আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতা

আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কারণ শাক সবজির উপকারিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ্য করেছিলেন নিয়মিত যারা, শাকসবজি খেয়ে থাকেন। তাদের কিন্তু মস্তিষ্কের বয়স, যারা শাকসবজি খান না তাদের থেকে প্রায় ১১ বছর কমে যায়। আসলে সত্যি কথা বলতে কি এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা উপকারী ভিটামিন। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই শাকসবজি খেলে কেবল যে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় তা নয়। এর সাথে সাথে আরো অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। এখন চলুন শাক সবজির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আপনার যারা জানতে চান আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন। অথবা, যারা জানতে চান শাক সবজির-উপকারিতা কি। এসব শাক সবজির উপকারিতা সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনারা যারা জানতে চান আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কেন। অথবা, শাক সবজির উপকারিতা কি। তারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্র: আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতা

ভূমিকা

আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কারণ, এই শাকসবজি প্রাকৃতিক থেকে হয়। আমরা প্রাকৃতিক থেকে যেসব শাকসবজি পাই। সেসব শাকসবজি খুবই উপকারি। এই সবুজ শাকসবজি গুলো খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মধ্য থাকা উপকারী ভিটামিন বিশেষ ভূমিকা করে থাকে। আপনারা যদি শাক-সবজি না খান তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ক্ষমতা কমতে শুরু করবে। এবং স্মৃতিশক্তি কমে যেতে শুরু করে, চোখের পাওয়ার কমে যেতে শুরু করে, তাই তো কম বয়সে যদি স্মৃতিশক্তি লোভের শিকার হতে না চান। তাহলে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খেতে ভুলবেন না।

আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া উচিত কেন- শাক সবজির উপকারিতা

আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কারণ। এই সবুজ শাকসবজি মূলত প্রাকৃতিক থেকে জন্মায়, এর উপকারিতা অনেক। আমাদের শরীরের জন্য শাকসবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এবং খনিজ লবণ এর মধ্য ক্যালসিয়াম মানব দেহের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি। আবার ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠনকে মজবুত করে। এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আবার সবুজ শাকসবজি থেকে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন: মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, পালং শাক কপি, ও লেটুস, থেকে দেহে যে পরিমাণ লৌহ সরবরাহ হয়। তা দৈনিক চাহিদার ১৪ থেকে ৩৬ শতাংশ ঘাটতি পূরণ করে। আবার পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য এসব শাকসবজি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই অবশ্যই আমাদের খাবারের সঙ্গে শাকসবজি রাখা উচিত। এটি দেহে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাছাড়াও দেহকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে।

কোন সবজির উপকারিতা বেশি

মূলত প্রাকৃতিক শাক সবজির উপকারিতা অনেক বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলোতে পর্যাপ্ত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে। ও ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস, সালফার ও ইত্যাদি। এরকম আরো নানা প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এখন কোন কোন শাক সবজির উপকারিতা বেশি তা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-

টমেটো
  • টমেটো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
  • দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
পালং শাক
  • পালং শাক দেহে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
  • স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে থাকে
কলমি শাক
  • কলমি শাক শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
  • হাড় মজবুত করে 
লাল শাক
  • পালং শাক চুলের গোড়া মজবুত করে
  • দেহের রক্তশূন্যতা রোদ ও পরিষ্কার করে
শিম
  • শিম ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে
  • চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করে
শসা
  • শসা পানি পূর্ণতা দূর করতে সাহায্য করে
  • ত্বক সুস্থ কমল ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে
বাঁধাকপি
  • বাঁধাকপি হাড়ের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে
  • রোগ প্রতিরোধ কমাতে বাড়াতে সাহায্য করে
ফুলকপি
  • ফুলকপি ক্যান্সার এবং টিউমার জনিত রোগের সমাধান করে
  • শরীরকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে
লাউ
  • লাউ দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে
  • দেহে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে
বেগুন
  • বেগুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
  • মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখে
গাজর
  • গাজর শরীরে শক্তি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
  • রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
পেঁপে
  • পেঁপে পেটের অসুখ সরিয়ে দেয়
  • ভাত শক্তিশালী করতে সাহায্য করে

