেশি সবাই পছন্দ করে থাকে। তাই আপনি চাইলে বাসায় পিঠা বানিয়ে সেটি ফেসবুকে এড দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এবং এর জন্য আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারে মানুষের জামা কাপড়ের প্রয়োজন হয়। নারী পুরুষ শিশু এবং বয়স্ক সব মানুষেরই জামা কাপড়ের প্রয়োজন হয়। এখন অনেক মানুষ ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছে ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা করব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা, পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা, ছেলেদের কাপড়ের ব্যবসা, মেয়েদের কাপড়ের ব্যবসা, ফেসবুকের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা, বাচ্চাদের কাপড়ের ব্যবসা, সিট কাপড়ের ব্যবসা, শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা, জামা কাপড়ের ব্যবসা ইত্যাদি। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে যখন আপনি কাপড়ের ব্যবসা করবেন তখন কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী সেগুলো জেনে যাবেন। আবার যখন আপনি ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন তখন কয়েকটি বিষয়ের ওপর আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন- আপনি কোথা থেকে কাপড় আনবেন, এমন জায়গা থেকে কাপড় কিনতে পারেন যেখানে কম দামে অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। এদেশে অনেক পাইকারি বা অনেক নামকরা হাট বাজার রয়েছে আপনি সেগুলো থেকে পাইকারিতে অনেক অল্প দামে এবং ভালো মানের কাপড় কিনতে পাবেন।

ঘরে বসে মেয়েদের হাতের কাজ

বর্তমান যুগে মেয়েরা কারো উপর নির্ভরশীল নয়। মেয়েরা ইচ্ছা করলে ঘরে বসে নিজের এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের দায়িত্ব তার নিজ কাঁধে তুলে নিতে পারে। আজকে আপনাদের সঙ্গে নতুন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর সেটি হল ঘরে বসে মেয়েদের হাতের কাজ সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে নিই ঘরে বসে মেয়েদের হাতের কাজ গুলো কি কি।

কোন কাজকে ছোট মনে করা যাবে না। আর যদি কোন কাজকে ছোট মনে করেন তাহলে আপনি কাজে আনন্দ এবং সাফল্যতা অর্জন করতে পারবেন না। এরকম অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো করে মানুষ ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। যেমন- ঘরে বসে আপনি আচার তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন, ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ করে আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন, ঘরে বসে আপনি বুটিকের ব্যবসা করতে পারবেন, ঘরে বসে আপনি ছাত্র-ছাত্রী পরিয়ে আয় করতে পারবেন, ঘরে বসে আপনি একটি বিউটি পার্লার দিয়ে আয় করতে পারবেন। আশা করছি ঘরে বসে মেয়েদের হাতের কাজ এবং মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার ৩০টি  সেরা উপায় সেই সম্পর্কে আপনি অবশ্যই ভালো তথ্য পেয়েছেন।

ঘরে বসে সেলাই এর কাজ

আপনি যদি ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখনকার দিনে সেলাইয়ের কাজ খুব একটা কঠিন না। মেয়েরা যদি মনে করে যে সে নিজের পায়ে স্বাবলম্বী হবে তাহলে সে অবশ্যই তার চেষ্টা পরিশ্রম দিয়ে যে কোন কাজে পারদর্শী হতে পারে এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবে। যদি একজন নারীর লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস থাকে হৃদয়ে। তাহলে অবশ্যই একটা কঠিন কাজকে সেই নারী খুব সহজেই করতে পারবে এবং বিজয়ী হতে পারবে। তবে কাপড় সেলাই করার আগে একজন নারীকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি আপনিও এই সেলাই করা কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাপড় কাটা ও সেলাই এর কাজ শিখতে হবে।

আমাদের দেশে এরকম অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে সেলাইয়ের কাজ শেখানো হয়। এছাড়াও বেসরকারি ভাবে অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি সেলাইয়ের কাজ শিখতে পারবেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা পারিবারিক প্রশিক্ষণ টিটিসিতে সেলাই প্রশিক্ষণের শাখায় যোগাযোগের মাধ্যমে বিনা অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। এখন আমরা জানবো ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ কিভাবে করা সম্ভব। চলুন তাহলে একটি সহজ উপায় সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যদি সেলাই করার কাজ করতে চান তাহলে আপনার বাসায় একটা ভালো সেলাই মেশিন থাকা দরকার। আপনি বাসাতে আপনার প্রয়োজনের জামা কাপড়, বিছানার চাদর, বাচ্চাদের জামা, পর্দা, প্যান্ট, শার্ট, কামিজ, বালিশের কভার ইত্যাদি আরো নানা ধরনের সেলাই খুব সহজেই করতে পারবেন। এতে করে আপনার নিজের জামা কাপড় বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস সেলাই করার জন্য বাহিরে যাওয়ার দরকার হবে না। অপরদিকে আপনি আবার প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন আপনার কাছ থেকে এই সমস্ত সেলাইয়ের কাজ করে নিতে পারবে।

