বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে- তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতে চাইলে দরকার কিছু যোগ্যতা। এসব যোগ্যতা থাকলেই আপনি চাকরি পাবেন। আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে। তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে- তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- ভূমিকা
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে
- সেনাবাহিনীতে কত ফুট উচ্চতা লাগে
-
সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে
- সেনাবাহিনীতে কি কি কাগজ লাগে
- সেনাবাহিনীতে কত পয়েন্ট লাগবে
- কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
- সেনাবাহিনীতে কত বছর চাকরি করা যায়
- উপসংহার
ভূমিকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। এই বাহিনীটি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর গঠিত হয়। আর এই বাহিনীটির নামই হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে প্রায় ৩ লাখের বেশি সদস্য রয়েছে, সেনাবাহিনীতে। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হলো- বাংলাদেশের ভূখণ্ড রক্ষাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও জনবল সরবরাহ করা। সাধারণত বিভিন্ন পত্রিকা ও নিউজ মিডিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে তা সম্পর্কে জেনে নিন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হতে কি কি যোগ্যতা লাগে
সাধারণত এসএসসি পাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগ দেওয়া যায়। বিভিন্ন স্টেডিয়ামে দেখা যায়, এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই পদে একদিনের মধ্যেই লিখিত, মৌখিত এবং মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে যোগ দিতে ডাকা হয়। আর এরা সফলভাবে ৬ মাস ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারলেই। কেবল সৈনিক হিসেবে চাকরিপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োগ ২০২৩ সার্কুলার
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
সাধারণত (GD) পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (GPA-৩.০০) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এবং প্রার্থীর বয়স নির্দিষ্ট তারিখে ১৭ বছরের কম ও ২০ বছরের বেশি হওয়া যাবে। আবার কারিগরি পদে আবেদনের জন্য এসএসসি ভোকেশনাল থেকে সংশ্লিষ্ট কারিগরি বিষয়ে (GPA-৩.০০) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এসএসসি সমমান পরীক্ষায় পাস হয়ে গেলে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেড কোর্স ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (TTTI) থেকে ট্রেড কোর্স সম্পন্ন করা, নারী এবং পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে। কিন্তু টেকনিক্যাল ট্রেডের (TT) ক্ষেত্রে শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
সেনাবাহিনীতে কত ফুট উচ্চতা লাগে
সাধারণত উচ্চতার বিষয়টি নারী এবং পুরুষ ভেদে আলাদা হয়ে থাকে। পুরুষ প্রার্থীর শারীরিক উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। ওজন কমপক্ষে ৪৯ দশমিক ৯০ কেজি হতে হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি এবং ফিট অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে। তবে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা হতে হবে।
সেনাবাহিনীতে বয়স কত লাগে
সাধারণত সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য সাড়ে ১৬ বছর থেকে ২১ বছর বয়স লাগে। আবার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর পর্যন্ত হতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন এফিডেফিট গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং এই বয়সে আপনারা যারা এসএসসি পরীক্ষাতে ভালো পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা সেনাবাহিনীতে আবেদন করতে পারবেন।
সেনাবাহিনীতে কি কি কাগজ লাগে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের সময়, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র, অথবা মার্কশিট, প্রশংসা পত্র, প্রবেশপত্র, অভিভাবকের সম্মতি সূচক সনদপত্র, নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র লাগবে। এসব কাগজপত্রগুলো শারীরিক পরীক্ষার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।
সেনাবাহিনীতে কত পয়েন্ট লাগবে
সাধারণত (GD) পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (GPA-৩.০০) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কিন্তু প্রার্থীর বয়স ১৭ বছরের কম কিংবা ২০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না।
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
কয়েকটি সমস্যা রয়েছে যা থাকলে সেনাবাহিনীতে চাকরি হবে না। যেমন আপনি যখন সেনাবাহিনীর সৈনিক হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াবেন। তখন যদি সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পরে আপনার দুই হাতের মধ্যেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাঁকা না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনাকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। আবার অনেকের শারীরিক উচ্চতা এবং মুখের মাপ ও অন্যান্য দিক থেকে সঠিক থাকলেও চোখের কারনে অথবা চোখের দৃষ্টিশক্তি কমের কারণে বাদ দেওয়া হয়। আবার যদি আপনার উচ্চতা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার পরেও যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ওজন না থাকে। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ডিসকোয়ালিফাই হবেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৩ সার্কুলার
তাছাড়াও নিজের ইচ্ছাকৃত ভাবে শরীরের কোন কাটা দাগ যদি, তারা দেখতে পায়। তাহলে আপনাকে বাদ দিতে পারে। আবার যদি একটা বড় ধরনের এক্সিডেন্ট এর কারণে আপনার শরীরে কোন ধরনের কাটার দাগ থাকে, তাহলে বাদ দিতে পারে। মেডিকেল ডাক্তার যদি আপনাকে অযোগ্য বলে ঘোষণা দেন। তাহলে কিছু করার নেই। তাছাড়াও আপনার যদি নাকের পলিপাস হয়ে থাকে। তাহলেও আপনাকে বাদ দেয়া হবে।
সেনাবাহিনীতে কত বছর চাকরি করা যায়
সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের চাকরির বর্তমান মেয়াদসীমা থাকে এদের মেয়াদসীমা ২১ বছর। ল্যান্স ২২, করপোরালদের ২৩ এবং সার্জেন্টেদের ২৪ বছর। জেসিও অথবা জুনিয়র কমিশন্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে ওয়ারেন্ট অফিসারদের ২৭ বছর।সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারদের ২৯ বছর। মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসারদের ৩৩ বছর। সাধারণত এই উল্লেখ করা বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করা যায়।
উপসংহার
সাধারণত সামাজিক মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বিচারে সেনাবাহিনীর চাকরি বেশি চাহিদা মূলক। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি পেতে হলে দরকার কিছু যোগ্যতা। এসব যোগ্যতা সম্পর্কে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সবাই মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন। আরো নানারকম তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url