সবুজ শাক সবজিতে কোন ভিটামিন থাকে

সাধারণত প্রাকৃতিক শাকসবজিতে অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে। এই ভিটামিন গুলো মানুষের শারীরিক শক্তি জন্য ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক শাকসবজিতে যেসব ভিটামিন থাকে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-

  • ভিটামিন, এ,: লাল শাক, পালং শাক, টমেটো, পেঁপে, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন,
  • ভিটামিন, বি,: শিম জাতীয় সবজিগুলো
  • ভিটামিন, সি,: টমেটো, গাজর, পালং শাক, কাঁচামরিচ, মুলা, বাঁধাকপি, আমলকি, পেয়ারা,
  • ভিটামিন, ডি,: সবুজ শাকসবজি গুলো
  • ভিটামিন, ই,: লেটুস ও বাঁধাকপি
  • ক্যালসিয়াম: পালং শাক, বকুল ফুল, মুলা, বেগুন,
  • আয়রন: গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ, কচু শাক, করলা,কাঁচকলা,
  • খনিজ লবণ:  যেগুলো সবুজ পাতা জাতীয় শাকসবজি
  • আয়োডিন: পেঁয়াজ, কাঁকরোল, ঢেঁড়স,
  • প্রোটিন: বরবটি, মটরশুটি,

কোন সবজিতে ভিটামিন বেশি

সাধারণত সবুজ শাকসবজিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এসব সবুজ শাকসবজিতে সাধারণত ভিটামিন এ ,সি ,ডি ,ই,ও বি, যুক্ত উপাদান থাকে। যেসব শাকসবজিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সেগুলো নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

  • ভিটামিন, এ,: লাল শাক, পালং শাক, টমেটো, পেঁপে, বাঁধাকপি, বেগুন,
  • ভিটামিন, বি,: শিম জাতীয় সবজি
  • ভিটামিন, সি,: টমেটো, গাজর, পালং শাক, কাঁচামরিচ, মুলা, বাঁধাকপি, পেয়ারা,
  • ভিটামিন, ডি,: সবুজ শাকসবজি 
  • ভিটামিন, ই,: লেটুস ও বাঁধাকপি

সবজিতে কত প্রোটিন থাকে

সাধারণত সবজিতে ১০০ গ্রামের প্রোটিনে ২.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক যেসব সবজিতে প্রোটিন রয়েছে।

  • ফুলকপি: ফুলকপিতে সবথেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে প্রায় ৫০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
  • বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে ৫.৬৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
  • পালং শাক: পালং শাকের ভিটামিন বি সি রয়েছে। ১০০ গ্রাম পালং শাকের ভিটামিনের পরিমাণ ২.৯ গ্রাম।
  • মাশরুম: ১০০ গ্রাম মাশরুমে ৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
  • মটরশুটি: মটরশুটিতে ৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।

দৈনিক সবজির চাহিদা

সাধারণত একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্য প্রতিদিন ২২০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে দেশের মানুষ প্রতিদিন গ্রহণ করছে 50 গ্রাম সবজি। সবজিই একমাত্র খাদ্য যা শরীর গঠনে ও শারীরিক-মানসিক শক্তি পূরণে চাহিদা পূরণ করে। কারণ এই শাকসবজি গুলো প্রাকৃতিকভাবে জন্মায় এই শাক-সবজি তে অনেক পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণ রয়েছে।

আরও পড়ুন: কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা    

এগুলো মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। তার জন্য দৈনিক মানুষের শাক সবজির প্রয়োজন, ও দৈনিক সবজির চাহিদা মেটাতে হবে। তাহলে আপনারা যদি দেহে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ এর চাহিদা পূরণ করতে চান। তাছাড়াও দেহকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে চান। তাহলে দৈনিক সবজির চাহিদা পূরণ করতে হবে।