আরও পড়ুন: মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম

একবার যদি আপনার এই সেলাই করা হাতের কাজ কোন কাস্টমারের পছন্দ হয়ে যায়। তাহলে সে আপনার কাছে ছাড়া আর অন্য কোন জায়গা থেকে পোশাক বানাতে চাইবে না। প্রথমত আপনার এই কাজটি চালু করার জন্য আরো পাঁচটা দোকানের চেয়ে আপনি মজুরি কিছু টাকা কম রাখবেন। কারণ এতে করে আপনার অর্ডার বেশি হবে। উপরের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি ঘরে বসে সেলাই এর কাজ করার কিছু উপায় সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই উপকৃত হবেন।

গৃহস্থ কাজে মেয়েদের উপার্জন

ঘরে বসে থাকা মেয়েদের জন্য আরও একটি উপায় হল গৃহস্থ কাজ করা। এটি বিশেষভাবে যে কোন মেয়েদের জন্য উপলব্ধি। যারা ঘরে থেকে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং একটি স্থিতি স্থাপিত পেশা বিকাশিত করতে চান। তাহলে চলুন গৃহস্থ কাজের কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

• গৃহস্থ কাজে সহযোগিতা: আপনি অল্প পরিমাণে মুদ্রিত বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে গৃহস্থ কাজ সহযোগিতা হিসেবে উপার্জন করতে পারবেন।
• ডেকোরেশন এবং আকর্ষণীয়তা প্রদান: আপনি ঘরে বসেই সাজ-সজ্জা সাজানোর জন্য সেবা প্রদান করতে পারেন এটাও উপার্জন করার একটি সুযোগ হতে পারে।
• রান্না এবং খাবার প্রস্তুত করা: আপনি নিজে রান্না করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করতে পারেন।এবং এটি স্থানীয় সাথীদের জন্য ডেলিভারি করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
• ব্যক্তিগত দেখাশোনা cara সেবা: আপনি কাউকে তাদের দৈনিক জীবনে সাহায্য করতে পারেন। যেমন শিশুদের যত্ন নেওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে, এবং অসুস্থ লোকদের সাথে সময় কাটানো। এটি করে আপনি ভালো অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসায়িক মেয়েদের উপার্জন

এখন এই আধুনিক প্রযুক্তির সাথে মেয়েরা অনলাইনে ব্যবসা চালাতে পারে এবং ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু ব্যবসায়িক উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

• মুদ্রিত প্রোডাক্ট বিক্রি: আপনি মুদ্রিত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। যেমন- প্যান্ট শার্ট, টি-শার্ট, পোস্টার, কার্ড ইত্যাদি। এগুলো বিক্রি করে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
• ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট: আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করতে পারেন। আর এর মাধ্যমেও আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন।
• ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা: আপনি সার্ভিস প্রদান করতে পারেন যাতে ব্যবসা গুলি অনলাইনে প্রচার এবং গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারে। এটি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
• ব্লগ লেখা এবং মার্কেটিং: আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী একটি ব্লগ লিখতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করতে পারবেন। যেমন- প্রেস আপ, বিজ্ঞাপন, স্বপ্নমন্ত্রন, এবং বৈশিষ্ট্য যুক বিপণন সহ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।
• ই-কমার্স বা প্রোডাক্ট বিক্রি: আপনি নিজের তৈরি প্রোডাক্ট বা আকর্ষণীয় জিনিস বিক্রি করতে পারেন অনলাইনের বা মার্কেট প্লেস ব্যবহার করে। এগুলো করে আপনি অধিক পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।

শেষ কথা

আমি ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলে মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার ৩০ টি সেরা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের ঘরে বসে অন্যান্য ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়েও আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি এর বাহিরেও আরো কোন তথ্য জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।