ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন
সাধারণত সব ক্ষেত্রেই ফল উপকারী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। কারণ ফল প্রাকৃতিক থেকে তৈরি হয়। আর এই প্রাকৃতিক থেকে পাওয়া সব ধরনের ফল সুস্বাদু হয়ে থাকে। ফল যেকোনো সময় কেটে খাওয়া যায়। কিন্তু ফল খাওয়ার সুনির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করা না গেলে। তবে অপকারই বেশি হয়। তাই ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আমাদের সবার জানা দরকার। এখন চলুন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন। তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের মৌসুম। আর এই মৌসুমে নানা রকম ফল পাওয়া যায়। তবে শুধু ফল খেলেই হবে না। মানতে হবে খাওয়ার নিয়ম। তাহলে ফলের গুনাগুন বেশি পাওয়া যাবে। আপনারা যারা জানতে চান ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কখন। তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র: ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন
- ভূমিকা
- ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন
- কলা খাওয়ার সঠিক সময়
- আপেল খাওয়ার সঠিক সময়
- আঙ্গুর ফল খাওয়ার সঠিক সময়
- পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
- উপসংহার
ভূমিকা
ফল আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দের। ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় কমবেশি যেকোনো ধরনের একটি ফল অবশ্যই থাকা উচিত, নিজের স্বাস্থ্যের জন্য। আর এই ফল অনেক বেশি পরিমাণে খেলে আপনার শরীরে খুব সহজেই রোগ দানা বাসা বাধতে পারবে না। ফল আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার ফল আপনাকে শক্তিশালী করে তোলে। প্রায় সকল ফলেই পানি থাকে, যা আপনার ত্বককে সুস্থ এবং নরম রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফল গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করা না গেলে, আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই ফল গ্রহণের সঠিক সময় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এখন চলুন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কখন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন
সাধারণত ফল খাওয়ার কোন সঠিক নিয়ম নেই। ফল যেকোনো সময় কেটে খাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে নির্দিষ্ট সমায়ের ব্যবধানে অন্তত ৩ বার পরিমাণ মতো ফল খাওয়া ভালো। কিন্তু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু উপকার মিলতে পারে, কিছু বিশেষ সময়ে ফল খেলে যেমন- খাওয়ার আগে, রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের সময়।
আরও পড়ুন: জ্বরে আনারসের উপকারিতা ও আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম
খাওয়ার আগে:
রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে:
রাতে বিছানায় যাওয়ার খুব কাছাকাছি সময়ে ফল গ্রহণ করা ঠিক নয়। কারণ এ সময় ফল রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এটি কিন্তু দেহের ইনসুলিনের মাত্রার পরিবর্তন করে থাকে। এই অবস্থায় আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সাধারণত রাতে ফল গ্রহণের সঠিক সময় হলো, বিছানায় যাওয়ার ঠিক ৩ ঘন্টা আগে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের সময়:
আমরা যখন ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে থাকে। তখন দুপুরের খাবারের পর যেকোনো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এই অবস্থায় দেহের ক্যালোরের ঘাটতি হবে। তা পূরণে দেহের সঞ্চিত চর্বি ব্যবহৃত হবে। এর জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় ফল খাওয়া যাবে না।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
ক্ষুধা নিবারণ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য আমরা সবাই খাবার গ্রহণ করে থাকি। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই না জেনে অনেক রকম ভুল খাবার খেয়ে থাকি। অর্থাৎ আপনি সকালে যে খাবার গ্রহণ করছেন সেটি রাতে গ্রহণ করলে ভালো। আবার আপনি রাতে যে খাবার গ্রহণ করছেন সেটি সকালে গ্রহণ করলে শরীরের জন্য ভালো কাজে দেবে। এখন চলুন কলা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
সাধারণত কলা দুপুরে খাওয়া উচিত। কারণ কলা দুপুরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ও ত্বক সুন্দর করে। আর রাতে কলা খেলে হজম শক্তির সমস্যা হতে পারে। অতএব দুপুরবেলায় কলা খাওয়ার সঠিক সময়।
আপেল খাওয়ার সঠিক সময়
প্রতিটি ফল খাওয়ার একটা সুনির্দিষ্ট সময় আছে। আপেল খাওয়ার একটা সুনির্দিষ্ট সময় আছে। পুষ্টিবিজ্ঞানের রীতিমতে সকালবেলা আপেল খাওয়ার সঠিক সময়। কারণ আপেলে খোসা আশ ও পেকটিন সমৃদ্ধ থাকে। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ,ঘুম ইত্যাদির কারণে হজম শক্তির সমস্যা দেখা দেয়। তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সবচেয়ে প্রয়োজন। অন্যান্য ফলের তুলনায় আপেল সকালে খাওয়া অস্ত্রের প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। তার জন্য সকাল বেলা আপেল খাওয়ার সঠিক সময়।
আঙ্গুর ফল খাওয়ার সঠিক সময়
আঙ্গুর ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এই ছোট্ট রসালো ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি , এন্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সুস্বাদু এই ফলে আছে নানা খাদ্য গুণ যেমন- আঙ্গুরের রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম। আঙ্গুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিক্স, ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। সাধারণত আঙ্গুর ফল সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে খেতে হয়। আর এটাই হলো, আঙ্গুর ফল খাওয়ার সঠিক সময়।
আরও পড়ুন: আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
পেয়ারা দিনে একটা খেলেই যথেষ্ট। আর যদি আপনাদের কারো গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকে। তাহলে তারা অর্ধেকটা খাবেন। দুটো ভারী খাবারের মাঝের সময়টাতে পেয়ারা খাবে। আবার আপনারা যারা ব্যায়াম করেন তারা ব্যায়াম করার আগে ওপরে পেয়ারা খেতে পারেন। রাতে পেয়ারা কে এড়িয়ে চলুন কারণ এতে ঠান্ডা ও কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনারা যখন ভারি খাবার খাবেন তখন সেই ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছু সময় অর্থাৎ দ্বিতীয়বার যখন ভারি খাবার খাবেন তার মাঝামাঝি সময়ে পেয়ারা খাবে। আপনারা বিশেষ করে দুপুরের খাবারের গ্রহণের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে পেয়ারা খাবেন। এতে আপনার শরীরের জন্য অনেক সুবিধা সম্পন্ন হবে।
উপসংহার
ফল আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দের একটি খাবার। কারণ এই ফল প্রাকৃতিক থেকে তৈরি হয়। আর এই প্রাকৃতিক থেকে পাওয়া সব ধরনের ফল সুস্বাদু হয়ে থাকে। আবার এই ফল আমাদের নানারকম রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। ফল যেকোনো সময় কেটে খাওয়া যায়। কিন্তু ফল খাওয়ার সুনির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করা না গেলে, ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনারা যারা ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কখন তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা কিন্তু আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানিয়েছি। আশা করি আপনারা সবাই মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আরো এরকম নানা ধরনের তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url