বয়স অনুযায়ী শিশুর খাদ্য তালিকা

সাধারণত একটা শিশু যখন ছয় মাস থেকে 12 মাস বয়স হয় তখন ৬ মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের প্রধান খাদ্য মায়ের বুকের দুধ এর পাশাপাশি দুই থেকে তিন বেলা অল্প কিছু পরিমাণে অন্যান্য খাবার দেওয়া যেমন-

  • নরম চাল ডাল সবজি সহযোগে খিচুড়ি
  • ফল এবং ফলের রস
  • অল্প ডিম বা অল্প কুসুম অবশ্যই দিতে হবে
  • অল্প মাছ ভালোভাবে কাটা ছাড়িয়ে খাবারের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে
  • সুজি বা সাবু
  • ঘরে তৈরি যা স্বাস্থ্যকর খাবার তরকারি ইত্যাদি

আবার যে শিশুগুলো এক বছর থেকে দুই বছর এর উর্ধ্বে তাদেরকে বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে যেমন-

  • শাকসবজি অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে সহজ ভাবে রান্না করে দিতে হবে
  • ফলমূল দিতে হবে কারণ ফল চোখের দৃষ্টিশক্তি বিকাশ ও বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • ডিম, মাছ, মাংস, গরুর দুধ, খাবার মিষ্টি, এগুলো শিশুর শারীরিক বিকাশ ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • ঘরে তৈরিকৃত খাবার বা অন্যান্য খাবার অল্প পরিমাণে শিশুর সাথে পরিচয় করা ও গ্রহণের আগ্রহী করে তোলা

একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক খাদ্য তালিকা

একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্য প্রতিদিন ২২০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করা প্রয়োজন। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক খাদ্যের খাদ্যের তালিকায় যেগুলো দরকার। একজন সুস্থ মানুষের একদিনে মোট যে পরিমাণ পুষ্টি দরকার তা হলো-১,৯৪১ পরিমাণ ক্যালরি, ১০০ গ্রাম প্রোটিন, ও ৪০ গ্রাম ফ্যাট, ২৯৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৩৪ গ্রাম ফাইবার। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক খাবারে এগুলো পুষ্টি থাকা দরকার। এছাড়াও প্রাকৃতিক শাকসবজি একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক খাদ্যের তালিকায় অবশ্যই থাকতে হবে। যেমন-লাল শাক, পালং শাক, ফুলকপি, লাউ, গাজর, বাঁধাকপি, পেঁপে, বেগুন, টমেটো। এরকম অনেক সবুজ শাকসবজি আছে, যা একজন সুস্থ সবল মানুষের দৈনিক খাদ্যের তালিকায় থাকা অবশ্যই জরুরী।

সবুজ শাকসবজির তালিকা

বর্তমানে সবুজ শাক সবজির উপকারিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাকসবজিতে অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে। নিচে সবুজ শাক সবজির তালিকা সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হলো-

  • বেগুন, মুলা,পেঁপে, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি,
  •  পটল, শালগম, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢেঁড়স,
  •  লাউ, কাঁচা কলা, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া,
  •  কচু, মান কচু, চেরি টমেটো, কচুর লতি, শসা,
  •  লেবু, গাজর, কাঁকরোল, মিষ্টি আলু, কলার মোচা,
  •  লাল শাক, কুমড়া শাক, কলমি শাক, পালং শাক,
  •  থানকুনি, পাট শাক, সরিষা শাক, কচু শাক, মেথি শাক,
  •  মটরশুঁটি, ধনিয়া পাতা, শাপলা, পুদিনা, কাঁচা কাঁঠাল, মাশরুম,

এগুলো সবই হলো সবুজ শাকসবজি আরও অনেক অজানা সবুজ শাকসবজি আছে। এগুলোতে অনেক পরিমাণে ভিটামিন থাকে।

উপসংহার

আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কারণ, সবজির অনেক উপকারিতা আছে। এই শাকসবজি গুলো মূলত আমরা প্রাকৃতিক থেকে পাই। সাধারণত সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আশা করি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন যে, আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া উচিত কেন, অথবা শাকসবজি উপকারিতা কি। তা সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত কিছু বলে দেয়া হয়েছে। আরো এরকম ধরনের নানা রকম তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শাকিল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url