হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস- হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়

হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস, হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হবে। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এই বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস ও হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্র: হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস- হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়

হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে কি কি সমস্যা হয়
আমাদের শেষ কথা

হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস

আপনারা অনেকেই হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। নিচে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

ফোন সেক্স এড়িয়ে চলুন।
বাড়িতে কখনো একা থাকবেন না।
পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটান।
ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। অথবা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
ভিডিও গেম খেলতে পারেন কারণ এটা হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেয়।
আপনি কোনদিন করেননি এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
যে কোন উপায়ে পর্নোগ্রাফি মুভি এড়িয়ে চলুন।
উপর হয়ে ঘুমাবেন না।
যতটা সম্ভব আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
বিকেলের পরে উত্তেযক খাবার খাবেন না।
সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে বই পড়ুন।
নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন। এবং আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।
যদি মনে সেক্সয়াল চিন্তার উদয় হয়। তাহলে তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
যখন তখন একা একা বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বসুন।
স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি বেশি খাবেন।
আপনাকে হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। কিন্তু ঘনঘন করবেন না।
বাথরুমে শাওয়ার নেওয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আপনার কাছে যদি অফুরন্ত সময় থাকে তাহলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন।
আপনার ছোট ছোট টার্গেট গুলো সেট করুন। যেমন ধরুন যে আপনার প্রথম টানা দুই দিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করতে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে ভাবলে নিজের মা বা বোনের কথা মনে করবেন।
হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নিবেন। সেক্সয়াল চিন্তার উদয় হলে তুরি বানাতে পারেন। অথবা পা দুলাতে পারেন। এতে করে আপনার খারাপ চিন্তাগুলো দূর হয়ে যাবে।
যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুনের ইচ্ছা করছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না। তাহলে তখন বাহিরে বের হয়ে জোরে জোরে হাটুন। অথবা জগিং করুন।
ঘুমের সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি ক্যান্ডি চিবাতে পারেন। এছাড়াও হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।
আপনি যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে পর্ন দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করেন। তাহলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন, যাতে করে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কি করছেন। এতে আপনার পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছা কমে যাবে।

আরও পড়ুন: ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়- ওসিডি রোগের ঔষধ কতদিন খেতে হয়

আর কেউ যদি এই গুনাহটি করে ফেলে তাহলে তার উচিত অতি তাড়াতাড়ি তওবা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, নেকির কাজ করা, ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে হতাশ না হওয়া। কেননা এই পাপটি একটি কবিরা গুনাহ।

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়

পুড়িয়ে ফেলুন পর্ন কালেকশন: যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন থেকে সত্যিই মুক্তি পেতে চান। তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলোকে এখনই নষ্ট করে ফেলুন। অথবা পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। মেমোরি থেকে এখনই পর্ণ ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিন। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলে গিয়ে এডাল্ট কনটেন্ট ব্লক করে দিন।
ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন: গোসল করার সময় এমন হচ্ছে জাগলে শুধু ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। অথবা দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে যান।
অলস হয়ে বসে থাকবেন না: কারণ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকেই সারাদিনের সিডিউল ঠিক করে রাখুন। আর তারপর একের পর এক কাজ করে যান। এর ফলে হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।
শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লেগে যান: আপনি যে সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন। সেই সময় গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন বা হঠাৎ কোনো সময়ে যদি এমন ইচ্ছা হয়। তাহলে সাথে সাথে যে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লেগে যান। যেমন বুকডাউন বা কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন: যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধু-বান্ধব কম, পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারাই ঘন ঘন হস্তমৈথুন করেন। তার জন্য একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করার চেষ্টা করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান। হস্তমৈথুন চরমভাবে এটিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না। ঘরে সময় কম কাটাবেন এবং বাহিরে বেশি সময় কাটাবেন। এছাড়াও জগিং করতে পারেন বা সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড শুরু করুন: ঘরে বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। এতে করে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকা আঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যেটা পারেন সেটাই করার চেষ্টা করবেন।
খারাপ বন্ধু এড়িয়ে চলুন: যে বন্ধুরা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে পর্ন মুভি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
ধৈর্য ধরুন: আপনাকে প্রথমে ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনে কিন্তু একটা নেশা থেকে মুক্তি পাবেন না। ধীরে ধীরে যেকোনো নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আপনাকে আগাতে হবে।
ঘুমানোর আদব মেনে চলুন: ঘুমানোর সময় আপনি সবসময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলবেন। যেমন- ঘুমানো দোয়াগুলো পড়া, ডান পাশে কাত হয়ে শোয়া। পেটের ওপর ভর দিয়ে না ঘুমাবেন না, কারণ এই বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিষেধ করেছেন।
কক্ষে একাকী রাত কাটাবেন না: কারণ হাদিসে এসেছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন।
চোখের দৃষ্টি অবনত রাখুন: চোখের দৃষ্টিকে নত রাখুন। কারণ কোন ব্যক্তি বা অশ্লীল ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করা সেটা জীবিত মানুষের হোক, কিংবা আঁকা হোক, বাধাহীন দৃষ্টি ব্যাক্তিকে হারামের দিকে নিয়ে যায়। এই কারণে আল্লাহতালা বলেছেন মুমিনদেরকে বলুন। তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে।

আরও পড়ুন: নাকের ফাংগাল ইনফেকশন-নাকের রোগ সমূহ

অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে কি কি সমস্যা হয়

অনেকেরই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শক্তিসহ নানাবিদ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের করলে যে সমস্যা গুলো দেখা দেয়, সেগুলো হলো।

যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্তন্যতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিকমতো কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।
হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন। এছাড়াও চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।
শারীরিক ব্যথা হতে পারে এবং মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে।
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: প্রসাব প্রক্রিয়া, হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়াও দ্রুত
বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই পোস্ট থেকে আপনি আশা করি হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু টিপস এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই আলোচনা থেকে আরও জানতে পেরেছেন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে কি কি সমস্যা হয়, এই বিষয়ে আরো জানতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।